পরিচ্ছেদঃ
১৩০৯। নবুওয়াতের খেলাফাত কাল হবে ত্রিশ বছর, নবুওয়াত আর বাদশাহীর সময় কাল হবে ত্রিশ বছর আর বাদশাহী এবং অত্যাচারীদের কাল হবে ত্রিশ বছর। এর পরের সময়ের মধ্যে কোন কল্যাণ নেই।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটি ইয়াকুব ইবনু সুফইয়ান তার “তারীখ” গ্রন্থে (২/৩৬১) এবং ত্ববারানী “আল-মুজামুল আওসাত” গ্রন্থে (৯৪২৪) মাতার ইবনুল আল ফাযারী সূত্রে আবদুল মালেক ইবনু ইয়াসার সাকাফী হতে, তিনি আবু উমাইয়্যাহ শা’বানী হতে, তিনি মুয়ায ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
উপর্যুক্ত ভাষাটি ইয়াকূব কর্তৃক বর্ণনাকৃত। ত্ববারানীর নিকট প্রথম ত্রিশের কথা নেই। তিনি বলেনঃ আবু উমাইয়্যাহ হতে একমাত্র এ সূত্রেই বর্ণনা করা হয়ে থাকে। এটিকে সুলাইমান ইবনু আবদির রহমান এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি নির্ভরযোগ্য, কিন্তু তার শাইখ মাতার ইবনুল ’আলা ফাযারী মাজহুল (অপরিচিত)। মুহাদ্দিসগণ মাতার হতে বর্ণনাকারী হিসেবে সুলাইমান ব্যতীত অন্য কোন বর্ণনাকারীকে উল্লেখ করেননি। ইবনু আবী হাতিম (৪/১/২৯৬) তার পিতার উদ্ধৃতিতে বলেনঃ তিনি শাইখ।
ইবনু আসাকির “তারীখু দেমাস্ক” গ্রন্থে (১৬/২৯৫-২৯৬) তার জীবনী উল্লেখ করে শুধুমাত্র আবু হাতিমের উক্ত কথাটিই উল্লেখ করেছেন। আর ইবনু হিব্বান তাকে তার “আসসিকাত” গ্রন্থে (৯/১৮৯) তাবে তাবেঈনদের অনুসারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
হায়সামী তার জীবনী সম্পর্কে অবগত না হয়ে ইমাম ত্ববারানীর “মুজামুল আওসাত” গ্রন্থের উদ্ধৃতি দেয়ার পর বলেছেনঃ এর সনদে বর্ণনাকারী মাতার ইবনুল ’আলা রামালী রয়েছেন তাকে আমি চিনি না। আর বাকী বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।
সনদটিতে আরেকটি সমস্যা রয়েছে। সেটি হচ্ছে আবু উমাইয়্যাহ শা’বানী। তার নাম হচ্ছে ইয়াহমাদ। তার অবস্থা অজ্ঞাত যেমনটি "আততাহযীব" গ্রন্থে তার জীবনী থেকে স্পষ্ট হয়। কারণ তিনি উল্লেখ করেছেন যে, তার থেকে তিনজন অপরিচিত ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন। তারা হচ্ছেন আমর ইবনু জারিয়্যাহ লাখমী, আব্দুল মালেক ইবনু সুফইয়ান সাকাফী ও আব্দুস সালাম ইবনু মুকলিবাহ। আর তাকে ইবনু হিব্বান ছাড়া অন্য কেউ নির্ভরযোগ্য আখ্যা দেননি। এ হাদীসটি তার থেকে তিনজনের প্রথমজনের বর্ণনা থেকেই বর্ণনা করা হয়েছে। আর "আততাকরীব" গ্রন্থে এসেছে যে, তিনি মাকবূল।
এ প্রথমজনকেও ইবনু হিব্বান ছাড়া অন্য কেউ নির্ভরযোগ্য আখ্যা দেননি। হাফিয ইবনু হাজার এর সম্পর্কে বলেনঃ তিনি মাকবুল।
দ্বিতীয়জন হচ্ছেন আব্দুল মালেক ইবনু সুফইয়ান সাকাফী তার জীবনী পাচ্ছি না। ইবনু হিব্বানের “আসসিকাত” গ্রন্থেও মিলছে না।
আর তৃতীয়জন আব্দুস সালাম ইবনু মুকলিবাহ। এ বর্ণনাকারীর তার থেকে একমাত্র বর্ণনা পাওয়া যাচ্ছে ইবনু আবী হাতিমের নিকট।
হাদীসটির শেষের ভাষাও মুনকার, সহীহ হাদীস বিরোধী। "এর পরে আর কোন কল্যাণ নেই" কারণ হুযাইফাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে অতঃপর অত্যাচারী শাসকের পরে নবুওয়াতের পদ্ধতির খেলাফাত আসবে ...। এটিকে আমি "সিলসিলাহ সহীহাহ" গ্রন্থে (৫) উল্লেখ করেছি।
ثلاثون خلافة نبوة، وثلاثون نبوة وملك، وثلاثون ملك وتجبر، وما وراء ذلك فلا خير فيه ضعيف - أخرجه يعقوب بن سفيان في " تاريخه " (2/361) والطبراني في " المعجم الأوسط (9424 - بترقيمي) من طريق مطر بن العلاء الفزاري قال: حدثنا عبد الملك بن يسار الثقفي قال: حدثني أبو أمية الشعباني - وكان قد أدرك الجاهلية - قال: حدثني معاذ بن جبل مرفوعا، واللفظ ليعقوب، وليس عند الطبراني الثلاثون الأولى وقال: " لا يروى عن أبي أمية إلا بهذا الإسناد، تفرد به سليمان بن عبد الرحمن قلت: هو ثقة، لكن شيخه مطر بن العلاء الفزاري شبه مجهول، لم يذكروا له راويا غير سليمان هذا، وقال ابن أبي حاتم (4/1/289) عن أبيه: " هو شيخ وترجم له ابن عساكر في " تاريخ دمشق " (16/295 - 296) ولم يذكر فيه سوى قول أبي حاتم هذا. وأما ابن حبان فذكره في تبع أتباع التابعين من " ثقاته " (9/189) ولم يقف الهيثمي له على ترجمة فقال (5/190) بعد أن عزاه لأوسط الطبراني: " وفيه مطر بن العلاء الرملي ولم أعرفه، وبقية رجاله الثقات وفي الإسناد علة أخرى، وهي أبو أمية الشعباني واسمه (يحمد) وهو مجهول الحال كما يبدو من ترجمته في " التهذيب "، فإنه ذكره من رواية ثلاثة عنه غير معروفين: عمرو بن جارية اللخمي، وعبد الملك بن سفيان الثقفي، وعبد السلام ابن مكلبة، ولم يوثقه غير ابن حبان ذكره (5/558) من رواية الأول فقط عنه، وفي " التقريب ": " مقبول والأول منهم لم يوثقه أيضا غير ابن حبان (7/218) ، وقال فيه الحافظ: " مقبول ". وبيض له الذهبي في " الكاشف والثاني عبد الملك بن سفيان الثقفي لم أجد له ترجمة ولا في " ثقات ابن حبان والثالث عبد السلام بن مكلبة لم أجده إلا برواية واحد عنه عند ابن أبي حاتم (3/1/47) فقط ثم إن في متن الحديث نكارة من وجوه أهمها قوله في آخره: " وما وراء ذلك فلا خير فيه "، فإنه مخالف لقوله صلى الله عليه وسلم في حديث حذيفة بعد أن ذكر الملك الجبري: " ثم تكون خلافة على منهاج النبوة، ثم سكت وهو مخرج في " الصحيحة " (5)