পরিচ্ছেদঃ
১৫২২। চারটি বম্ভ হতভাগ্যের অন্তর্ভুক্ত; চোখের কৃপণতা (ক্ৰন্দন কম করা), হৃদয়ের বক্রতা, দীর্ঘ আকাঙ্ক্ষা ও দুনিয়ার লোভ।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটিকে ইবনু আদী (২/১৯৩) ও আবু নুয়াইম “আখবারু আসবাহান” গ্রন্থে (১/২৪৬) সুলাইমান ইবনু আমর ইবনে ওয়াহাব হতে, তিনি ইসহাক ইবনু আব্দুল্লাহ্ ইবনে আবী ত্বলহা হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইবনু আদী বলেনঃ এ হাদীসটিকে ইসহাকের উদ্ধৃতিতে সুলাইমান জাল করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছি তবে আবূ নুয়াইমের নিকট “আলহিলইয়্যাহ্” গ্রন্থে (৬/১৭৫) এর অন্য সূত্র রয়েছে, তিনি হাসান ইবনু উসমান হতে, তিনি আবু সাঈদ মাযেন হতে, তিনি হাজ্জাজ ইবনু মিনহাল হতে, তিনি সালেহ মিররী হতে, তিনি ইয়াযীদ রুকাশী হতে, তিনি আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
তিনি (আবু নুয়াইম) বলেনঃ হাজ্জাজ- সালেহ হতে মারফু হিসেবে এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ বর্ণনাকারী সালেহ্ দুর্বল। আর ইয়াযীদ রুকাশী তার মতই।
হাদীসটিকে ইবনু কাসীর তার “তাফসীর” গ্রন্থে (১/১১৪) বাযযারের বর্ণনায় আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করে চুপ থেকেছেন। আর আমি এর সনদ সম্পর্কে অবগত হয়েছি। তিনি (বাযযার) তার “মুসনাদ’ গ্রন্থে (কাফ ১/৩০৫) হাদীসটিকে হানী ইবনুল মুতাওয়াক্কিল সূত্রে আব্দুল্লাহ ইবনু সুলাইমান হতে, তিনি আবান হতে, তিনি আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর বাযযার বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবনু সুলাইমান কতিপয় হাদীস বর্ণনা করেছেন যেগুলোর মুতাবা’য়াত করা হয়নি।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি হচ্ছেন আব্দুল্লাহ ইবনু সুলাইমান ইবনে যুর’য়াহ হিমইয়ারী মিসরী আতত্ববীল। হাফিয যাহাবী তার সম্পর্কে "আত-তাকরীব" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী ভুলকারী। তবে আব্দুল্লাহর শাইখ আবান ইবনু আবী আইয়্যাশের দ্বারা সমস্যা বর্ণনা করা বেশী উত্তম, কারণ তিনি মাতরূক।
হানী ইবনুল মুতাওয়াক্কিলও তার নিকটবর্তী। কারণ ইবনু হিব্বান “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি যখন বয়স্ক হয়ে যান তখন তাকে ধরিয়ে দিতে হতো। এরপর তিনি উত্তর দিতেন। ফলে তার বর্ণনার মধ্যে মুনকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। কোন অবস্থাতেই তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না।
হাফিয যাহাবী তার মুনকারগুলো উল্লেখ করেছেন এটি সেগুলোর একটি। কিন্তু প্রথম সূত্রে আবানের স্থলে ইসহাক ইবনু আব্দুল্লাহ্ ইবনে আবী ত্বলহা রয়েছেন।
হাফিয যাহাবী বলেন (হাফিয ইবনু হাজারও তার অনুসরণ করেন) এ হাদীসটি মুনকার।
এর দ্বারাই হাদীসটির সমস্যা বর্ণনা করে হাইসামী (১০/২২৬) বলেনঃ তিনি দুর্বল।
أربع من الشقاء: جمود العين وقسوة القلب والأمل والحرص على الدنيا ضعيف - رواه ابن عدي (193 / 2) وأبو نعيم في " أخبار أصبهان " (1 / 246) عن سليمان بن عمرو بن وهب عن إسحاق بن عبد الله بن أبي طلحة عن أنس مرفوعا. وقال ابن عدي: " وهذا الحديث وضعه سليمان على إسحاق ". قلت: لكن له طريق أخرى عند أبي نعيم في " الحلية " (6 / 175) عن الحسن بن عثمان: حدثنا أبو سعيد المازني حدثنا حجاج بن منهال عن صالح المري عن يزيد الرقاشي عن أنس بن مالك به. وقال: " تفرد برفعه متصلا عن صالح حجاج قلت: وصالح ضعيف، ومثله يزيد الرقاشي. وأورده ابن كثير في " التفسير " (1 / 114) من رواية البزار عن أنس، وسكت عنه، وقد وقفت على إسناده، فقد أخرجه في " مسنده " (ق 305 / 1) من طريق هانىء بن المتوكل: حدثنا عبد الله بن سليمان عن أبان عن أنس به. وقال: " عبد الله بن سليمان حدث بأحاديث لا يتابع عليها قلت: هو عبد الله بن سليمان بن زرعة الحميري المصري الطويل. قال الحافظ في " التقريب ": " صدوق يخطىء وإعلاله بشيخه أبان - وهو ابن أبي عياش - أولى لأنه متروك. على أن هانىء بن المتوكل قريب منه، فقال ابن حبان في " الضعفاء ": " كان يدخل عليه لما كبر فيجيب، فكثر المناكير في روايته، فلا يجوز الاحتجاج به بحال ". وقد ساق له الذهبي مناكير هذا أحدها، لكن وقع فيه إسحاق بن عبد الله بن أبي طلحة كما في الطريق الأولى مكان أبان. وقال الذهبي وتبعه العسقلاني: " هذا حديث منكر ". وبه أعله الهيثمي (10 / 226) ، فقال: " وهو ضعيف