পরিচ্ছেদঃ
১৭৭৬। আমার নিকট জিবরল (আঃ) এসে বললেনঃ হে মুহাম্মাদ! আপনার পরে আপনার উম্মাত মতভেদ করবে। তিনি বলেনঃ আমি তাকে বললাম, এ থেকে বের হওয়ার উপায় কি হে জিবরীল? তিনি বললেনঃ কিতাবুল্লাহ্। তার দ্বারাই আল্লাহ্ তা’য়ালা প্রত্যেক অত্যাচারীকে ভেঙ্গে (ধ্বংস করে) দিবেন। যে তাকে আঁকড়ে ধরবে সে নাজাত পেয়ে যাবে। আর যে তাকে ত্যাগ করবে সে ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি এ কথা দু’বার বললেন। চূড়ান্ত কথা, তামাশার কথা নয়। যবানগুলো তাকে তৈরি করতে সক্ষম নয়। তার বিস্ময়কর বস্তুগুলো শেষ হবে না। এতে তোমাদের পূর্বের ঘটনাবলী রয়েছে, তোমাদের মাঝের সমস্যার সমাধান রয়েছে এবং তোমাদের পরে যা কিছু ঘটবে সেগুলোরও খবর রয়েছে।
হাদীসটি খুবই দুর্বল।
এটিকে ইমাম আহমাদ (১/৯১) ইবনু ইসহাক হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু কা’ব কুরায়ী হারেস ইবনু আব্দুল্লাহ আওয়ার হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমি বললামঃ অবশ্যই আমি আমীরুল মু’মিনীনের নিকট আসব বিকাল বেলা যা শুনেছি সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য। তিনি বলেনঃ আমি এশার পরে তার নিকট আসলাম অতঃপর তার নিকট প্রবেশ করলাম। তিনি হাদীসটি উল্লেখ করে বললেনঃ আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি ...।
আমি (আলবানী) বলছি দুটি কারণে এ সনদটি খুবই দুর্বলঃ
(১) বর্ণনাকারী হরেসকে হাফিয যাহাবী “আযযুয়াফা অলমাতরূকীন” গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ তার ব্যাপারে মতভেদ করা হয়েছে। যদিও তার হাদীস চারটি হাদীস গ্রন্থে রয়েছে। ইবনুল মাদীনী বলেনঃ তিনি মিথ্যুক। নাসাঈ বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন। দারাকুতনী প্রমুখ বলেনঃ তিনি দুর্বল। তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ তাকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন।
(২) ইবনু ইসহাক কর্তৃক এ ভাষায় বর্ণনা করা যে, তিনি বলেন তা আন আন্ করে বর্ণনা করার মতই। আর তিনি হচ্ছেন মুদাল্লিস। তিনি হাদীস শ্রবণ করেছেন সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ না করলে তার হাদীস গ্রহণযোগ্য নর। তবে তার মুতাবায়াত করা হয়েছে।
হাদীসটিকে হুসাইন জু’ফী হামযাহ যাইয়্যাত হতে, তিনি আবুল মুখতার ত্বাঈ হতে, তিনি ইবনু আখিল হারেস আলআওয়ার হতে, তিনি হারেস হতে অনুরূপভাবে বর্ণনা করেছেন।
এটিকে দারেমী (২/৪৩৫), ইবনু আবী শাইবাহ "আলমুসান্নাফ" গ্রন্থে (১২/৬১/১) ও তিরমিযী (৪/৫১-৫২) বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি গারীব। শুধুমাত্র যাইয়্যাতের হাদীস হতেই এটিকে চিনি আর তার সনদটি মাজহুল। আর হারেসের হাদীসের সমালোচনা করা হয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আবুল মুখতার আততাঈ মাজহুল (অপরিচিত)। হাফিয যাহাবী বলেনঃ কুরআনের ফাষীলাত সম্পর্কে বর্ণিত তার হাদীস মুনকার। অতঃপর হাদীসটিকে দারেমী আবুল বুখতারী সূত্রে হারেস হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আবুল বুখতারীর নাম হচ্ছে সাঈদ ইবনু ফীরোয। তিনি নির্ভরযোগ্য, বুখারী ও মুসলিমের বর্ণনাকারী। তার নিকট পর্যন্ত সনদটি সহীহ। অতএব হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে এ হারেস।
أتاني جبريل فقال: يا محمد! إن أمتك مختلفة بعدك، قال: فقلت له: فأين المخرج يا جبريل؟ قال: فقال: كتاب الله تعالى، به يقصم الله كل جبار، من اعتصم به نجا، ومن تركه هلك، مرتين، قول فصل، وليس بالهزل، لا تختلقه الألسن، ولا تفنى أعاجيبه، فيه نبأ ما كان قبلكم، وفصل ما بينكم، وخبر ما هو كائن بعدكم ضعيف جدا - أخرجه أحمد (1 / 91) عن ابن إسحاق قال: وذكر محمد بن كعب القرظي عن الحارث بن عبد الله الأعور، قال: قلت: لآتين أمير المؤمنين فلأسالنه عما سمعت العشية، قال: فجئته بعد العشاء فدخلت عليه، فذكر الحديث، قال: ثم قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: فذكره قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا، وله علتان الأولى: الحارث هذا، أورده الذهبي في " الضعفاء والمتروكين "، وقال: " مختلف فيه، مع أن حديثه في الأربعة، قال ابن المديني: كذاب، وقال النسائي: ليس بالقوي، وقال الدارقطني وغيره: ضعيف، ومنهم من وثقه والعلة الأخرى: رواية ابن إسحاق إياه بصيغة " قال "، وهي في المعنى مثل صيغة (عن) ، وهو مدلس، فلا يقبل من حديثه إلا ما صرح فيه بالتحديث، ولكنه قد توبع، فرواه الحسين الجعفي عن حمزة الزيات عن أبي المختار الطائي عن ابن أخي الحارث الأعور عن الحارث به نحوه. أخرجه الدارمي (2 / 435) وابن أبي شيبة في " المصنف " (12 / 61 / 1) والترمذي (4 / 51 - 52) وقال: " حديث غريب، لا نعرفه إلا من حديث حمزة الزيات، وإسناده مجهول، وفي حديث الحارث مقال ". قلت: أبو المختار الطائي مجهول، وقال الذهبي: " حديثه في فضائل القرآن منكر ". ثم أخرجه الدارمي من طريق أبي البختري عن الحارث به ". قلت: وأبو البختري هذا اسمه سعيد بن فيروز، وهو ثقة من رجال الشيخين، والسند إليه صحيح، فعلة الحديث الحارث هذا