হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৬০৭

পরিচ্ছেদঃ

১৬০৭। হে সালাবাহ! তোমার ধ্বংস হোক। কম পরিমাণ সম্পদ তুমি যার শুকরিয়া আদায় করো, তা বেশী কল্যাণকর বেশী সম্পদ থেকে যা তুমি বহন করতে সক্ষম নও (যার তুমি শুকরিয়া আদায় করতে সক্ষম নও)। তুমি কি চাও না যে তুমি আল্লাহর নবীর মত হও? সেই সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার আত্মা, আমি যদি চাইতাম আমার সাথে রৌপ্য রূপা আর স্বর্ণের পাহাড় প্রবাহিত হোক তাহলে তাই প্রবাহিত হতো।

হাদীসটি খুবই দুর্বল।

হাদীসটিকে অহেদী "আসবাবুন নুযুল" গ্রন্থে (পৃঃ ১৯১-১৯২) মায়ান ইবনু রিফায়াহ সুলামী হতে, তিনি আলী ইবনু ইয়াযীদ হতে, তিনি কাসেম ইবনু আব্দুর রহমান হতে, তিনি আবূ উমামাহ বাহেলী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, সালাবাহ ইবনু হাতেব আনসারী রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! আপনি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করুন তিনি যেন আমাকে সম্পদ দান করেন। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন এ (উক্ত) কথা বলেনঃ ... । তখন সে বললঃ আপনাকে যিনি সত্য সহকারে প্রেরণ করেছেন সেই সত্ত্বার কসম আপনি যদি আল্লাহর নিকট আমার সম্পদ বৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করেন তাহলে অবশ্যই আমি প্রত্যেক হকদারকে দান করে সম্পদের হক আদায় করব। তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে আল্লাহ! তুমি সালাবাকে সম্পদ দান কর।

অতঃপর সে ছাগল গ্রহণ করল আর তা যেরূপ পোকা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে সেভাবে বৃদ্ধি পেতে লাগলো। মদীনা তার জন্য সংকীর্ণ স্থান হয়ে পড়ল। এ কারণে সে মদীনা থেকে দূরে সরে গেল। সে মদীনার উপত্যকাগুলোর এক উপত্যকায় অবস্থান গ্রহণ করল এমনকি সে যোহর এবং আসরের সালাত জামায়াতের সাথে আদায় করা শুরু করল আর এ দু’ওয়াক্ত ছাড়া বাকী সালাতগুলো ছেড়ে দেয়া শুরু করল। অতঃপর সম্পদ যখন আরো বৃদ্ধি পেল এবং অঢেল হয়ে গেলো তখন সে এক জুমায়াহ হতে অন্য জুম’য়াহ পর্যন্ত সালাত ছেড়ে দেয়া শুরু করল। এমতাবস্থায় তার সম্পদ পোকার ন্যায় বৃদ্ধি পেতেই থাকল। অবশেষে সে জুমায়ার সালাতও ছেড়ে দিল। এ সময় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, সালাবা কি করছে? তারা বললঃ সে একটি ছাগল গ্রহণ করে অতঃপর তার জন্য মদীনা সংকীর্ণ হয়ে যায় ...।

অতঃপর রসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ব্যক্তিকে সাদাকা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করলেন...। তিনি তাদের দু’জনকে সা’লাবা এবং বানু সুলাইম গোত্রের অপর এক ব্যক্তির নিকট যেতে বলে তাদের দু’জনের নিকট থেকে সাদাকাহ গ্রহণ করতে বললেন। তারা দু’জন বের হয়ে সা’লাবার নিকট এসে সাদাকাহ চাইল এবং তাকে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চিঠি পাঠ করে শুনাল। তখন সে বললঃ এটা ট্যাক্স ছাড়া আর কিছু নয়। এটা তো ট্যাক্সের বোন। আমি জানি না এটা কি? সে দু’জনকে চলে যেতে বলে জানালো ... আমার সিদ্ধান্ত কি হয় একটু ভেবে দেখি। ফলে তারা দু’জন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলো আর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের দু’জনকে দেখে বললেনঃ ধ্বংস সা’লাবার। তিনি তাদের দু’জনের সাথে কথা বলার পূর্বেই আল্লাহ্ তা’য়ালা নাযিল করলেনঃ

وَمِنْهُمْ مَنْ عَاهَدَ اللَّهَ لَئِنْ آتَانَا مِنْ فَضْلِهِ لَنَصَّدَّقَنَّ وَلَنَكُونَنَّ مِنَ الصَّالِحِينَ ٭ فَلَمَّا آتَاهُمْ مِنْ فَضْلِهِ بَخِلُوا بِهِ وَتَوَلَّوْا وَهُمْ مُعْرِضُونَ ٭ فَأَعْقَبَهُمْ نِفَاقًا فِي قُلُوبِهِمْ إِلَىٰ يَوْمِ يَلْقَوْنَهُ بِمَا أَخْلَفُوا اللَّهَ مَا وَعَدُوهُ وَبِمَا كَانُوا يَكْذِبُونَ

“তাদের মধ্যেকার কিছুলোক আল্লাহর সঙ্গে ওয়াদা করেছিল, যদি তিনি আমাদেরকে তার অনুগ্রহ হতে দান করেন তবে আমরা অবশ্যই দান করব আর অবশ্যই সৎ লোকদের মধ্যে শামিল থাকব (৭৫) অতঃপর আল্লাহ যখন তাদেরকে স্বীয় করুণার দানে ধন্য করলেন, তখন তারা দান করার ব্যাপারে কার্পণ্য করল আর বে-পরোয়াভাবে মুখ ফিরিয়ে নিল (৭৬) পরিণামে তিনি আল্লাহর সঙ্গে কৃত তাদের ওয়াদা ভঙ্গের কারণে এবং মিথ্যাচারে লিপ্ত থাকার কারণে তাদের অন্তরে মুনাফিকী বদ্ধমূল করে দিলেন ঐ দিন পর্যন্ত যেদিন তারা তার সাথে সাক্ষাৎ করবে।” (৭৭) (সূরা তওবা)

অতঃপর সালাবা বের হয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তার সাদাকাহ গ্রহণ করার জন্য আবেদন করল। তখন তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ তা’য়ালা আমাকে তোমার সাদাকাহ্ গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন ...। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মারা যান কিন্তু তার কোন সাদাকাহ গ্রহণ করেননি...। এর মধ্যেই রয়েছে সে আবু বাকর (রাঃ)-এর নিকট তার খেলাফাতকালে আসে কিন্তু তিনিও তার থেকে সাদাকাহ গ্রহণ করেননি। এভাবে সে উমার (রাঃ) অতঃপর উসমান (রাঃ)-এর খেলাফাত কালে সাদাকাহ গ্রহণ করার অনুরোধ নিয়ে আসলেও তারা তার সাদাকাহ গ্রহণ করেননি।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ হাদীসটি প্রসিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও মুনকার। এর সমস্যা হচ্ছে আলী ইবনু ইয়াযীদ। তিনি হচ্ছেন আলহানী। তিনি মাতরূক। আর বর্ণনাকারী মা’য়ান হাদীসের ক্ষেত্রে দুর্বল। এ সূত্রেই ইবনু জারীর, ইবনু আবী হাতিম, ত্ববারানী, বাইহাকী “আদদালাইল” ও “আশশুয়াব” গ্রন্থে ও ইবনু মারদুবিয়্যাহ বর্ণনা করেছেন যেমনটি "তাফসীর ইবনু কাসীর" প্রমুখ গ্রন্থে এসেছে। ইরাকী “তাখরীজুল ইয়াহইয়া” গ্রন্থে (৩/১৩৫) বলেনঃ এ সনদটি দুর্বল।

আর হাফিয ইবনু হাজার “তাখরীজুল কাশশাফ” গ্রন্থে (৪/৭৭/১৩৩) বলেনঃ এর সনদটি খুবই দুর্বল।

ويحك يا ثعلبة! قليل تؤدي شكره، خير من كثير لا تطيقه، أما ترضى أن تكون مثل نبي الله، فوالذي نفسي بيده لوشئت أن تسيل معي الجبال فضة وذهبا لسالت ضعيف جدا - أخرجه الواحدي في " أسباب النزول " (ص 191 - 192) وغيره من طريق معان بن رفاعة السلامي عن علي بن يزيد عن القاسم بن عبد الرحمن عن أبي أمامة الباهلي: " أن ثعلبة بن حاطب الأنصاري أتى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال: يا رسول الله! ادع الله أن يرزقني مالا، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (فذكره) ، فقال: والذي بعثك بالحق لئن دعوت الله أن يرزقني مالا لأوتين كل ذي حق حقه، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: اللهم ارزق ثعلبة مالا. فاتخذ غنما فنمت كما ينموالدود، فضاقت عليه المدينة، فتنحى عنها، فنزل واديا من أوديتها حتى جعل يصلي الظهر والعصر في جماعة، ويترك ما سواهما، ثم نمت وكثرت حتى ترك الصلاة إلى الجمعة، وهي تنمو كما ينمو الدود، حتى ترك الجمعة، فسأل رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: ما فعل ثعلبة؟ فقالوا: اتخذ غنما فضاقت عليه المدينة ... فبعث رسول الله صلى الله عليه وسلم رجلين على الصدقة ... وقال لهما: مرا بثعلبة، وبفلان رجل من بني سليم، فخذا صدقاتهما، فخرجا حتى أتيا ثعلبة فسألاه الصدقة، وأقرآه كتاب رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: ما هذه إلا جزية، ما هذه إلا أخت الجزية، ما أدري ما هذا؟ انطلقا ... حتى أرى رأيي، فانطلقا حتى أتيا النبي صلى الله عليه وسلم، فلما رآهما قال: يا ويح ثعلبة، قبل أن يكلمهما ... فأنزل الله عز وجل: " ومنهم من عاهد الله لئن آتانا من فضله لنصدقن "، إلى قوله تعالى: " بما كانوا يكذبون "،.. فخرج ثعلبة حتى أتى النبي عليه السلام، فسأله أن يقبل منه صدقته، فقال: إن الله منعني أن أقبل صدقتك،.. وقبض رسول الله صلى الله عليه وسلم ولم يقبل منه شيئا ... " الحديث، وفيه أنه أتى أبا بكر في خلافته فلم يقبلها منه، وهكذا عمر في خلافته وعثمان في خلافته قلت: وهذا حديث منكر على شهرته، وآفته علي بن يزيد هذا، وهو الألهاني متروك، ومعان لين الحديث، ومن هذا الوجه أخرجه ابن جرير وابن أبي حاتم والطبراني والبيهقي في " الدلائل " و" الشعب "، وابن مردويه كما في " تفسير ابن كثير " وغيره، وقال العراقي في " تخريج الإحياء " (3 / 135) : " سنده ضعيف ". وقال الحافظ في " تخريج الكشاف " (4 / 77 / 133) : " إسناده ضعيف جدا


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ