পরিচ্ছেদঃ
১৩১৪। আমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি অন্যকে খোজা (পুরুষত্বহীন) বানাবে অথবা নিজেকে পুরুষত্বহীন বানাবে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে তুমি সওম পালন কর এবং তোমার শরীরের চুলকে বৃদ্ধি কর।
হাদীসটি বানোয়াট।
হাদীসটি ইমাম ত্ববারানী "আল-মুজামুল কাবীর" গ্রন্থে (৩/১১৭/১) মু’আল্লা আলজু’ফী হতে, তিনি লাইস হতে, তিনি মুজাহিদ হতে, তিনি আতা হতে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেনঃ ... রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (প্রশ্নকারী) ব্যক্তিটিকে লক্ষ্য করে বলেনঃ ...।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ হাদীসের সনদটি বানোয়াট। এর সমস্যা হচ্ছে মু’আল্লা, তিনি হচ্ছেন ইবনু হিলাল আল-হাযরামী। তাকে জুফী আতত্বহান কুফীও বলা হয়। তিনি একজন মিথ্যুক, জালকারী। বড় বড় ইমামগণ এ সাক্ষ্য দিয়েছেন যেমন দু’ সুফইয়ান, আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক, ইবনুল মাদীনী প্রমুখ।
হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তার মিথ্যুক হওয়ার ব্যাপারে সকল সমালোচনাকারী মুহাদ্দিসগণ একমত হয়েছেন।
হায়সামী (৪/২৫৪) তার দ্বারাই সমস্যা বর্ণনা করে বলেছেনঃ তিনি মাতরূক।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তা সত্ত্বেও সুয়ূতী “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন আর তার ভাষ্যকার মানবী বলেছেনঃ হাদীসটি বাগাবী "শারহুস সুন্নাহ" গ্রন্থে এমন এক সনদে বর্ণনা করেছেন যার ব্যাপারে সমালোচনা করা হয়েছে। আর লেখক হাদীসটিকে হাসান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
আমি আশংকা করছি যে, মানবী যে ইমাম বাগবীর উদ্ধৃতি দিয়েছেন ধারণা করে তিনি এরূপ বলেছেন অথবা তিনি শিথিলতা করে তা বলেছেন। কারণ ইমাম বাগাবী এটি নয় বরং অন্য একটি দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেছেন যার মধ্যে আলোচ্য হাদীসটির শুধুমাত্র প্রথম অংশটুকুই রয়েছে। সেটি উসমান ইবনু মাযউন (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে, আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়নি।
তা সত্ত্বেও সে হাদীসটির সনদেও সমস্যা রয়েছে। ইমাম বাগাবী সে হাদীসটি রিশদীন ইবনু সা’দ সূত্রে ইবনু আনউম হতে, তিনি সা’দ ইবনু মাসউদ হতে, উসমান ইবনু মাযউন (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আগমন করে বললেনঃ আমাদেরকে খোজা হওয়ার অনুমতি দিন? রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে ব্যক্তি অন্যকে পুরুষত্বহীন বানাবে আর যে নিজেকে পুরুষত্বহীন করবে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। কারণ আমার উম্মাতের নিজেকে পুরুষত্বহীন করার অর্থ হচ্ছে সওম পালন করা...। (আলহাদীস)। এ হাদীসটির সনদে দুটি সমস্যা রয়েছেঃ
১। সনদটি মুরসাল। কারণ সা’দ ইবনু মাসউদ একজন তাবেঈ, তিনি ঘটনাটি পাননি এবং তিনি ঘটনাটি কার থেকে শুনেছেন তা উল্লেখ করেননি যেমনটি বাহ্যিকভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
২। রিশদীন এবং ইবনু আনউম (আব্দুর রহমান ইবনু যিয়াদ আফরীকী) দুর্বল। এদের দু’জনের দুর্বল হওয়ার ব্যাপারে পূর্বে একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে।
হাদীসটি দুর্বল হওয়ার পরেও এর মধ্যে আলোচ্য হাদীসটির দ্বিতীয় অংশটি উল্লেখ করা হয়নি।
এ ব্যাখ্যার পরে স্পষ্ট হচ্ছে এই যে, ইমাম মানবী দুটি ব্যাপারে ভুল করেছেনঃ
(১) হাদীসটিকে ইমাম বাগাবীর উদ্ধৃতিতে উদ্ধৃত করা।
(২) ইমাম সুয়ূতী হাসান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বলে তাকে সমর্থন করা। কারণ তার উচিত ছিল মিথ্যুক এবং জালকারীর কথা উল্লেখ করে ইমাম সুয়ুতীর সমালোচনা করা ।
ليس منا من خصى، أواختصى، ولكن صم ووفر شعر جسدك موضوع - أخرجه الطبراني في " المعجم الكبير " (3/117/1) عن معلى الجعفي عن ليث عن مجاهد وعطاء عن ابن عباس قال: " شكى رجل إلى النبي صلى الله عليه وسلم العزوبة؛ فقال: ألا أختصي؟ فقال له النبي صلى الله عليه وسلم: لا، ليس منا قلت وهذا إسناد موضوع آفته المعلى هذا وهو ابن هلال الحضرمي ويقال: الجعفي الطحان الكوفي، وهو كذاب وضاع، شهد بذلك كبار الأئمة مثل السفيانين وابن المبارك وابن المديني وغيرهم، وقال الحافظ في " التقريب ": " اتفق النقاد على تكذيبه وبه أعله الهيثمي (4/254) وقال فيه: " متروك قلت: فيا عجبا للسيوطي كيف لم يخجل من تسويد كتابه " الجامع الصغير " بهذا الحديث؟ ! وليس هذا فحسب، بل قواه أيضا فيما زعم شارحه المناوي: ورواه البغوي في " شرح السنة " بسند فيه مقال، ورمز المصنف لحسنه ثم إنني أخشى أن يكون في عزوالمناوي إياه للبغوي شيء من الوهم، أوالتساهل فقد روى البغوي حديثا آخر مطولا فيه الشطر الأول من هذا، من حديث عثمان بن مظعون، لا من رواية ابن عباس، وهو الذي في إسناده مقال كما كنت نقلته في تعليقي على " المشكاة " (724) وأقول الآن بعد أن تم طبع كتاب البغوي: " شرح السنة "، فإنه أورده (2/370) من طريق رشدين بن سعد: حدثني ابن أنعم عن سعد بن مسعود أن عثمان بن مظعون أتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال: ائذن لنا في الاختصاء، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم:" ليس منا من خصى ولا اختصى، إن اختصاء أمتي الصيام.. " الحديث فهذا الإسناد فيه علتان الأولى: الإرسال، فإن سعد بن مسعود تابعي لم يدرك القصة ولم يسندها كما هو ظاهر، وقد خفيت هذه العلة على المعلق على " الشرح " فلم يتعرض لها بذكر والثانية: ضعف رشدين وابن أنعم؛ واسمه عبد الرحمن بن زياد الإفريقي، وقد سبق تضعيفهما أكثر من مرة ومع ضعف إسناده فليس فيه الشطر الثاني من الحديث كما رأيت ومن هذا التخريج والتحقيق يتبين أن المناوي أخطأ مرتين الأولى: أنه عزا حديث الترجمة للبغوي، والذي عنده حديث آخر متنا ومخرجا والأخرى: أنه أقر السيوطي على رمزه - كما قال - له بالحسن، وكان اللائق به أن يتعقبه بأن فيه ذاك الكذاب الوضاع. على أنه لم يكتف بالإقرار المذكور، بل صرح في " التيسير " بأن إسناد الطبراني حسن! وقلده الغماري كما سبق في المقدمة (22 - 23)