পরিচ্ছেদঃ
১২৬৭। কোন ব্যক্তিকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ডাকা হলে সে যদি সাক্ষ্য গোপন করে তাহলে সে সেই ব্যক্তির ন্যায় যে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করে।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটি ত্ববারানী "আল-আওসাত" গ্রন্থে (নং ৪৩৩৫) আব্দুল্লাহ ইবনু সালেহ হতে, তিনি মুয়াবিয়্যাহ্ ইবনু সালেহ হতে, তিনি ’আলা ইবনুল হারেস হতে, তিনি মাকহুল হতে, তিনি আবু বুরদাহ হতে, তিনি তার পিতা হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেনঃ হাদীসটি ’আলা হতে একমাত্র মুয়াবিয়্যাহ আর মুয়াবিয়্যাহ হতে একমাত্র আব্দুল্লাহ বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ আব্দুল্লাহ্ দুর্বল। তাকে হাফিয যাহাবী "আয-যুয়াফা" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ তিনি লাইসের কাতিব। ইমাম আহমাদ বলেনঃ তিনি ধাৰ্মিক ছিলেন অতঃপর খারাপ হয়ে যান। ইবনু মাঈন তার সম্পর্কে ভাল মন্তব্য করেছেন। আবু হাতিম বলেনঃ আমি মনে করি তার থেকে বর্ণিত যেসব হাদীসগুলো মুনকার আখ্যা দেয়া হয়েছে সেগুলো খালেদ ইবনু নাজীহ কর্তৃক তৈরিকৃত। তিনি আবু সালেহের সাথে থাকতেন। আবু সালেহ মিথ্যুকদের দলের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। তিনি সৎ ব্যক্তি ছিলেন। নাসাঈ বলেনঃ আবু সালেহ নির্ভরযোগ্য নন।
মুনযেরী “আত-তারগীব” গ্রন্থে (২/১৬৭) যে বলেছেনঃ হাদীসটি গারবী ... লাইসের কাতিব আব্দুল্লাহ ইবনু সালেহের দ্বারা ইমাম বুখারী দলীল গ্রহণ করেছেন। তার এ কথাটি ভাল নয়। কারণ ইমাম বুখারী তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করেননি। তার থেকে মুয়াল্লাক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি সত্যবাদী বহু ভুলকারী ...। আর আরেক বর্ণনাকারী ’আলা ইবনুল হারেস সত্যবাদী তবে তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল।
হায়সামী (৪/২০০) হাদীসটি উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটিকে ইমাম ত্ববারানী “আল-কাবীর” ও “আল-আওসাত” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। এর সনদে বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ ইবনু সালেহ রয়েছেন। তাকে আব্দুল মালেক ইবনু শুয়াইব ইবনে লাইস নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন। আর তাকে একদল মুহাদ্দিস দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
من كتم شهادة إذا دعي كان كمن شهد بالزور ضعيف - رواه الطبراني في " الأوسط " (رقم - 4335) عن عبد الله بن صالح: حدثني معاوية بن صالح عن العلاء بن الحارث عن مكحول عن أبي بردة عن أبيه مرفوعا وقال لم يروه عن العلاء إلا معاوية ولا عنه إلا عبد الله قلت: وهو ضعيف. أورده الذهبي في " الضعفاء " وقال " كاتب الليث، قال أحمد: كان متماسكا ثم فسد، وأما ابن معين، فكان حسن الرأي فيه، وقال أبو حاتم: أرى أن الأحاديث التي أنكرت عليه مما افتعل خالد بن نجيح وكان يصحبه، ولم يكن أبو صالح ممن يكذب، كان رجلا صالحا، وقال النسائي: ليس بثقة وأما قول المنذري في " الترغيب " (2/167) " حديث غريب، رواه الطبراني في " الكبير " و" الأوسط " من رواية عبد الله بن صالح كاتب الليث، وقد احتج به البخاري فليس بجيد، فلم يحتج به البخاري، وغنما روى له تعليقا، كما رمز له في الخلاصة " وغيرها مثل " التقريب " للحافظ ابن حجر وقال " صدوق كثير الغلط، ثبت في كتابه، وكانت فيه غفلة والعلاء بن الحارث صدوق، لكنه كان قد اختلط. والحديث قال الهيثمي (4/200) " رواه الطبراني في " الكبير " و" الأوسط "، وفيه عبد الله بن صالح وثقه عبد الملك بن شعيب بن الليث، فقال: ثقة مأمون، وضعفه جماعة