পরিচ্ছেদঃ
১৫৯৫। ন্যায়পরায়ন ইমামের একদিন ষাট বছর ইবাদাত করার চেয়েও উত্তম। আর যমীনের মধ্যে যদি হক পস্থায় একটি শাস্তি বাস্তবায়ন করা হয় তা যমীনের মধ্যে বেশী পবিত্র চল্লিশ বছর বৃষ্টির চেয়েও।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটিকে ত্ববারানী "আলমুজামুল কাবীর" গ্রন্থে (৩/১৪০/২) সা’দ আবী গায়লান শাইবানী হতে, তিনি আফফান ইবনু জুবায়ের ত্বাঈ হতে, তিনি আবূ হুরাইয আযদী হতে, তিনি ইকরিমাহ হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
হাদীসটির সনদ এবং ভাষা উভয়েরই জা’ফার ইবনু আউন বিরোধিতা করে বলেছেনঃ তিনি আফফান ইবনু জুবায়ের ত্বাঈ হতে, তিনি ইকরিমা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি সনদ হতে আবু হুরাইযকে ফেলে দিয়েছেন। আর ভাষার মধ্যে “বছরের” স্থলে “সকাল” ব্যবহার করেছেন।
এটিকে ত্ববারানী “আলআওসাত” গ্রন্থে (৪৯০১) ও "মাজমাউল বাহরাইন" গ্রন্থে (১/১৯৪/১) উল্লেখ করে বলেছেনঃ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে হাদীসটিকে একমাত্র এ সনদেই বর্ণনা করা হয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি আমার নিকট দুর্বল। কারণ এর কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে আবু হুরাইয আযদী, যার নাম আব্দুল্লাহ ইবনু হুসাইন। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি সত্যবাদী ভুলকারী।
আর আফফান ইবনু জুবায়ের ত্বাঈকে ইবনু আবী হাতিম "আলজারহু অততাব্দীল" গ্রন্থে (৩/২/৩০) আবূ গায়লান শাইবানী ও জাফর ইবনু আউনের বর্ণনায় উল্লেখ করে তার সম্পর্কে ভালো-মন্দ কিছুই বলেননি। অতএব তার অবস্থা মাজহুল।
আর সা’দ আবু গায়লান শাইবানীকে তিনি (২/১/৯৯) নাসাব (বংশ পরিচয়) বর্ণনা করা ছাড়া এভাবেই উল্লেখ করে তার সম্পর্কে ভালো-মন্দ কিছুই বলেননি। তিনি এর পূর্বে তাকে ’ত্ব অধ্যায়ে’ উল্লেখ করে তিনি তার নাম বলেছেনঃ ত্বালেব। আর তার পিতার উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ তিনি ভালো শাইখ, তার হাদীসের মধ্যে কারুকার্য করা হয়েছে।
আবূ যুর’য়াহ বলেনঃ তার ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই।
হাইসামীর নিকট এ বিষয়টি লুক্কায়িতই রয়ে গেছে এ কারণে তিনি তাকে চিনেন নি। তিনি হাদীসটিকে “আলমাজমা” গ্রন্থে (৫/১৯৭) প্রথম বাক্যে "আমান" শব্দে উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটিকে ত্ববারানী "আলকাবীর" ও “আলআওসাত” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। আর এর সনদের মধ্যে আবূ গাইলান শাইবানী রয়েছেন, আমি তাকে চিনি না। আর অবশিষ্ট বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তার এ ব্যাখ্যায় কয়েকভাবে বিরূপ মন্তব্য রয়েছেঃ
১ । “আলকাবীর” এবং “আলআওসাত” গ্রন্থের ভাষা পরস্পর বিরোধী।
২। "আলকাবীর" গ্রন্থের সনদের মধ্যেও আবু গাইলান রয়েছেন। আর “আলআওসাত” গ্রন্থে জা’ফর ইবনু আউন তার মুতাবা’য়াত করেছেন তিনি তার চেয়ে বেশী নির্ভরযোগ্য। এর দ্বারা বুখারী ও মুসলিম দলীল গ্রহণ করেছেন।
৩। আবূ গাইলান পরিচিত। সম্ভবত হাইসামীর নিকট লুক্কায়িতই রয়ে গেছে যে, ইবনু আবী হাতিম অন্যত্র তাকে উল্লেখ করে তাকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দেয়ার বিবরণ দিয়েছেন।
মুনযেরী “আততারগীব” গ্রন্থে (৩/১৩৫) হাদীসটি “আলকাবীর” গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছেন তবে তিনি "বছরের" স্থলে "সকাল" ব্যবহার করে বলেছেনঃ এটিকে ত্ববারানী “আলকাবীর” ও “আলআওসাত” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সনদটি হাসান।
তার এ কথায় শিথিলতা প্রদর্শন করা হয়েছে। যদিও হাফিয ইরাকী তার অনুসরণ করেছেন।
হাদীসটিকে গাযালী “আলইয়াহইয়া” গ্রন্থে নিম্নের বাক্যে উল্লেখ করেছেনঃ
ليوم من سلطان عادل، أفضل من عبادة سبعين سنة
“ন্যায়পরায়ন বাদশার একদিন সত্তর বছরের ইবাদাতের চেয়েও উত্তম।”
অতঃপর ইরাকী “তাখরাজুল ইয়াহইয়া” গ্রন্থে (১/১৫৫) বলেছেনঃ এটিকে ত্ববারানী আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর হাদীস হতে ভালো সনদে বর্ণনা করেছেন (ষাট বছর) উল্লেখ করে।
يوم من إمام عادل أفضل من عبادة ستين سنة، وحد يقام في الأرض بحقه أزكى فيها من مطر أربعين عاما ضعيف - أخرجه الطبراني في " المعجم الكبير " (3 / 140 / 2) من طريق سعد أبي غيلان الشيباني قال: سمعت عفان بن جبير الطائي عن أبي حريز الأزدي عن عكرمة عن ابن عباس مرفوعا به. وخالفه إسنادا ومتنا جعفر بن عون فقال: أخبرنا عفان بن جبير الطائي عن عكرمة به إلا أنه أسقط أبا حريز من الإسناد، وقال: " صباحا " بدل: " عاما ". أخرجه الطبراني في " الأوسط " (رقم - 4901 - مصورتي) ، و" مجمع البحرين " (1 / 194 / 1) وقال: " لا يروى عن ابن عباس إلا بهذا الإسناد قلت: وهو ضعيف عندي لأن مداره على أبي حريز الأزدي واسمه عبد الله بن حسين، قال الحافظ: " صدوق يخطىء ". وعفان بن جبير الطائي، أورده ابن أبي حاتم في " الجرح والتعديل " (3 / 2 / 30) من رواية أبي غيلان الشيباني وجعفر بن عون المذكورين في الإسناد، ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا، فهو مجهول الحال. وأما سعد أبو غيلان الشيباني، فأورده هكذا (2 / 1 / 99) دون أن ينسب، ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا، وأورده قبل ذلك في " باب الطاء " وسمى أباه طالبا، وقال عن أبيه: " شيخ صالح، في حديثه صنعة وعن أبي زرعة: " لا بأس به ". وخفي هذا على الهيثمي فلم يعرفه كما يأتي، وقد أورده في " المجمع " (5 / 197) باللفظ الأول: " عاما "، ثم قال: " رواه الطبراني في " الكبير " و" الأوسط "، وفيه سعد أبو غيلان الشيباني، ولم أعرفه، وبقية رجاله ثقات ". قلت: في هذا التخريج نظر من وجوه الأول: أن اللفظ لـ " الكبير "، ولفظ " الأوسط " مخالف له كما تقدم. الثاني: أن أبا غيلان هو في إسناد " الكبير " أيضا وحده، وتابعه في " الأوسط " جعفر بن عون وهو أوثق منه، فقد احتج به الشيخان الثالث: أن أبا غيلان معروف كما تقدم، فكأنه خفي عليه أن ابن أبي حاتم أورده في المكان الآخر الذي حكى فيه توثيقه. وأما المنذري فأورده في " الترغيب " (3 / 135) بسياقه " الكبير " أيضا، لكن بلفظ: " صباحا "! وقال: " رواه الطبراني في " الكبير " و" الأوسط "، وإسناد الكبير حسن ". كذا قال، ولا يخفى ما فيه من التساهل، وإن تبعه الحافظ العراقي، فقد أورده الغزالي في " الإحياء " بلفظ: " ليوم من سلطان عادل، أفضل من عبادة سبعين سنة ". فقال العراقي في " تخريجه " (1 / 155) : " رواه الطبراني من حديث ابن عباس بسند حسن بلفظ: ستين