হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৬৭৮

পরিচ্ছেদঃ

১৬৭৮। বেশী দামী এবং বেশী মোটাসোটা কুরবানীই হচ্ছে সর্বোত্তম কুরবানী।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে ইমাম আহমাদ (৩/৪২৪), আবুল আব্বাস আলআসাম তার “হাদীস” গ্রন্থে (১/১৪০/১) এবং তার সূত্রে হাকিম (৪/২৩১), অনুরূপভাবে বাইহাকী (৯/১৬৮) ও ইবনু আসাকির “তারীখু দেমাস্ক” গ্রন্থে (৩/১৯৭/১) উসমান ইবনু যুফার জুহানী সূত্রে আবুল আশাদ (আলআসাম বলেনঃ আবুল আসাদ) সুলামী হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সাতজনের সপ্তমজন ছিলাম। তিনি বলেনঃ তিনি আমাদের প্রত্যেককে এক দিরহাম করে জমা করার নির্দেশ প্রদান করলেন। অতঃপর আমরা সাত দিরহাম দিয়ে একটি কুরবানীর পশু ক্রয় করলাম। আমরা বললামঃ হে আল্লাহর রসূল! আমরা অনেক দামে কুরবানীর পশুটি ক্রয় করেছি। তখন রসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ...। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিলেন, ফলে একজন একটি পা, আরেকজন অন্য পা, আরেকজন এক হাত, অন্যজন আরেক হাত, একজন এক শিং, অন্যজন অন্য শিং ধরেছিল আর সপ্তম ব্যক্তি কুরবানীটি যবেহ করেছিল আর আমরা সকলে তাকবীর বলেছিলাম।

হাকিম হাদীসটির ব্যাপারে চুপ থেকেছেন। আর হাফিয যাহাবী তার “তালখীস” গ্রন্থে বলেনঃ উসমান নির্ভরযোগ্য। তিনি নিজে সন্দেহ করেছেন আর অন্যকে সন্দেহে ফেলেছেন। কারণ এ এ উসমান নির্ভরযোগ্য নন। বরং তিনি মাজহুল (অপরিচিত) যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেছেন। ইবনু হিব্বান ছাড়া তাকে কেউ নির্ভরযোগ্য আখ্যা দেননি। হাফিয যাহাবী সম্ভবত সন্দেহ করেছেন যে, ইনি হচ্ছেন উসমান ইবনু যুফার তাইমী, কারণ ইনি নির্ভরযোগ্য। অথচ তিনি এই উসমান নন এবং তারা উভয়ে এক স্তরেরও নন। অন্যকে সন্দেহে ফেলেছেন এ কারণে যে, তিনি শুধুমাত্র উসমানের নির্ভরযোগ্যতার ব্যাপারে কথা বলে তার উপরের বর্ণনাকারীদের ব্যাপারে চুপ থেকেছেন। এ থেকে সন্দেহ সৃষ্টি হতে পারে যে, এ হাদীসের সনদে আর এমন কোন বর্ণনাকারী নেই যার দ্বারা সমস্যা সৃষ্টি হয়। অথচ বিষয়টি আসলে তা নয়। কারণ আবুল আশাদও মাজহুল।

আর এর দ্বারাই হাইসামী সমস্যা বর্ণনা করে “আলমাজমা” গ্রন্থে (৪/২১) বলেনঃ এটিকে ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী আবুল আশাদকে কে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন আর কে তার দোষ বর্ণনা করেছেন পাচ্ছি না। তার পিতার অবস্থাও তার ন্যায়। বলা হয়েছে যে, তার দাদা হচ্ছেন আমর ইবনু আবাস।

হাফিয ইবনু হাজার "আত-তা’জীল" গ্রন্থে তাকে উল্লেখ করে তার সম্পর্কে ভালো-মন্দ কিছুই উল্লেখ করেননি। হাদীসটিকে বাইহাকী উল্লেখ করেছেন। আর ইবনুল কাইয়্যিম “ইলামুল মুওয়াক্কি’ঈন” গ্রন্থে (৩/৫০২) বলেনঃ তারা সকলে একটি পরিবারের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন, তাদের পক্ষ থেকে খাসি যথেষ্ট হওয়ার ব্যাপারে। কারণ তারা একই দলভুক্ত ছিলেন।

তার কথাকে “আউনুল মা’বুদ” গ্রন্থেও (৩/৫৭) সমর্থন করা হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে দু’দিক থেকে বিরূপ মন্তব্য রয়েছেঃ

১। হাদীসটি সহীহ নয় যেমনটি আপনি অবগত হয়েছেন।

২। যদি সহীহ হতো তাহলে এক খাসিতে সাত ব্যক্তির অংশগ্রহণ করা জায়েয হওয়ার দলীল হয়ে যেত, যেমনটি গরুর ক্ষেত্রে অংশীদার হওয়া যায়। যদিও তারা একই পরিবারের সদস্য না হতো। এছাড়া হাদীসটিতে খাসির বিষয়টিকে স্পষ্ট করাও হয়নি। হতে পারে কুরবানীর পশুটি গরু ছিল, যদিও এটি দূরবর্তী কথা। (আল্লাহই বেশী জানেন)।

إن أفضل الضحايا أغلاها وأسمنها ضعيف - أخرجه الإمام أحمد (3 / 424) وأبو العباس الأصم في " حديثه " (1 / 140 / 1) ومن طريقه الحاكم (4 / 231) وكذا البيهقي (9 / 168) وابن عساكر في " تاريخ دمشق " (3 / 197 / 1) من طريق عثمان بن زفر الجهني: حدثني أبو الأشد (وقال الأصم: أبو الأسد) السلمي عن أبيه عن جده قال: " كنت سابع سبعة مع رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: فأمرنا أن نجمع لكل رجل منا درهما، فاشترينا أضحية بسبعة دراهم، فقلنا: يا رسول الله! لقد أغلينا بها، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (فذكره) ، وأمر رسول الله صلى الله عليه وسلم فأخذ رجل برجل، ورجل برجل، ورجل بيد، ورجل بيد، ورجل بقرن، ورجل بقرن، وذبحها السابع، وكبرنا عليها جميعا ". سكت عليه الحاكم، وأما الذهبي فقال في " تلخيصه ": " قلت: عثمان ثقة "! فوهم، وأوهم!! أما الوهم، فإن عثمان هذا ليس بثقة، بل هو مجهول كما قال الحافظ في " التقريب "، ولم يوثقه أحد غير ابن حبان! ولعل الذهبي توهم أنه عثمان بن زفر التيمي، فهذا ثقة، ولكنه آخر دون هذا في الطبقة، من شيوخ أبي حاتم وأبي زرعة وغيرهما. وأما الإيهام، فهو بسبب توثيقه لعثمان، وسكوته عمن فوقه، فإنه بذلك يوهم أنه ليس فيهم من يعل به الحديث، وليس كذلك، فإن أبا الأشد مجهول أيضا، وبه أعله الهيثمي فقال في " المجمع " (4 / 21) : " رواه أحمد، وأبو الأشد، لم أجد من وثقه ولا جرحه، وكذلك أبوه، وقيل: إن جده عمرو بن عبس ". وأورده الحافظ في " التعجيل "، ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا. والحديث أورده البيهقي في " باب الرجل يضحي عن نفسه وعن أهل بيته "! وقال ابن القيم في " إعلام الموقعين " (3 / 502) : " نزل هؤلاء النفر منزلة أهل البيت الواحد في إجزاء الشاة عنهم، لأنهم كانوا رفقة واحدة ". وأقره في " عون المعبود " (3 / 57) ، وفيه نظر من وجهين: الأول: أن الحديث لا يصح لما عرفت. والثاني: أنه لوصح لكان دليلا على جواز الاشتراك في الشاة الواحدة من سبعة نفر، كما هو الشأن في البقرة، ولوكانوا من غير بيت واحد، على أن الحديث لم ينص فيه على الشاة، فيحتمل أن الأضحية كانت بقرة، ولو أن هذا فيه بعد. والله أعلم


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ