হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৩৩৬

পরিচ্ছেদঃ

১৩৩৬। যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম থেকে তিন আয়াত পাঠ করবে তাকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা করা হবে।

হাদীসটি শায।

হাদীসটি ইমাম তিরমিযী (২/১৪৫) মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু জাফার হতে, তিনি শু’বাহ হতে, তিনি কাতাদাহ হতে, তিনি সালেম হতে, তিনি সালেম ইবনু আবিল জা’দ হতে, তিনি মি’দান হতে, তিনি আবু ত্বলহাহ হতে, তিনি আবুদ দারদা (রাঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। অন্য সনদে মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার মুয়ায ইবনু হিশাম হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি কাতাদাহ হতে এ সনদে অনুরূপভাবে বর্ণনা করেছেন।

আবু ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

আমি (আলবানী) বলছিঃ হাদীসটি এ ভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় সহীহ। এটি হচ্ছে শায, এটির ক্ষেত্রে শু’বা অথবা তার নিচের বর্ণনাকারী ভুল করেছেন। শু’বা হাদীসটি বর্ণনা করার ক্ষেত্রে অন্য স্থানেও ভুল করেছেন। তিনি প্রথমে ভুল করেছেন দশের স্থলে তিন উল্লেখ করে, অথচ দশ হওয়াই সঠিক। কারণ ইমাম আহমাদ হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবনু জাফার এবং হাজ্জাজ হতে আর তারা দু’জন শু’বা হতে বর্ণনা করেছেন নিম্নলিখিত ভাষায়ঃ

“যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের শেষ থেকে দশটি আয়াত পাঠ করবে তাকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা করা হবে।” এটিকে ইমাম মুসলিম (২/১৯৯) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনু বাশশার হতে, তারা দু’জন মুহাম্মাদ ইবনু জাফার হতে ... বর্ণনা করেছেন।

এখানে শুবা কর্তৃক আরেকটি ভুল হয়েছে আর সেটি হচ্ছে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, সূরা কাহাফের শেষ থেকে ...। কারণ হিশাম দাসতুওয়াঈ কাতাদা হতে নিম্নলিখিত ভাষায় বর্ণনা করেছেনঃ

"যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম থেকে দশটি আয়াত পাঠ করবে তাকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা করা হবে।"

ইমাম মুসলিম শু’বার সনদের পরে বলেনঃ শুবা বলেনঃ "সূরা কাহাফের শেষ থেকে" আর হুমাম বলেনঃ "সূরা কাহাফের প্রথম থেকে" যেমনটি হিশাম বলেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হচ্ছে যে, ইমাম মুসলিমের নিকট দশ আয়াত হওয়ার ক্ষেত্রে শু’বার বর্ণনা আর হুমাম এবং হিশামের বর্ণনা এক। তবে “প্রথম থেকে” হওয়ার ক্ষেত্রে শু’বার বর্ণনা তাদের দু’জনের বর্ণনার বিপরীত।

ইমাম মুসলিম ও তিরমিযী উভয়েই ইবনু বাশশার হতে বর্ণনা করা সত্ত্বেও প্রথম হাদীসে ইমাম মুসলিম বলেছেনঃ দৃশ আর ইমাম তিরমিযী বলেছেনঃ তিন।

আর ইমাম মুসলিম বলেছেনঃ কাহাফের শেষ ... থেকে আর ইমাম তিরমিযী বলেছেনঃ কাহাফের প্রথম থেকে। প্রতিটি বর্ণনার মধ্যেই সঠিক এবং বেঠিকের সংমিশ্রণ ঘটেছে।

কিন্তু "তিন" শব্দটি ভুল, কাতাদা হতে নির্ভরযোগ্য অধিকাংশ বর্ণনাকারীর বিপরীত বর্ণনা হওয়ার কারণে। কারণ তারা সকলেই বলেছেনঃ "দশ"। আমি তাদের সকলের নামগুলো অন্য সিরিজের মধ্যে (৫৮২) উল্লেখ করেছি।

আর "সূরা কাহাফের প্রথম থেকে" এ ভাষাটি সঠিক। কারণ, নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীগণের বর্ণনা এর সাথেও মিলছে।

আমার নিকট যা স্পষ্ট হচ্ছে তা হচ্ছে এই যে, শুবা নিজেই এ হাদীসটি বর্ণনা করার ক্ষেত্রে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগেছেন। একবার বলেছেনঃ "দশ" যেমনটি ইমাম আহমাদ ও মুসলিমের বর্ণনায় বর্ণিত হয়েছে। আরেকবার বলেছেনঃ "তিন" যেমনটি ইমাম তিরমিযীর বর্ণনা এসেছে। অতএব ইমাম তিরমিযীর “তিন” শব্দে বর্ণনাটি নিসন্দেহে শায।

তিনি আবার বলেছেনঃ "সূরা কাহাফের শেষ থেকে" যেমনটি আহমাদ ও মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে, আবার বলেছেনঃ "সূরা কাহাফের প্রথম থেকে" এবং এটিই সঠিক।

এখানে এসব বিষয়ে আলোচনা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে শায কোনটি তা চিহ্নিত করা। হাফিয ইবনু কাসীর “তিনের বর্ণনাটি যে শায সে বিষয়টির ব্যাপারে সতর্ক না হওয়ার কারণে, তিরমিযীর বর্ণনা থেকে এটিকে উল্লেখ করে সহীহ্ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। অতঃপর শাইখ রিফা’ঈ সহীহ বলার ক্ষেত্রে তার অন্ধ অনুসরণ করেছেন।

من قرأ ثلاث آيات من أول الكهف عصم من فتنة الدجال شاذ - أخرجه الترمذي (2/145) : حدثنا محمد بن بشار: حدثنا محمد بن جعفر: حدثنا شعبة عن قتادة عن سالم بن أبي الجعد عن معدان بن أبي طلحة عن أبي الدرداء عن النبي صلى الله عليه وسلم به. حدثنا محمد بن بشار: حدثنا معاذ بن هشام: حدثني أبي عن قتادة بهذا الإسناد نحوه. قال أبو عيسى: " هذا حديث حسن صحيح قلت: الحديث صحيح بغير هذا اللفظ، وأما هذا، فشاذ أخطأ فيه شعبة أومن دونه، وقد أخطأ شعبة في موضع آخر منه، فالأول قوله: " ثلاث " والصواب: " عشر ". فقال أحمد (6/446) : حدثنا محمد بن جعفر وحجاج: حدثنا شعبة به بلفظ: " من قرأ عشر آيات من آخر الكهف عصم من فتنة الدجال وهكذا أخرجه مسلم (2/199) : حدثنا محمد بن المثنى وابن بشار قالا: حدثنا محمد بن جعفر به ولم يسق لفظه، وإنما أحال به على لفظ هشام الدستوائي قبله عن قتادة وهو بلفظ: " من حفظ عشر آيات من أول سورة الكهف عصم من الدجال ثم قال مسلم عقب سياقه لسند شعبة: " قال شعبة: " من آخر الكهف "، وقال همام: " من أول الكهف "، كما قال هشام قلت: وهذا معناه أن رواية شعبة عند مسلم متفقة مع رواية همام وهشام في لفظة " العشر "، ومخالفة لها في لفظة " أول " وهي عند مسلم والترمذي وكلاهما من طريق ابن بشار، ومع ذلك فقد اختلفت روايتاهما عنه في اللفظ الأول، فمسلم قال: " العشر " والترمذي قال: " ثلاث " كما اختلفت في الحرف الأول، فعند مسلم آخر الكهف "، وعند الترمذي " أول الكهف "، وفي كل من الروايتين صواب وخطأ، فقوله: " ثلاث " خطأ مخالف لعامة الرواة الثقات عن قتادة، وكلهم قالوا: عشر ". وقد ذكرت أسماءهم في " السلسلة الأخرى " (582) وقوله: " أول الكهف " صواب لموافقته الثقات، ويبدو لي أن شعبة نفسه كان يضطرب في رواية هذا الحديث فتارة كان يقول: " عشر " كما هي رواية أحمد ومسلم عنه، وتارة يقول: " ثلاث " كما في رواية الترمذي هذه، وهي شاذة قطعا، وتارة يقول: " آخر الكهف " كما روايتهما، وأخرى يقول: " أول الكهف " وهي الصواب كما بينته في المصدر المشار إليه آنفا، وكان الغرض هنا بيان الشذوذ في المكان الأول، وقد يسر الله لنا ذلك فله الحمد والمنة ثم وجدت لرواية " آخر الكهف " شاهدا من حديث أبي سعيد الخدري مرفوعا وموقوفا خرجته في " الصحيحة " برقم (2651) ، وملت هناك إلى العمل بأيهما شاء القاريء، والله أعلم (تنبيه) : لم يتنبه الحافظ ابن كثير لشذوذ رواية الثلاث، فذكرها من رواية الترمذي وأقره على تصحيحها، فقلده مختصره الشيخ الرفاعي فصرح بصحتها في فهرسه " (2/563/615) ولقد كان بلديه الصابوني موفقا في هذه المرة لأنه لم يوردها في " مختصره وكذلك أقره المنذري في " الترغيب " والمناوي في " شرحه "، وكان هذا من دواعي هذا التخريج والتحقيق. والله تعالى ولي التوفيق، والهادي إلى أقوم طريق


হাদিসের মানঃ শা'জ
পুনঃনিরীক্ষণঃ