হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৬২৪

পরিচ্ছেদঃ

১৬২৪। তুমি যখন সকালের সালাত আদায় করবে তখন তুমি কারো সাথে কথা বলার পূর্বে সাতবার বলঃ হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে নিরাপদে রাখ। অতঃপর তুমি যদি তোমার এ দিনে মারা যাও তাহলে আল্লাহ্ তা’আলা তোমার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে নিরাপত্তা লিখে দিবেন। আর যখন মাগরিবের সালাত আদায় করবে তখনও তুমি অনুরূপ কথা বল। কারণ তুমি যদি তোমার এ রাতে মারা যাও তাহলে আল্লাহ্ তা’আলা তোমার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে নিরাপত্তা লিখে দিবেন।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদীসটি হাফিয ইবনু হাজার “নাতাইযুল আফকার” গ্রন্থে (১/১৬২/১-২) হারেস ইবনু মুসলিম ইবনুল হারেস তামীমী সূত্রে তার পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।

অতঃপর (ইবনু হাজার) বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। এটিকে আবু দাউদ, আবুল কাসেম বাগাবী, নাসাঈ “আলকুবরা” গ্রন্থে, ত্ববারানী ও ইবনু হিব্বান তার “সহীহ” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।

অতঃপর হাফিয ইবনু হাজার উল্লেখ করেছেন যে, কোন কোন বর্ণনাকারী হারিস ইবনু মুসলিম এবং তার পিতার নাম পাল্টিয়ে ফেলে বলেনঃ মুসলিম ইবনুল হারিস তার পিতা হতে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর হাফিয ইবনু হাজার- যারা হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তাদের মধ্য হতে কোন কোন বর্ণনাকারী প্রথম বর্ণনায় বর্ণনা করেছেন এ কথা উল্লেখ করার পর বলেনঃ আর আবু হাতিম ও আবু যুর’য়াহ এ বর্ণনাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। কিন্তু ইবনু হিব্বানের বর্ণনা এ সিদ্ধান্তের বিরোধী হওয়ার প্রমাণ বহন করছে। কারণ তিনি হাদীসটি তার “সহীহ” গ্রন্থে আবূ ইয়ালা হতে বর্ণনা করেছেন। সম্ভবত তার নিকট এটা প্রাধান্য পেয়েছে যে, এ হাদীসের বর্ণনাকারী সাহাবী হচ্ছেন হারেস ইবনু মুসলিম।

আমি (আলবানী) বলছিঃ আল্লাহ ইবনু হাজারের উপর রহমত নাযিল করুন। কারণ সাহাবীর নামের তাহকীক করাটাই তাকে ব্যস্ত রেখেছে তার থেকে বর্ণনাকারী তার ছেলের অবস্থা বর্ণনা করার চেয়ে। অথচ সাহাবী থেকে বর্ণনাকারী তার ছেলেই আমার নিকট হাদীসটির সমস্যা। কারণ তিনি অপরিচিত। ফলে হাদীসটিকে হাসান আখ্যা দেয়া হাদীস শাস্ত্রের বিধান অনুযায়ী বহু দূরবর্তী কথা। আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, তার নিকট যেমন এখানে অজানা রয়ে গেছে তেমনিভাবে “আত-তাকরীব” গ্রন্থেও অজানা রয়ে গেছে। তিনি বর্ণনাকারী ছেলে সম্পর্কে কোন আলোচনাই করেননি।

আমি (আলবানী) বলছি তার ছেলের জীবনী কোথায়? সাহাবীর নাম মুসলিম হোক কিংবা হারেস? হাফিয ইবনু হাজার "আলইসাবাহ" গ্রন্থে প্রাধান্য দিয়েছেন যে, পিতার নাম হচ্ছে মুসলিম। আর ইবনু আব্দিল বার বলেনঃ এটিই সঠিক।

অনুরূপভাবে হাফিয ইবনু হাজার “তাহযীবুত তাহযীব” গ্রন্থেও ছেলের জীবনী সম্পর্কে পৃথকভাবে কোন আলোচনা করেননি। তবে তার পিতার জীবনীর মধ্যে তাকে উল্লেখ করেছেন এবং দারাকুতনীর উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছেন যে, তিনি মাজহুল (অপরিচিত)। তিনি আরো উল্লেখ করেছেন যে, একমাত্র ইবনু হিব্বান যা বলেছেন তা ছাড়া তাকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দেয়ার বিষয়টি তিনি পাননি। ইবনু হাজার বলেনঃ এরূপ হাদীসকে সহীহ আখ্যা দেয়া বহু দূরবর্তী ব্যাপার। কিন্তু ইবনু হিব্বান অভ্যাসগতভাবে একজন বর্ণনাকারীর বর্ণনাকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়ে থাকেন, যদি বর্ণনাটি মুনকার না হয়।

মোটকথা এ ব্যক্তি মাজহুল। দারাকুতনী স্পষ্টভাবেই তা বলেছেন। আর আবু হাতিম বলেছেনঃ তার অবস্থা সম্পর্কে জানা যায় না। যেমনটি “আলফায়েয” গ্রন্থে এসেছে। তা সত্ত্বেও গুমারী তার “আলকানয” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।

হাদীসটিকে আবু দাউদ (২/৩২৬), ইবনু হিব্বান (২৩৪৬) উল্লেখ করেছেন। অনুরূপভাবে ইমাম বুখারী “আততারীখুল কাবীর” গ্রন্থে (৪/১/২৫৩), ইবনুস সুন্নী "আমলুল ইয়াওম অললাইলাহ" (নং ১৩৬), আহমাদ (৪/২৩৪), মুহাম্মাদ ইবনু সুলাইমান রিবাঈ “জুযউম মিন হাদীসিহি” (১-২/২১৪), ইবনু আসাকির (৪/১৬৫/১, ১৬/২৩৪/২) বর্ণনা করেছেন। মুনযেরী ও সুয়ূতী “আলজামেউস সাগীর” গ্রন্থে নাসাঈর উদ্ধৃতিতেও উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তার “সুনানুস সুগরা” গ্রন্থে পাচ্ছি না। অথচ নাসাঈ বলতে এটিকেই বুঝানো হয়ে থাকে। সম্ভবত তার “সুনানুল কুবরা” অথবা "আমলুল ইয়াওয়াম অললাইলাহ" গ্রন্থে রয়েছে। অতঃপর আমি এ গ্রন্থেই দেখেছি।

إذا صليت الصبح فقل قبل أن تكلم أحدا: اللهم أجرني من النار سبع مرات، فإنك إن مت من يومك، كتب الله لك جوارا من النار، وإذا صليت المغرب فقل مثل ذلك، فإنك إن مت من ليلتك، كتب الله لك جوارا من النار ضعيف - أخرجه الحافظ ابن حجر في " نتائج الأفكار " (1 / 162 / 1 - 2) من طريق الحارث بن مسلم بن الحارث التميمي أن أباه حدثه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم:. ثم قال: " هذا حديث حسن، أخرجه أبو داود، وأبو القاسم البغوي، والنسائي في " الكبرى "، والطبراني وابن حبان في (صحيحه) ثم ذكر الحافظ أن بعض الرواة قلب اسم الحارث بن مسلم وأبيه، فقال: مسلم بن الحارث عن أبيه، ثم أخرجها. ثم قال بعد أن ذكر بعض الرواة الذين رووه على الرواية الأولى: " ورجح أبو حاتم وأبو زرعة هذه الرواية، وصنيع ابن حبان يقتضي خلاف ذلك، فإنه أخرج الحديث في " صحيحه " عن أبي يعلى كما أخرجته، فكأنه ترجح عنده أن الصحابي في هذا الحديث هو الحارث بن مسلم قلت: رحم الله الحافظ، لقد شغله تحقيق القول في اسم الصحابي، عن بيان حال ابنه الراوي عنه، الذي هو علة الحديث عندي، فإنه غير معروف، فتحسين حديثه حينئذ، بعيد عن قواعد هذا العلم، ومن العجيب أنه كما ذهل عن ذلك هنا، ذهل عنه في " التقريب " أيضا، فإنه في ترجمة الحارث بن مسلم، أحال على مسلم بن الحارث، فلما رجعنا إليه فإذا به يقول: " مسلم بن الحارث، ويقال: الحارث بن مسلم التميمي، صحابي، قليل الحديث ". قلت: فأين ترجمة ولده سواء أكان اسمه مسلما أوحارثا؟ وقد جزم الحافظ في " الإصابة " بأن الراجح في اسم أبيه أنه مسلم، وقال ابن عبد البر: " وهو الصحيح ". وكذلك صنع الحافظ في " تهذيب التهذيب "، فلم يجعل للولد ترجمة خاصة، ولكنه ذكره في ترجمة أبيه، ونقل عن الدارقطني أنه مجهول، وذكر أنه لم يجد فيه توثيقا، إلا ما اقتضاه صنيع ابن حبان، حيث أخرج الحديث في " صحيحه "، وما رأيته إلا من روايته. قال الحافظ: " وتصحيح مثل هذا في غاية البعد، لكن ابن حبان على عادته في توثيق من لم يروعنه إلا واحد، إذا لم يكن فيما رواه ما ينكر ". وهذا معناه أن الرجل مجهول، وهو ما صرح به الدارقطني كما في " الميزان "، وقال أبو حاتم: " لا يعرف حاله ". كما في " الفيض ومع ذلك ذكره الغماري في " كنزه " (265) والحديث في أبي داود (2 / 326) وابن حبان (2346) وكذا البخاري في " التاريخ الكبير " (4 / 1 / 253) وابن السني في " عمل اليوم والليلة " (رقم 136) وأحمد (4 / 234) ومحمد بن سليمان الربعي في " جزء من حديثه " (214 / 1 - 2) وابن عساكر (4 / 165 / 1 و16 / 234 / 2) وعزاه المنذري (1 / 167) ثم السيوطي في " الجامع الصغير " للنسائي أيضا، ولم أره في " السنن الصغرى " له، وهو المراد عند إطلاق العزوإليه، فلعله في " الكبرى " له، أو " عمل اليوم والليلة " له. ثم رأيته فيه (111)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ