পরিচ্ছেদঃ
১৩৪৯। প্রত্যেক বস্তুরই শৃঙ্গ থাকে আর কুরআনের শৃঙ্গ হচ্ছে সূরা বাক্বারাহ। যে ব্যক্তি তার গৃহে রাতে তা পাঠ করবে সে বাড়িতে তিন রাত শয়তান প্রবেশ করবে না। আর যে ব্যক্তি তার গৃহে দিনে তা পাঠ করবে সে গৃহে তিনদিন শয়তন প্রবেশ করবে না।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটি ওকায়লী “আযযুয়াফা” গ্রন্থে (পৃঃ ১১৫), ইবনু হিব্বান (নং ১৭২৭) আবু ইয়ালা [তার “মুসনাদ’ গ্রন্থে (৪/১৮২৬)] সূত্রে, আবু নুয়াইম “আখবারু আসবাহান” গ্রন্থে (১/১০১) খালেদ ইবনু সাঈদ মাদানী হতে, তিনি আবূ হাযিম হতে, তিনি সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।
ওকায়লী হাদীসটিকে বর্ণনাকারী খালেদের জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে উল্লেখ করে বলেছেনঃ তার হাদিসের মুতাবা’য়াত করা হয় নি।
ইবনু হিব্বান তাকে "আসসিকাত" গ্রন্থে (২/৭২) উল্লেখ করেছেন। কারণ তার নীতি হচ্ছে অপরিচিত মাজহুল বর্ণনাকারীদেরকে তিনি নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়ে থাকেন।
তিনি হচ্ছেন খালেদ ইবনু সাঈদ ইবনে আবী মারইয়াম তায়মী যেমনটি “আল-লিসান” গ্রন্থে এসেছে। তাকে ইবনুল কাত্তান মাজহুল (অপরিচিত) আখ্যা দিয়েছেন। ইবনুল মাদীনী বলেনঃ তাকে আমরা চিনি না।
সম্পূর্ণ হাদীসটির সমর্থনে কোন শক্তিশালী শাহেদ পাচ্ছি না যে হাদীসটিকে শক্তিশালী করবে, তবে হাদীসটির প্রথম অংশটুকু সহীহ। এ কারণে আমি সেটুকুকে "সিলসিলাহ সহীহাহ" গ্রন্থে উল্লেখ করেছি। যেমনটি পূর্বের হাদীসের ব্যাখ্যার মধ্যে উল্লেখ করেছি।
إن لكل شيء سناما، وإن سنام القرآن، سورة البقرة، من قرأها في بيته ليلا لم يدخله الشيطان ثلاث ليال، ومن قرأها في بيته نهارا لم يدخله الشيطان ثلاثة أيام ضعيف - أخرجه العقيلي في " الضعفاء " (ص 115) وابن حبان (رقم 1727 - موارد) من طريق أبي يعلى وهذا في " مسنده " (4/1826) وأبو نعيم في " أخبار أصبهان " (1/101) عن خالد بن سعيد المدني عن أبي حازم عن سهل بن سعد قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أورده العقيلي في ترجمة خالد هذا، وقال لا يتابع على حديثه وأما ابن حبان فأورده في " الثقات " (2/72) على قاعدته في توثيق المجهولين وهو خالد بن سعيد بن أبي مريم التيمي كما في " اللسان " وقد جهله ابن القطان ، وقال ابن المديني لا نعرفه ولم نجد للحديث شاهدا نقويه به إلا طرفه الأول منه، وهو مخرج في " السلسلة الأخرى كما ذكرت آنفا في الحديث الذي قبله