হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৬২৩

পরিচ্ছেদঃ

১৬২৩। তোমাদের কেউ যখন সফরের উদ্দেশ্যে বের হবে, তখন সে যেন তার ভাইদেরকে বিদায় জানায়। কারণ আল্লাহ্ তা’য়ালা তার জন্য তাদের দুয়ার মধ্যে বরকত রেখেছেন।

হাদীসটি বানোয়াট।

হাদীসটিকে আবুল আব্বাস আসাম তার “হাদীস” গ্রন্থে (খণ্ড ১/ নং ১৩৯), দাইলামী (১/১/১০৮), ইবনু আসাকির (১৬/২০৩/১) ও ইবনু কুদামাহ “আলমুতাহাব্বীনা ফিল্লাহ্” গ্রন্থে (কাফ ২/১১১) বাকর ইবনু সাহল দিমইয়াতী হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ হতে, তিনি মুযাহিম ইবনু যুফার তামীমী হতে, তিনি আইউব ইবনু খুত হতে, তিনি নুফাঈ’ ইবনুল হারেস হতে, তিনি যায়েদ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি বানোয়াট। এর সমস্যা হচ্ছে নুফাই’। তিনি হচ্ছেন আবু দাউদ আলআ’মা। তাকে কাতাদা মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি জালকারী, কিছুই না। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে সন্দেহ করে বানোয়াট হাদীস বর্ণনাকারী। তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। হাকিম বলেনঃ তিনি বুরাইদাহ ও আনাস (রাঃ) হতে কতিপয় বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করেন।

আর আইউব ইবনু খুত সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেনঃ তাকে ইবনুল মুবারাক প্রমুখ ত্যাগ করেছেন। আর ইয়াহইয়া বলেনঃ তার হাদীস লিখা যাবে না। নাসাঈ, দারাকুতনী ও একদল বলেনঃ তিনি মাতরূক। আযদী বলেনঃ তিনি মিথ্যুক। সাজী বলেনঃ বিদ্বানগণ তার হাদীস ত্যাগ করার ব্যাপারে ইজমা’ করেছেন। তিনি বাতিল হাদীস বর্ণনা করতেন।

ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি প্রসিদ্ধ বর্ণনাকারীদের উদ্ধৃতিতে এমন সব মুনকার হাদীস বর্ণনা করতেন যেন সেগুলো তার দু’হাত বানিয়েছে। আর বাকর ইবনু সাহল দিমইয়াতী হচ্ছেন দুর্বল।

হাদিসটিকে সুয়ূতী "আলজামে" গ্রন্থে ইবনু আসাকির ও দাইলামীর "মুসনাদুল ফিরদাউস" গ্রন্থের বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন। আর মানবী বলেছেনঃ এর সনদে নাফে ইবনুল হারেস রয়েছেন। হাফিয যাহাবী তাকে "আয যুয়াফা" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ ইমাম বুখারী বলেনঃ তার হাদিস সহীহ নয়।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ নাফে’ যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তিনি হাদীসটির সনদের মধ্যে উল্লেখিত নুফাই নয়। কারণ এ নাফে হচ্ছেন কূফী আর তিনি হচ্ছেন বাসরী। যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার “আললিসান” গ্রন্থে স্পষ্টভাবে বলেছেন। এ কারণে মানবী কর্তৃক নাফে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সমস্যা বর্ণনা করাটা ধারণাপ্রসূত। সঠিক হচ্ছে এই যে, যিনি বাসরী উনি হচ্ছেন নুফাই, তিনিই যায়েদ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। আর যিনি কূফী তিনি হচ্ছেন নাফে, তিনি শুধুমাত্র আনাস (রাঃ) হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ নাফে’ সম্পর্কে ইমাম বুখারী উক্ত কথা বলেন। আর এ হাদীসটি হচ্ছে যায়েদ ইবনুল আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীস। অতএব সাব্যস্ত হচ্ছে যে, এ হাদীসের মধ্যে বর্ণনাকারী হচ্ছেন মিথ্যুক নুফাই বাসরী।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সন্দেহের কারণে মানবী তার “আততাইসীর” গ্রন্থে শুধুমাত্র বলেনঃ এর সনদটি দুর্বল।

إذا خرج أحدكم إلى سفر، فليودع إخوانه، فإن الله جاعل له في دعائهم البركة موضوع - رواه أبو العباس الأصم في " حديثه " (ج 1 رقم 139 من نسختي) والديلمي (1 / 1 / 108) وابن عساكر (16 / 203 / 1) وابن قدامة في " المتحابين في الله " (ق 111 / 2) عن بكر بن سهل الدمياطي: أخبرنا عبد الله بن يوسف أخبرنا مزاحم بن زفر التميمي حدثني أيوب بن خوط عن نفيع بن الحارث عن زيد بن أرقم مرفوعا. قلت: وهذا إسناد موضوع، آفته نفيع هذا، وهو أبو داود الأعمى، كذبه قتادة، وقال ابن معين: " يضع، ليس بشيء ". وقال ابن حبان: " يروي عن الثقات الموضوعات توهما، لا يجوز الاحتجاج به وقال الحاكم: " روى عن بريدة وأنس أحاديث موضوعة ". وأيوب بن خوط، قال البخاري: " تركه ابن المبارك وغيره ". وقال يحيى: " لا يكتب حديثه ". وقال النسائي والدارقطني وجماعة: " متروك ". وقال الأزدي: " كذاب ". وقال الساجي: " أجمع أهل العلم على ترك حديثه، كان يحدث بأحاديث بواطيل وقال ابن حبان: " كان يروي المناكير عن المشاهير، كأنها مما عملت يداه ". وبكر بن سهل الدمياطي ضعيف. والحديث أورده السيوطي في " الجامع " من رواية ابن عساكر والديلمي في " مسند الفردوس "، وقال المناوي: " وفيه نافع بن الحارث، قال الذهبي في " الضعفاء ": قال البخاري: لا يصح حديثه ". قلت: ونافع هذا الذي ذكره، هو غير نفيع المذكور في سند الحديث، فإنه كوفي وذاك بصري، كما صرح به الحافظ في " اللسان "، وعليه فإعلال المناوي الحديث بنافع هذا وهم منه، ولعله وقع في نسخته من ابن عساكر أوالمسند مسمى نافعا فظن أنه الكوفي، وهو الذي قال فيه البخاري ما ذكره، والحق أنه البصري، وهو نفيع، ويقال فيه: نافع، وهو الذي يروي عن زيد ابن أرقم، وأما الكوفي فلا نعرف له رواية إلا عن أنس، وهذا من حديث زيد بن أرقم كما رأيت، فتعين أنه البصري الكذاب قلت: وبناء على وهم المناوي المذكور اقتصر في كتابه " التيسير " على قوله: " إسناده ضعيف


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ