হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১২৮৪

পরিচ্ছেদঃ

১২৮৪। আল্লাহ্ তা’আলা আদন জান্নাতকে তার (নিজ) হাত দিয়ে সৃষ্টি করেন, তার মধ্যে তার ফলগুলোকে (ফলের বৃক্ষগুলোকে) লালন-পালন করেন, তার মাঝে তার নদীগুলোকে প্রবাহিত করেন। অতঃপর তার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলেনঃ মুমিনগণ অবশ্যই সফল হয়েছেন। আল্লাহ্ বলেনঃ আমার ইজ্জাতের কসম কৃপণ ব্যক্তি তোমার মাঝে আমার প্রতিবেশী হবে না।

হাদীসটি দুর্বল।

হাদিসটিকে ত্ববারানী "আল-মু’জামুল কাবীর" গ্রন্থে (৩/১৭৪/২) এবং “আল-আওসাত” গ্রন্থে (৫৬৪৮) হাম্মাদ ইবনু ঈসা আল-আবাসী সূত্রে ইসমাঈল সুদ্দী হতে, তিনি আবসালেহ হতে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। হাম্মাদ ইবনু ঈসা সম্পর্কে হাফিয যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ তার মধ্যে অস্পষ্টতা রয়েছে। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেনঃ তার অবস্থা অস্পষ্ট।

তার দ্বারা যদি হাম্মাদ ইবনু ঈসা জুহানী ওয়াসেতীকে বুঝানো হয়ে থাকে তাহলে তার দুর্বলতা পরিচিত বিষয়।

হাকিম ও নাক্কাশ বলেনঃ তিনি ইবনু জুরায়েজ এবং জাফার সাদেক থেকে বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করেছেন।

তবে হাদীসটির আরেকটি সূত্র রয়েছে। হাফিয মুনযেরী “আত-তারগীব” গ্রন্থে (৩/২৪৭, ৪/২৫২) এবং তার অনুসরণ করে হায়সামী (১০/২৯৭) বলেনঃ হাদীসটি ত্ববারানী “আল-আওসাত” এবং “আল-কাবীর” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। “আওসাত” গ্রন্থের তার একটি সনদ ভাল।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তারা দু’জনে যে কথা বলেছেন, তাদের সে কথায় দুদিক দিয়ে বিরূপ মন্তব্য রয়েছেঃ

১। অন্য সনদটিও দুর্বল। ত্ববারানী “আল-আওসাত” গ্রন্থে (৩২৪) এবং “আল-কাবীর” গ্রন্থেও (৩/১২২) এবং তার থেকে যিয়া "আল-মুখতারাহ" গ্রন্থে (২/১৩/৬৩), তাম্মাম আর-রাযী “আল-ফাওয়াইদ” গ্রন্থে এবং তার থেকে ইবনু আসাকির “তারীখু দেমাস্ক” গ্রন্থে (৫/৩৪৫/১, ১৫/৭০/১) হিশাম ইবনু খালেদ সূত্রে বাকিয়্যাহ্ হতে, তিনি ইবনু জুরায়েজ হতে, তিনি আতা হতে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে নিম্নলিখিত ভাষায় বর্ণনা করেছেনঃ

لما خلق الله جنة عدن خلق فيها ما لا عين رأت، ولا أذن سمعت، ولا خطر على قلب بشر، ثم قال لها: تكلمي فقالت: قد أفلح المؤمنون

আল্লাহ যখন জান্নাতু আদনকে সৃষ্টি করেন তখন তার মধ্যে এমন সব বস্তু সৃষ্টি করেন যেগুলোকে কোন চক্ষু দেখেনি এবং (যেগুলো সম্পর্কে) কোন কর্ণ শ্রবণ করেনি এবং যেগুলো সম্পর্কে মানুষের হৃদয় কখনও কল্পনাও করেনি। অতঃপর আল্লাহ্ তা’আলা তাকে বলেনঃ তুমি কথা বল; সে বললঃ মুমিনগণ অবশ্যই সফলকাম হয়েছে।

এ হাদীসের উল্লেখিত সনদটি দুর্বল বাকিয়াহ কর্তৃক আন আন করে বর্ণনাকৃত হওয়ার কারণে। হাফিয ইবনু কাসীর তার “তাফসীর” গ্রন্থে বলেনঃ হিজাজীদের থেকে বাকিয়্যার বর্ণনা দুর্বল।

বাকিয়্যাহ নিজে সত্যবাদী। কিন্তু তার সমস্যা হচ্ছে যে, তিনি দুর্বল এবং মাতরূক বর্ণনাকারীদের থেকে তাদলীস করতেন। তিনি যখন স্পষ্টভাবে হাদীস শ্রবণের কথা বলবেন এবং তার উপরের এবং নিচের বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য হবে তখন তার বর্ণনা গ্রহণযোগ্য, অন্যথায় তিনি গ্রহণযোগ্য নন।

২। অন্য (দ্বিতীয়) সনদের ভাষা আর প্রথম সনদের ভাষার মাঝে ভিন্নতা। অর্থাৎ উভয় সনদের ভাষা এক নয়।

দ্বিতীয় সনদে প্রথম সনদের শেষের বাক্যটি নেই। প্রথম সনদে মুমিনগণ সফল হয়েছেন শব্দটি বলেছেন আল্লাহ আর দ্বিতীয় সনদে এ বাক্যটি বলেছে জান্নাত। অতএব প্রথমে উল্লেখিত ভাষার ব্যাপারে এরূপ বলা যাবে না যে, ত্ববারানী দু’টি সনদে বর্ণনা করেছেন যার একটি ভাল।

خلق الله جنة عدن بيده، ودلى فيها ثمارها، وشق فيها أنهارها، ثم نظر إليها فقال: " قد أفلح المؤمنون "، قال: وعزتي لا يجاورني فيك بخيل ضعيف - أخرجه الطبراني في " المعجم الكبير " (3/174/2) و" الأوسط " (5648) من طريق حماد بن عيسى العبسي عن إسماعيل السدي عن أبي صالح عن ابن عباس يرفعه قلت: وهذا إسناد ضعيف، حماد بن عيسى العبسي، قال الذهبي في " الميزان ": " فيه جهالة وقال الحافظ في " التقريب ": " مستور، وقيل: هو الذي قبله يعني حماد بن عيسى الجهني الواسطي غريق الجحفة، فإذا كان هو فهو معروف بالضعف، قال الحاكم والنقاش: " يروي عن ابن جريج وجعفر الصادق أحاديث موضوعة لكن للحديث طريق أخرى. فقال المنذري في " الترغيب " (3/247 و4/252) وتبعه الهيثمي (10/297) واللفظ له: " رواه الطبراني في " الأوسط " و" الكبير " وأحد إسنادي الطبراني في " الأوسط " جيد قلت: وفيما قالا نظر من وجهين الأول: أن الإسناد الآخر فيه ضعف أيضا، وقد أخرجه الطبراني في " الأوسط " (324) و" الكبير " أيضا (3/122/1) وعنه الضياء في " المختارة " (63/13/2) وتمام الرازي في " الفوائد " وعنه ابن عساكر في " تاريخ دمشق " (5/340/1 و15/70/4) من طريق هشام بن خالد: حدثنا بقية عن ابن جريج عن عطاء عن ابن عباس مرفوعا بلفظ: " لما خلق الله جنة عدن خلق فيها ما لا عين رأت، ولا أذن سمعت، ولا خطر على قلب بشر، ثم قال لها: تكلمي فقالت: قد أفلح المؤمنون فهذا إسناد ضعيف من أجل عنعنة بقية، وقال الحافظ ابن كثير في " تفسيره ": " بقية عن الحجازيين ضعيف كذا قال، وبقية صدوق في نفسه، وإنما عيبه أنه كان يدلس عن الضعفاء والمتروكين، فإذا صرح بالتحديث وكان من فوقه ثقة، ومن دونه ثقة فهو حجة، وإلا فلا. وقد رأيت الحديث في " صفة الجنة " لأبي نعيم (3/1 - 2) أخرجه من هذا الوجه، لكنه قال: حدثنا بقية: حدثني ابن جريج به. وكذلك وقع في " الأوسط " فإن كان محفوظا عن هشام بن خالد، فلا يحتج به أيضا، لأن هشاما وهو الأزرق كان يروج عليه الخطأ فيقول في كل خبر يرويه عن بقية: حدثنا، وبقية لم يقل: حدثنا، كما في رواية الأكثرين. وتقدم له حديث آخر بلفظ: " من أصيب بمصيبة.. " الحديث (198) والآخر: أن متن الإسناد الآخر يختلف عن متن الأول، فإنه أولا: ليس فيه قال: وعزتي وثانيا: أن القائل فيه: " قد أفلح المؤمنون " هي الجنة، وفي الأول هو الله تعالى. فلا يجوز القول في المتن الأول: " رواه الطبراني.. بإسنادين أحدهما جيد ". والإسناد الجيد - إن سلم بجودته - متنه مختلف عن متن الإسناد الضعيف! فتأمل هذا فإنك قد لا تراه في مكان آخر وقد روي الحديث بأتم منه وهو: (الاتي)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ