পরিচ্ছেদঃ
১৫৩১। সে পর্যন্ত কিয়ামত কায়েম হবে না যে পর্যন্ত মাসজিদকে রাস্তা বানিয়ে নেয়া না হবে, যে পর্যন্ত ব্যক্তি শুধুমাত্র পরিচিত ব্যক্তিকেই সালাম না দিবে, যে পর্যন্ত নারী ও তার স্বামী উভয়ে ব্যবসা না করবে, যে পর্যন্ত ঘোড়া ও নারীর মূল্য বৃদ্ধি না পাবে। অতঃপর মূল্য কমে যাবে, কিয়ামত দিবস পর্যন্ত আর বৃদ্ধি পাবে না।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটিকে হাকিম (৪/৪৪৬) শু’বাহ সূত্রে হুসাইন হতে, তিনি আব্দুল আ’লা ইবনুল হাকাম হতে, তিনি বানু আমেরের এক ব্যক্তি হতে, তিনি খারেজাহ ইবনুস সলত বারজামী হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমি একদিন আব্দুল্লাহর সাথে মসজিদে প্রবেশ করলাম। লোকেরা এ সময় রুকূ’ অবস্থায় ছিল। এ সময় এক ব্যক্তি যাচ্ছিল, তিনি তার প্রতি সালাম প্রদান করলেন, অতঃপর বললেনঃ আল্লাহ্ ও তার রসূল সত্যই বলেছেন, আল্লাহ্ ও তার রসূল সত্যই বলেছেন। তখন আমি তাকে সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ ...।
হাকিম বলেনঃ সনদটি সহীহ। বাশীর ইবনু সুলাইমান তার বর্ণনায় এ বাক্যগুলোকে মুসনাদ আকারে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর শু’বার এ বর্ণনার দ্বারা হাদীসটি সহীহ হয়ে গেছে।
আমি (আলবানী) বলছি কখনও নয়। হাফিয যাহাবী এর সমস্যা বর্ণনা করেছেন যে, এটি মওকুফ ...। এর সমস্যা হচ্ছে দুটিঃ
১। বর্ণনাকারী আব্দুল আ’লা ইবনুল হাকাম এবং খারোজাহ ইবনুস সলত উভয়ের অবস্থা অজ্ঞাত। (অর্থাৎ তাদের দু’জনের অবস্থা অজানা)। ইবনু আবী হাতিম তাদের দু’জনেরই জীবনী আলোচনা করার পর (১/২/৩৭৪, ৩/১/২৫) তাদের দু’জন সম্পর্কে ভালো-মন্দ কিছুই বলেননি।
২। এর সনদের মধ্যে মতভেদ সংঘটিত হয়েছে। শু’বাহ হাদীসটিকে এভাবে বর্ণনা করেছেন আর যায়েদাহ হুসাইন হতে বর্ণনা করার ক্ষেত্রে তার মুতাবা’য়াত করেছেন শুধুমাত্র প্রথম বাক্যটি বর্ণনা করার ব্যাপারে।
এটিকে ত্ববারানী “আলমুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (১/৩৬/২) বর্ণনা করেছেন। আর সাওরী তাদের দু’জনের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ হুসাইন হতে, তিনি আব্দুল আ’লা হতে তিনি বলেনঃ ... যেভাবে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে সম্পূর্ণরূপে সেভাবে।
এটিকেও ত্ববারানী বর্ণনা করেছেন। আর সাওর শু’বার চেয়ে বেশী বড় হাফেয। কিন্তু শু’বার সাথে যায়েদাহ রয়েছেন এবং তাদের দু’জনের সাথে কিছু বেশী রয়েছে। অতএব এ বেশীটা গ্রহণ করা ওয়াজিব।
মোটকথাঃ হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে বর্ণনাকারীর অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞতা। এখানে আমি হাদীসটি উল্লেখ করেছি শেষোক্ত এ বাক্যের কারণেঃ "যে পর্যন্ত ঘোড়া ও নারীর মূল্য বৃদ্ধি না পাবে। অতঃপর মূল্য কমে যাবে, কিয়ামত দিবস পর্যন্ত আর বৃদ্ধি পাবে না"। কারণ এর সমর্থনে উপকারী কোন শাহেদ পাচ্ছি না, যা একে শক্তিশালী করে। এ ছাড়া উপরের বাক্যগুলো সহীহ্ হিসেবে বিভিন্ন সূত্র থেকে সাব্যস্ত হয়েছে। দেখুন "সিলসিলাহ সহীহাহ" (৬৪৭, ৬৪৯)।
لا تقوم الساعة حتى تتخذ المساجد طرقا وحتى يسلم الرجل على الرجل بالمعرفة وحتى تتجر المرأة وزوجها وحتى تغلوالخيل والنساء، ثم ترخص فلا تغلوإلى يوم القيامة ضعيف - أخرجه الحاكم (4 / 446) من طريق شعبة عن حصين عن عبد الأعلى بن الحكم - رجل من بني عامر - عن خارجة بن الصلت البرجمي قال: دخلت مع عبد الله يوما المسجد، فإذا القوم ركوع، فمر رجل، فسلم عليه، فقال: صدق الله ورسوله، صدق الله ورسوله، فسألته عن ذلك، فقال: إنه لا تقوم الساعة ... وقال: " صحيح الإسناد، وقد أسند هذه الكلمات بشير بن سلمان في روايته، ثم صار الحديث برواية شعبة هذه صحيحا قلت: كلا، وأعله الذهبي بأنه موقوف وليس بشيء، وإنما علته أمران الأول: جهالة حال عبد الأعلى بن الحكم، وخارجة بن الصلت، فقد ترجمهما ابن أبي حاتم (1 / 2 / 374 و3 / 1 / 25) ولم يذكر فيهما جرحا ولا تعديلا والآخر: الاختلاف في إسناده، فقد رواه شعبة هكذا، وتابعه زائدة: أخبرنا حصين به نحوه مقتصرا على الفقرة الأولى منه. أخرجه الطبراني في " المعجم الكبير " (1 / 36 / 2) . وخالفهما الثوري، فقال: عن حصين عن عبد الأعلى قال: " دخلت المسجد مع ابن مسعود فركع ... " الحديث نحوه بتمامه. أخرجه الطبراني. والثوري أحفظ من شعبة، لكن هذا معه زائدة، ومعهما زيادة، فالواجب قبولها وبالجملة فالحديث علته الجهالة، وإنما أوردته من أجل قوله: " وحتى تغلوالخيل ... " إلخ، فإني لم أجد له شاهدا مفيدا يقويه، وأما سائره فصحيح ثابت من طرق فانظر الكتاب الآخر رقم (647 - 649)