হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৬৩৩

পরিচ্ছেদঃ

১৬৩৩। যখন নেফাসধারী নারীদের সাত দিন অতিবাহিত হয়ে যাবে, অতঃপর পবিত্রতা দেখবে তখন সে যেন গোসল করে এবং সালাত আদায় করে।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটিকে দারাকুতনী (৮২) ও তার সূত্রে বাইহাকী (১/৩৪২) আবূ সাহল ইবনু যিয়াদ হতে, তিনি আবূ ইসমাইল তিরমিযী হতে, তিনি আব্দুস সালাম ইবনু মুহাম্মাদ হিমসী (তার উপাধি হচ্ছে সুলাইম) হতে, তিনি বাকিয়্যাহ ইবনুল অলীদ হতে, তিনি আলী ইবনু আলী হতে, তিনি আসওয়াদ হতে, তিনি উবাদাহ ইবনু নুসাই হতে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনু গানাম হতে, তিনি মুয়ায ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। সুলাইম বলেনঃ আমি ’আলী ইবনু ’আলীর সাথে মিলিত হলে তিনি আসওয়াদ হতে, তিনি উবাদাহ ইবনু নুসাই হতে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনু গানাম হতে, তিনি মুয়ায ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপভাবে বর্ণনা করেন।

দারাকুতনী বলেনঃ আসওয়াদ হচ্ছেন ইবনু সালাবাহ শামী। হাদীসটিকে বাইহাকীও বর্ণনা করেছেন। অনুরূপভাবে দাইলামী (১/১/১৫২) হাকিম সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এটি "আলমুসতাদরাক" গ্রন্থে (১/১৭৬) বর্ণিত হয়েছে আবূ সাহল আহমাদ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু যিয়াদ নাহবী হতে, তিনি আবু ইসমাইল মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাইল সুলামী হতে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি সনদ থেকে আলী ইবনু আলীকে ফেলে দিয়েছেন। আর বাইহাকী বলেনঃ প্রথমটি বেশী সঠিক। আর তার সনদটি শক্তিশালী নয়।

ইবনুত তুরকুমানী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ তা যদি বাকিয়্যার মুদাল্লিস হওয়ার কারণে হয়। (তাহলে তার কথা গ্রহণযোগ্য নয়) কারণ এখানে তিনি সুস্পষ্টভাবে হাদীস বর্ণনা করার কথা বলেছেন। আর মুদাল্লিস বর্ণনাকারী যখন স্পষ্টভাবে হাদীস বর্ণনা করেন তখন তিনি গ্রহণযোগ্য।

আমি (আলবানী) বলছিঃ সনদটি দুর্বল হওয়ার বিষয়টি বাকিয়্যার কারণে নয়। কারণ যে সনদকে বাইহাকী বেশী সঠিক বলে প্রাধান্য দিয়েছেন সে সনদে বাকিয়্যার শাইখ আলী ইবনু ’আলীর সাথে সুলাইমের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং তিনি তাকে হাদীস বর্ণনা করে শুনিয়েছেন। এ কারণে বাকিয়্যার দোষ থেকে হাদীসটির সনদ মুক্ত। বাকী থাকছে এ সুলাইম আর আমার নিকট বাইহাকী কর্তৃক হাদিসটি দুর্বল আখ্যা দেয়ার কারণ হচ্ছে এ সুলাইম-ই। কারণ তিনি বেশী প্রসিদ্ধ নন। এমনকি হাফিয ইবনু হাজারের নিকট তার অবস্থা লুক্কায়িতই রয়ে গেছে। এ কারণে তিনি তাকে আল-লিসান গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ তিনি বাকিয়্যাহ, মুহাম্মাদ ইবনু হারব, অলীদ ইবনু মুসলিম, আব্দুল্লাহ ইবনু সালেম আশ’আরী এবং তাদের সমসাময়িকদের থেকে বর্ণনা করেছেন। আর তার থেকে মুহাম্মাদ ইবনু আউফ হিমসী ও তার সমসাময়িকরা বর্ণনা করেছেন।

হাফিয ইবনু হাজার তার সম্পর্কে ভালো-মন্দ কিছুই বলেননি। তার থেকে এটা আশ্চর্যের ব্যাপার। কারণ ইবনু আবী হাতিম তাকে “আলজারহু অততাদীল” গ্রন্থে (৩/১/৪৮-৪৯) উল্লেখ করে বলেছেনঃ তিনি সুলাইম নামে পরিচিত। তিনি তার শাইখদের মধ্যে বিশর ইবনু শুয়াইবকেও উল্লেখ করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে, তার পিতা তার থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি আরো বলেছেন যে, তিনি সত্যবাদী।

আমি (আলবানী) বলছি তার ন্যায় ব্যক্তির হাদীসের ব্যাপারে হৃদয় পরিতৃপ্ত হয় এবং তার হাদীস হাসান পর্যায়ভুক্ত হয়ে যায়। অতঃপর আমি অবগত হয়ে বলছি যে, এটিকে বাইহাকী আসওয়াদ ইবনু সা’লাবা শামীর কারণেই দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। তার সম্পর্কে আলী ইবনুল মাদীনী বলেনঃ তাকে চেনা যায় না যেমনটি “আলমীযান” গ্রন্থে এসেছে।

এ হাদীসটির সনদ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত যদিও সাব্যস্ত হয়নি, বিদ্বানগণের এর উপরে ’আমল রয়েছে। বরং ইমাম তিরমিযী এর উপরে ইজমা’ সংঘটিত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। দেখুন (১/২৫৮)। তবে এ হাদীস থেকে যা বুঝা যায় তা গ্রহণ না করাই উচিত। কারণ নেফাসধারী নারী যদি সাত দিনের পূর্বেই পবিত্র হয়ে যাওয়াকে লক্ষ্য করে তাহলে গোসল করবে এবং সালাতও আদায় করবে। কারণ নেফাসের সর্বনিম্ন সময়কাল নির্দিষ্ট নেই। যেমনটি বিশেষজ্ঞগণ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

إذا مضى للنفساء سبع، ثم رأت الطهر، فلتغتسل ولتصل ضعيف - أخرجه الدارقطني (82) ومن طريقه البيهقي (1 / 342) : حدثنا أبو سهل بن زياد حدثنا أبو إسماعيل الترمذي حدثنا عبد السلام بن محمد الحمصي - ولقبه سليم -: حدثنا بقية بن الوليد: أنبأنا علي بن علي بن الأسود عن عبادة بن نسي عن عبد الرحمن بن غنم عن معاذ بن جبل عن النبي صلى الله عليه وسلم به. قال سليم: فلقيت علي بن علي فحدثني عن الأسود عن عبادة بن نسي عن عبد الرحمن بن غنم عن معاذ بن جبل عن النبي صلى الله عليه وسلم مثله. وقال الدارقطني: " الأسود، هو ابن ثعلبة، شامي ". وأخرجه البيهقي أيضا، وكذا الديلمي (1 / 1 / 152) من طريق الحاكم - وهذا في المستدرك (1 / 176) -: حدثنا أبو سهل أحمد بن محمد بن عبد الله بن زياد النحوي ببغداد: حدثنا أبو إسماعيل محمد بن إسماعيل السلمي به، إلا أنه أسقط من الإسناد علي بن علي. وقال البيهقي: " والأول أصح، وإسناده ليس بالقوي ". وتعقبه ابن التركماني بقوله: " قلت: إن كان ذلك لأجل بقية فهو مدلس، وقد صرح بالتحديث، والمدلس إذا صرح بذلك فهو مقبول قلت: ليس ذلك لأجل بقية، فإن في الإسناد الذي رجحه البيهقي، أن سليما لقي علي بن علي شيخ بقية، فحدثه بالحديث، فبرئت عهدة بقية منه، ولزمت سلميا هذا، وهو السبب عندي في تضعيف البيهقي لإسناده، لأنه ليس بالمشهور كثيرا، حتى أن الحافظ ابن حجر خفي عليه حاله، فإنه أورده في " اللسان " قائلا: " روى عن بقية ومحمد بن حرب والوليد بن مسلم وعبد الله بن سالم الأشعري وطبقتهم، روى عنه محمد بن عوف الحمصي وطبقته ". ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا، وهذا عجيب منه، فإن ابن أبي حاتم قد أورده في " الجرح والتعديل " (3 / 1 / 48 - 49) ووصفه بـ " المعروف بسليم " وزاد في شيوخه " بشر بن شعيب "، وذكر أن أباه روى عنه، وأنه قال: " صدوق ". قلت: فمثله مما تطمئن النفس لحديثه، ويكون حسنا. ثم استدركت فقلت: إنما ضعفه البيهقي من أجل الأسود بن ثعلبة الشامي، فقد قال فيه ابن المديني: " لا يعرف "، كما في " الميزان ". وذكر له في " التهذيب " عن عبادة بن الصامت قال: " علمت ناسا من أهل الصفة القرآن ... " الحديث. وعنه عبادة بن نسي. قال ابن المديني: " لا أحفظ عنه غير هذا الحديث ". قلت: ويستدرك عليهم هذا الحديث، فإنه ثابت الإسناد إليه، وقال الحاكم فيه: " شامي معروف، والحديث غريب "! ووافقه الذهبي. وهذا الحديث وإن تبين أنه لم يثبت إسناده إلى النبي صلى الله عليه وسلم، فالعمل عليه عند أهل العلم، بل نقل الترمذي الإجماع على ذلك، فراجعه (1 / 258) ولكن ينبغي أن لا يؤخذ بمفهو مه، فإنها إذا رأت الطهر قبل السبع اغتسلت وصلت أيضا، لأنه لا حد لأقل النفاس، على ما هو المعتمد عند أهل التحقيق


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ