হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৮৫০

পরিচ্ছেদঃ

১৮৫০। আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা পছন্দনীয় বান্দা হচ্ছে পরহেজগার ও গোপনে অবস্থানকারীগণ। তারা যখন অগোচরে যায় তখন তাদেরকে অনুসন্ধান করা হয় না, আর তারা যখন উপস্থিত হয় তখন তাদেরকে চেনা যায় না। তারা হেদায়াতপ্রাপ্ত ইমামগণ এবং জ্ঞানের বাতিসমূহ।

হাদীসটি দুর্বল।

এটিকে আবু নুয়াইম "আলহিলইয়াহ" গ্রন্থে (১/১৫) শায ইবনু ফাইয়্যায সূত্রে আবূ কাহযাম হতে, তিনি আবূ কিলাবা হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ উমার (রাঃ) মুয়ায ইবনু জাবাল (রাঃ)-এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন এমতাবস্থায় যে, তিনি কাঁদতে ছিলেন। [উমার(রাঃ)] বললেনঃ হে মুয়ায! কোন বস্তু তোমাকে কাঁদাচ্ছে? তিনি বলেনঃ আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ ...।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি ধারাবাহিক বিভিন্ন কারণে দুর্বলঃ

১। সনদে বিচ্ছিন্নতা। কারণ আবু কিলাবাহ হচ্ছেন আব্দুল্লাহ ইবনু যায়েদ আলজারমী, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে শ্রবন করেননি। যেমনটি আবু যুর’য়াহ বলেছেন।

২। আবু কাহযামের দুর্বল হওয়া। তার নাম নাযর ইবনু মা’বাদ। তাকে হাফিয যাহাবী "আয যুয়াফা অলমাতরূকীন" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ নাসাঈ বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন।

৩। শায ইবনু ফাইয়্যায সম্পর্কে হাফিয যাহাবী “আযযুয়াফা” গ্রন্থে বলেনঃ ইমাম বুখারী তাকে নিক্ষেপ করতেন। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তার বর্ণনার দ্বারা ব্যস্ত হওয়া যাবে না।

হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তার নাম হিলাল, কিন্তু শায অগ্রাধিকার পেয়ে যায়। তিনি সত্যবাদী, তবে তার কতিপয় সন্দেহযুক্ত বর্ণনা এবং একক বর্ণনা রয়েছে।

হাদিসটির মু’য়ায (রাঃ) হতে অন্য একটি মারফূ’ সুত্র রয়েছে। যার প্রথমে রয়েছেঃ সামান্য রিয়া (লোক দেখানো আমল) শির্ক ...।

এর সনদও দুর্বল যেমনটি আমি "তাখরীজুত তারগীব" গ্রন্থে (১/৩৪) বর্ণনা করেছি। এ সূত্রেই হাদীসটিকে ত্বহাবী "আলমুশকিল" গ্রন্থে (২/৩১৭) আর আবু নুয়াইমও (১/৫) বর্ণনা করেছেন। এটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আসবে (২৯৭৫ নং) হাদীসের মধ্যে। যারা এটিকে সহীহ আখ্যা দিয়েছেন তাদের প্রতিবাদ সহকারে।

أحب العباد إلى الله تعالى الأتقياء الأخفياء، الذين إذا غابوا لم يفتقدوا، وإن شهدوا لم يعرفوا، أولئك هم أئمة الهدى، ومصابيح العلم ضعيف - أخرجه أبو نعيم في " الحلية " (1 / 15) من طريق شاذ بن فياض حدثنا أبو قحذم عن أبي قلابة عن عبد الله بن عمر بن الخطاب قال: " مر عمر بمعاذ بن جبل رضي الله عنهما، وهو يبكي، فقال: ما يبكيك يا معاذ؟ فقال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: فذكره. قلت: وهذا إسناد ضعيف، مسلسل بالعلل: الأولى: الانقطاع، فإن أبا قلابة - واسمه عبد الله بن زيد الجرمي - لم يسمع من ابن عمر، كما قال أبو زرعة. الثانية: ضعف أبي قحذم، واسمه النضر بن معبد. أورده الذهبي في " الضعفاء والمتروكين "، وقال: " قال النسائي: ليس بثقة ". الثالثة: شاذ بن فياض، قال الذهبي في " الضعفاء " كان البخاري يحط عليه. وقال ابن حبان: لا يشتغل بروايته ". وقال الحافظ : " كان اسمه هلال، فغلب عليه شاذ، صدوق له أوهام وأفراد ". وللحديث طريق أخرى عن معاذ مرفوعا به نحوه، وزاد في أوله: " إن يسير الرياء شرك ... وإسناده ضعيف أيضا كما بينته في " تخريج الترغيب " (1 / 34) ومن هذا الوجه أخرجه الطحاوي في " المشكل " (2 / 317) وأبو نعيم أيضا (1 / 5) . وسيأتي الكلام عليه مفصلا مع تخريجه مبسطا برقم (2975) مع الرد على من صححه وإعادة تخريج هذا بمصادر أخرى كثيرة


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ