হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৫৯২

পরিচ্ছেদঃ

১৫৯২। জ্ঞান হচ্ছে কুরাইশদের মধ্যে আর আমানাত হচ্ছে আনসারদের মাঝে।

হাদিসটি দুর্বল।

হাদিসটিকে হাফিয ইরাকী "মাহাজ্জাতুল কুরবি ইলা মাহাব্বাতিল আরাবে" গ্রন্থে (২৩/১) ত্ববারানীর সূত্রে ইয়াহইয়া ইবনু উসমান ইবনু সালেহ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি ইবনু লাহীয়াহ হতে, তিনি ইয়াযীদ ইবনু আবী হাবীব হতে, তিনি ইবনু জুয’উ যুবাইদী হতে (তিনি হচ্ছেন আবদুল্লাহ ইবনুল হারেস ইবনে জুযউ) মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ এ সনদটি হাসান। এটিকে ত্ববারানী “আলমুজামুল কাবীর” গ্রন্থে এভাবে বর্ণনা করেছেন। আর “আলআওসাত” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন এভাবেঃ "আমানাত হচ্ছে আযদীদের মধ্যে", এবং বলেছেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনুল হারেস ইবনু জুযউ হতে ইয়াযীদ ইবনু আবী হাবীব ছাড়া অন্য কেউ হাদীসটি বর্ণনা করেননি। ইবনু লাহীয়াহ এটিকে এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি (ইবনু লাহীয়াহ্) দুর্বল তার মস্তিষ্ক বিকৃত ঘটার কারণে। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তনি সত্যবাদী। তার গ্রন্থগুলো পুড়ে যাওয়ার পর তার অবস্থা গোলমেলে হয়ে যায়। ইবনুল মুবারাক ও ইবনু ওয়াহাব কর্তৃক তার থেকে কৃত বর্ণনা সঠিক অন্যদের বর্ণনা থেকে। সহীহ মুসলিমের মধ্যে অন্যের সাথে মিলিতভাবে বর্ণনাকারী হিসেবে তার কিছু হাদীস রয়েছে।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এমতাবস্থায় তার হাদীসকে হাসান আখ্যা দেয়া শিথিলতা প্রদর্শনের অন্তর্ভুক্ত। তবে যদি তার থেকে তিন আব্দুল্লাহ্ বর্ণনা করেন তাহলে ভিন্ন কথা। হাফিয ইবনু হাজার তাদের দু’জনকে উল্লেখ করেছেন আর তৃতীয়জন হচ্ছেন আব্দুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ মুকরী।

এছাড়া বর্ণনাকারী ইয়াহইয়া ইবনু উসমান ইবনু সালেহের ব্যাপারেও সমালোচনা রয়েছে। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি সত্যবাদী। তবে তাকে কেউ কেউ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন ...। হাইসামী সম্ভবত তার শাইখ ইরাকীর অনুসরণ করে “আলমাজমা” গ্রন্থে (১০/২৫) বলেছেনঃ হাদীসটিকে ত্ববারানী “আলআওসাত” ও “আলকাবীর” গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ এর সনদটি হাসান। আর মানবীও তার অন্ধ অনুসরণ করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ সনদের মধ্যে উক্ত দুর্বলতা সত্ত্বেও কিভাবে এটি হাসান হয়! হাফিয ইরাকী “আলআওসাত” এবং “আলকাবীর” গ্রন্থে হাদীসটির ভাষার ভিন্নতা সম্পর্কে যে বর্ণনা দিয়েছেন তা ঘটেছে ইবনু লাহীয়াহ কর্তৃক। তিনি একবার এ ভাষায় আবার অন্য ভাষায় বর্ণনা করেছেন। যেমনটি ইবনু আবী হাতিম “আলইলাল” গ্রন্থে (২/৩৬৪) উসমান ইবনু সালেহের বর্ণনায় উল্লেখ করে তিনি তার পিতার উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ তিনি একমাত্র ইবনু লাহীয়াহ হতে, তিনি মূসা ইবনু ওরদান হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন।

আমি (আলবানী) বলছি মূসা ইবনু ওরদানের ব্যাপারেও সমালোচনা রয়েছে। হাফিয যাহাবী “আযযুয়াফা” গ্রন্থে বলেনঃ তাকে ইবনু মা’ঈন দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। আর আবু দাউদ তাকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি সত্যবাদী কখনও কখনও ভুলকারী।

মোটকথা, হাদীসটি দুর্বল। কারণ এর কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে ইবনু লাহীয়াহ আর তিনি হচ্ছেন দুর্বল বর্ণনাকারী। এছাড়াও সনদ এবং ভাষা উভয় ক্ষেত্রে ইযতিরাব সংঘটিত হয়েছে। আল্লাহই বেশী জানেন।

অতঃপর আমি হাদীসটিকে ত্ববারানীর “আলআওসাত” গ্রন্থে (৬৩৭৫) দেখেছি, হাদীসটি (তিন আব্দুল্লার) কোন আব্দুল্লাই- ইবনু লাহীয়াহ হতে বর্ণনা করেননি। বরং এটি ইবনু লাহীয়াহ হতে ইমরান ইবনু হারূন রামালী কর্তৃক বর্ণনাকৃত।

العلم في قريش، والأمانة في الأنصار ضعيف - رواه الحافظ العراقي في " محجة القرب إلى محبة العرب " (23 / 1) من طريق الطبراني قال: حدثنا يحيى بن عثمان بن صالح حدثني أبي حدثنا ابن لهيعة حدثني يزيد بن أبي حبيب عن ابن جزء الزبيدي وهو عبد الله بن الحارث بن جزء مرفوعا. وقال الحافظ: " هذا حديث حسن، رواه الطبراني في " المعجم الكبير " هكذا، ورواه في " الأوسط " فقال فيه: والأمانة في الأزد، وقال: لم يروه عن عبد الله بن الحارث بن جزء إلا يزيد بن أبي حبيب، تفرد به ابن لهيعة قلت: وهو ضعيف لاختلاطه، وقد قال الحافظ في " التقريب ": " صدوق، خلط بعد احتراق كتبه، ورواية ابن المبارك وابن وهب عنه أعدل من غيرهما، وله في مسلم بعض شيء، مقرون ". أقول: فتحسين حديثه - والحالة هذه - لا يخلو من تساهل، إلا أن يكون من رواية أحد العبادلة الثلاثة، ذكر الحافظ اثنين منهم، والثالث: عبد الله بن يزيد المقرىء. على أن يحيى بن عثمان بن صالح فيه كلام أيضا، قال الحافظ: " صدوق، ولينه بعضهم لكونه حدث من غير أصله ". هذا، وكأن الهيثمي تبع شيخه العراقي، فقال في " المجمع " (10 / 25) : " رواه الطبراني في " الأوسط " و" الكبير " وإسناده حسن "! وقلده المناوي! قلت: أنى له الحسن مع الضعف الذي بينا في سنده، والاختلاف الذي بينه العراقي في متنه بين رواية " الكبير " و" الأوسط "؟! وهذا الاختلاف إنما هو من ابن لهيعة نفسه، حدث به هكذا مرة، وهكذا أخرى، كما ذكر ابن أبي حاتم في " العلل " (2 / 364) من رواية عثمان بن صالح، وقال عن أبيه: " إنما يرويه ابن لهيعة عن موسى بن وردان عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قلت: وموسى بن وردان، فيه كلام أيضا، قال الذهبي في " الضعفاء ": " ضعفه ابن معين، ووثقه أبو داود ". وقال الحافظ: " صدوق ربما أخطأ ". وجملة القول أن الحديث ضعيف، لأن مداره على ابن لهيعة، وهو ضعيف، مع اضطرابه في سنده ومتنه. والله أعلم. ثم رأيت الحديث في " أوسط الطبراني " (6375 - بترقيمي) ، فإذا هو ليس من رواية أحد العبادلة، وإنما من رواية عمران بن هارون الرملي: حدثنا ابن لهيعة به. واسم (هارون) غير ظاهر في نسختي المصورة، ولكنه الذي غلب على ظني، فإن يكن هو فهو صدوق كما قال أبو زرعة، وانظر " لسان الميزان


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ