পরিচ্ছেদঃ
১৫২৪। যে ব্যক্তি বুধ ও শনিবারে শিংগা লাগাবে, অতঃপর ধবল রোগ দেখতে পাবে, সে যেন নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকে ভৎসনা না করে।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটিকে ইবনু আদী “আলকামেল” গ্রন্থে (১/১৫৪), হাকিম (৪/৪০৯, ৪১০) ও বাইহাকী (৯/৩৪০) সুলাইমান ইবনু আরকাম সূত্রে যুহরী হতে, তিনি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। হাকিম এর ব্যাপারে চুপ থেকেছেন। আর যাহাবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ বর্ণনাকারী সুলাইমান মাতরূক।
বাইহাকী বলেনঃ সুলাইমান ইবনু আরকাম দুর্বল।
আমি (আলবানী) বলছিঃ যুহরী হতে বর্ণনা করার ক্ষেত্রে ইবনু সামায়ান তার মুতাবায়াত করেছেন।
এটিকে ইবনু আদী (২/২০৮) বর্ণনা করে বলেছেনঃ এ হাদীসটি নিরাপদ নয়। ইবনু সামায়ান হচ্ছেন আব্দুল্লাহ ইবনু যিয়াদ ইবনু সুলাইমান ইবনে সামায়ান কুরাশী। তার হাদীসের মধ্যে দুর্বলতা সুস্পষ্ট। বাইহাকী বলেনঃ তিনিও দুর্বল।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব হতে বর্ণনা করার ক্ষেত্রে হাসান ইবনুস সলত তার (ইবনু সামায়ানের) মুতাবায়াত করেছেন।
এটিকে আবুল আব্বাস আলআসাম তার “হাদীস” গ্রন্থে (খণ্ড ২ নং ১৪৭) বাকর ইবনু সাহল দিমইয়াতী হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু আবিস সারীউ আসকালানী হতে, তিনি শুয়াইব ইবনু ইসহাক হতে, তিনি হাসান ইবনুস সলত হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কারণে দুর্বলঃ
১। ইবনুস সলতের জীবনী পাচ্ছি না। তিনি শামী যেমনটি ত্ববারানী অন্য হাদীসের মধ্যে স্পষ্ট করেছেন (দেখুনঃ নং ৭৫৮)।
২। আসকালানী সত্যবাদী তবে তার বহু সন্দেহমূলক বর্ণনা রয়েছে।
৩। বাকর ইবনু সাহল দিমইয়াতীকে নাসাঈ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। বাইহাকী এর সম্পর্কেই বলেছেনঃ ইনিও দুর্বল। সঠিক হচ্ছে এই যে, যুহরী সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে মুনকাতি হিসেবে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সম্ভবত এটি মা’মারের বর্ণনায় যুহরী হতে বর্ণিত হয়েছে। মুনযের “আততারগীব” গ্রন্থে (৪/১৬১) বলেনঃ মামার হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ ...। অতঃপর মুনযেরী বলেনঃ এটিকে আবু দাউদ এভাবেই বর্ণনা করে বলেছেনঃ সনদ সহকারে উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু সহীহ নয়।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি “সুনানু আবী দাউদ” গ্রন্থে নেই, বাহ্যিক অবস্থা এই যে, এটি তার “মারাসিল” গ্রন্থে রয়েছে। অতঃপর আমি এটিকে তার “আততিব” গ্রন্থে (কাফ ১/২৩) আব্দুর রাযযাকের সূত্র হতে পেয়েছি। তিনি এটিকে “আলমুসান্নাফ” গ্রন্থে (১১/২৯/১৯৮১৬) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ আমাদেরকে মামার যুহরীর উদ্ধৃতিতে সংবাদ দিয়েছেন যে, নবী ...।
এ থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, যুহরী হতে মা’মারের বর্ণনায় এটি বর্ণিত হয়েছে যেমনটি পূর্ব থেকে ধারণা করেছিলাম। "আত-তারগীব” গ্রন্থ থেকে বর্ণনাকারী ছুটে যাওয়া এবং উল্টা-পাল্টা করার মত ঘটনা ঘটেছে, যা বিচক্ষণ পাঠকের নিকট লুক্কায়িত থাকার কথা নয়। অতএব হাদীসটি মুরসাল অথবা মু’যাল।
মানবী “আলফায়েয” গ্রন্থে বলেনঃ ইবনুল জাওযী হাদীসটিকে “আলমাওয়ূয়াত” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। আর হাফিয ইবনু হাজার ইবনু আমরের হাদীস হতে “আললিসান” গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ ইবনু হিব্বান বলেনঃ এটি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস নয়।
সুয়ূতী “আললাআলী” গ্রন্থে (২/৪০৮, ৪১০) আর ইবনু ইরাক "তানযীহুশ শারীয়াহ" গ্রন্থে (২/৩৫৮) এ সূত্রগুলোসহ অন্যান্য সূত্রের দ্বারা ইবনুল জাওযীর সমালোচনা করেছেন। এ সূত্রগুলো যদি হাদীসটিকে বানোয়াটের গণ্ডি হতে বের হতে সাহায্য করেও তবুও হাদীসটিকে শক্তিশালী করতে সক্ষম নয় সেগুলোর অধিকাংশেরই অবস্থা বেশী দুর্বল হওয়ার কারণে। আনাস (রাঃ) হতে এর একটি শাহেদ (১৪০৮) নম্বরে পূর্বে আলোচিত হয়েছে সেটি খুবই দুর্বল।
মানবীর ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে আশ্চর্যাম্বিত হতে হয় এ কারণে যে, তিনি নিজেই নিজের বিরোধিতা করেন যার কোন কারণ জানিনা। তিনি "আততায়সীর" গ্রন্থে বলেনঃ হাদিসটির সনদ সহীহ। আর আলফায়েয গ্রন্থে তিনি বলেছেন তার সম্পূর্ণ বিপরীত।
ভাষার মধ্যে কিছু বৃদ্ধি সহকারে যুহরী হতে মুরসাল বর্ণনায় হাদীসটি (১৬৭২) নম্বরে আসবে।
من احتجم يوم الأربعاء ويوم السبت، فراى وضحا، فلا يلومن إلا نفسه ضعيف - أخرجه ابن عدي في " الكامل " (154 / 1) والحاكم (4 / 409 - 410) والبيهقي (9 / 340) من طريق سليمان بن أرقم عن الزهري عن سعيد بن المسيب عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا، سكت عنه الحاكم، وتعقبه الذهبي بقوله: " سليمان متروك ". وقال البيهقي: " سليمان بن أرقم ضعيف ". قلت: وتابعه ابن سمعان عن الزهري به. أخرجه ابن عدي (208 / 2) وقال: " هذا الحديث غير محفوظ، وابن سمعان عبد الله بن زياد بن سليمان بن سمعان القرشي، الضعف على حديثه بين ". وعلقه البيهقي، وقال: " وهو أيضا ضعيف قلت: وتابعه الحسن بن الصلت عن سعيد بن المسيب به. أخرجه أبو العباس الأصم في " حديثه " (ج 2 رقم 147 - نسختي) قال: حدثنا بكر بن سهل الدمياطي أخبرنا محمد بن أبي السري العسقلاني أخبرنا شعيب بن إسحاق عن الحسن بن الصلت. قلت: وهذا إسناد ضعيف مسلسل بالعلل الأولى: ابن الصلت هذا لم أجد له ترجمة، وهو شامي كما صرح الطبراني في حديث آخر مضى (758) الثانية: العسقلاني، صدوق له أوهام كثيرة الثالثة: بكر بن سهل الدمياطي ضعفه النسائي. وعلقه البيهقي أيضا من هذا الوجه، وقال: " وهو أيضا ضعيف، والمحفوظ عن الزهري عن النبي صلى الله عليه وسلم منقطعا. والله أعلم قلت: ولعله من رواية معمر عن الزهري، فقد قال المنذري في " الترغيب " (4 / 161) : وعن معمر عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: فذكره، وقال : " رواه أبو داود هكذا وقال: قد أسند ولا يصح ". قلت: وليس هذا في " كتاب السنن "، فالظاهر أنه في " المراسيل ". ثم تأكدت من هذا الذي كنت استظهرته من سنين حين رجعت إلى نسخة مصورة لدي من كتاب " المراسيل "، منحني إياها مع غيرها من المصورات القيمة أحد إخواننا الطلاب في الجامعة الإسلامية - جزاه الله خيرا -، فوجدت الحديث في " الطب " منه (ق 23 / 1) من طريق عبد الرزاق، وهذا أخرجه في " المصنف " (11 / 29 / 19816) قال: أخبرنا معمر عن الزهري أن النبي صلى الله عليه وسلم ... إلخ. فتبين أنه من رواية معمر عن الزهري كما كنت ظننت من قبل، وأن في " الترغيب " سقطا وتحريفا لا يخفى على القارىء اللبيب، وأن الحديث مرسل أومعضل. وقال المناوي في " الفيض ": " وأورده ابن الجوزي في " الموضوعات وذكره في " اللسان " من حديث ابن عمرو، وقال: قال ابن حبان: ليس هو من حديث رسول الله صلى الله عليه وسلم ". وقد تعقب السيوطي في " اللآليء " (2 / 408 - 410) ابن الجوزي، وتبعه ابن عراق في " تنزيه الشريعة " (2 / 358) بهذه الطرق وغيرها، وهي إن ساعدت على رفع الحكم على الحديث بالوضع، فلا تجدي في تقويته شيئا، لشدة ضعف أكثرها، وقد مضى له شاهد ضعيف جدا من حديث أنس رقم (1408) . وإن من عجائب المناوي التي لا أعرف لها وجها، أنه في كثير من الأحيان يناقض نفسه، فقد قال في " التيسير ": " وإسناده صحيح "! فهذا خلاف ما في " الفيض ". وسيأتي الحديث عن الزهري مرسلا بزيادة في المتن برقم (1672)