পরিচ্ছেদঃ
১৮৪৬। গীবাত হচ্ছে যেনার চেয়েও কঠিন গুনাহ। কারণ (যেনাকারী) ব্যক্তি যখন তওবা করে তখন আল্লাহ্ তার তওবা্ গ্রহণ করেন, অথচ গীবাতকারীকে ক্ষমা করা হবে না যে পর্যন্ত তার সাথী (যার গীবাত করা হয়েছে সে) ক্ষমা না করবে।
হাদীসটি খুবই দুর্বল।
হাদীসটিকে সিলাফী “আততাউরিয়্যাত” গ্রন্থে (১/১৭৩), ইবনু আব্দুল হাদী “জুযউ আহাদীস ...” গ্রন্থে (২/২২৭) আসবাত ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি আবূ রাজা খুরাসানী হতে, তিনি আব্বাদ ইবনু কাসীর হতে, তিনি জুরাইরী হতে, তিনি আবূ নাযরাহ হতে, তিনি জাবের ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) এবং আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আর আবু মূসা মাদীনী “আললাতাইফ” গ্রন্থে (১/৪) দাউদ ইবনু আল মুহাব্বার হতে, তিনি আব্বাদ ইবনু কাসীর হতে ... তবে তিনি বলেনঃ আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে, তিনি জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ হাদীসটি গারীব। হাদীসটিকে এভাবে একমাত্র এ সূত্রেই জানি। এটিকে আবু রাজা আব্দুল্লাহ ইবনু অকেদ হারাবী বর্ণনা করেছেন আব্বাদ হতে, তিনি জাবের (রাঃ) ও আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে, তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ দাউদ মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী। তার বিরোধিতা করাকে মূল্যায়ন করা যায় না। আর আসবাত ও আবু রাজা উভয়েই নির্ভরযোগ্য। হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে আব্বাদ ইবনু কাসীর। তিনি হচ্ছেন সাকাফী বাসরী।
হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি মাতরূক। ইমাম আহমাদ বলেনঃ তিনি কতিপয় মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি সম্পর্কে হাইসামী “আলমাজমা” গ্রন্থে (৮/৯২) বলেনঃ এটিকে ত্ববারানী “আলআওসাত” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সনদে আব্বাদ ইবনু কাসীর সাকাফী রয়েছেন তিনি মাতরূক।
হাফিয মুনযেরী “আততারগীব” গ্রন্থে (৩/৩০০) বলেনঃ এটিকে ইবনু আবিদ দুনিয়া “কিতাবুল গীবাহ” গ্রন্থে, ত্ববারানী “আলআওসাত” গ্রন্থে ও বাইহাকী জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) ও আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। বাইহাকী আনাস (রাঃ)-এর উদ্ধৃতিতেও নাম না-নেয়া এক ব্যক্তি হতে বর্ণনা করেছেন। আর সুফইয়ান ইবনু ওয়াইনাহ হতে মারফু ছাড়া বর্ণনা করেছেন। এটিই সাদৃশ্যপূর্ণ। হাদীসটিকে নিম্নের ভাষাতেও বর্ণনা করা হয়েছেঃ
গীবাত করা থেকে তোমরা নিজেদেরকে বাঁচাও। কারণ গীবাত যেনার চেয়েও কঠিন গুনাহ। জিজ্ঞাসা করা হলোঃ হে আল্লাহর রসূল! কিভাবে গীবাত যেনার চেয়েও কঠিন গুনাহ? তিনি বললেনঃ যেনাকারী ব্যক্তি যেনা করে তাওবা করে ফলে আল্লাহ্ তা’আলা তার তাওবা কবুল করেন। কিন্তু গীবাতকারীকে ক্ষমা করা হয় না যে পর্যন্ত তার সাথী (যার গীবাত করা হয়েছে সে) ক্ষমা না করে।
এটিকে দীনাওরী “আলমুজালাসাহ” গ্রন্থে (২৭/৮/২) ও যিয়া “আলমুনতাকা মিন মাসমূয়াতিহি বিমারু” (২/২৩) আসবাত ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি আবূ রাজা খুরাসানী হতে, তিনি আব্বাদ ইবনু কাসীর হতে, তিনি জুরাইরী হতে, তিনি আবূ নাযরাহ হতে, তিনি জাবের ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) এবং আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আর অহেদী তার “তাফসীর” গ্রন্থে (৪/৮১/২) এ সূত্রেই শুধুমাত্র জাবের (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তবে এতে আবূ নাযরার স্থলে আবু্য যুবায়েরকে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্ভবত কোন বর্ণনাকারীর পক্ষ থেকে রদবদলের ঘটনা ঘটেছে।
সঠিক হচ্ছে এটিই। এটিকে ইবনু আবী হাতেম “আলইলাল” গ্রন্থে (২/১২০) উল্লেখ করে বলেছেনঃ আমি আমার পিতাকে বললামঃ এ হাদীসটি কি মুনকার? তিনি বলেনঃ যেমন তুমি বলছ।
হাদীসটি ত্ববারানীর “আলআওসাত” গ্রন্থে (৪/৪৮৫), বাইহাকীর “আশশুয়াব’ গ্রন্থে (২/৩০৫/২) ও আসবাহানীর “আততারগীব” গ্রন্থে (৫৮২) আব্বাদ হতে বর্ণিত হয়েছে।
الغيبة أشد من الزنا، إن الرجل يتوب فيتوب الله عليه، وإن صاحب الغيبة لا يغفر له حتى يغفر له صاحبه ضعيف جدا - رواه السلفي في " الطيوريات " (173 / 1) وابن عبد الهادي في " جزء أحاديث ... " (227 / 2) عن أسباط بن محمد: أخبرنا أبو رجاء الخراساني عن عباد بن كثير عن الجريري عن أبي نضرة عن جابر بن عبد الله وأبي سعيد الخدري مرفوعا. ورواه أبو موسى المديني في " اللطائف " (4 / 1) عن داود بن المحبر: حدثنا عباد بن كثير به، إلا أنه قال: " عن أبي سعيد عن جابر بن عبد الله "، وقال: " حديث غريب لا أعرفه هكذا إلا من هذا الوجه، ورواه أبو رجاء عبد الله بن واقد الهروي عن عباد فقال: عن جابر وأبي سعيد رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم ". قلت: داود متهم بالكذب، فلا عبرة بمخالفته، وأسباط وأبو رجاء ثقتان، وإنما علة الحديث عباد بن كثير وهو الثقفي البصري، قال الحافظ: " متروك، قال أحمد: روى أحاديث كذب والحديث قال الهيثمي في " المجمع " (8 / 92) : " رواه الطبراني في " الأوسط ، وفيه عباد بن كثير الثقفي وهو متروك ". وقال الحافظ المنذري في " الترغيب " (3 / 300) : " رواه ابن أبي الدنيا في " كتاب الغيبة "، والطبراني في الأوسط "، والبيهقي، عن جابر بن عبد الله وأبي سعيد الخدري. ورواه البيهقي أيضا عن رجل لم يسم عن أنس. ورواه عن سفيان بن عيينة غير مرفوع، وهو الأشبه. والله أعلم ". وقد روي الحديث بلفظ: " إياكم والغيبة فإن الغيبة أشد من الزنا، قيل: يا رسول الله! وكيف الغيبة أشد من الزنا؟ قال الرجل يزني فيتوب، فيتوب الله عز وجل عليه، وإن صاحب الغيبة لا يغفر له حتى يغفر له صاحبه ". رواه الدينوري في " المجالسة " (27 / 8 / 2) والضياء في " المنتقى من مسموعاته بمرو" (23 / 2) عن أسباط بن محمد قال: حدثنا أبو رجاء الخراساني عن عباد بن كثير عن الجريري عن أبي نضرة عن جابر بن عبد الله وأبي سعيد الخدري مرفوعا. ورواه الواحدي في " تفسيره " (4 / 81 / 2) من هذا الوجه عن جابر وحده، إلا أنه وقع فيه: " عن أبي الزبير " بدل: " أبي نضرة ، ولعله تحريف من بعض الرواة وهكذا على الصواب أورده ابن أبي حاتم في " العلل " (2 / 120) وقال: " فقلت لأبي: هذا الحديث منكر؟ قال: كما تقول الأصل: يكون) أسأل الله العافية، يجيء عباد بن كثير البصري بمثل هذا؟! والحديث عند الطبراني في " الأوسط " (4 / 485 - مجمع البحرين) والبيهقي في " الشعب " (2 / 305 / 2) والأصبهاني في " الترغيب " (582) عن عباد به