হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১১০৬

পরিচ্ছেদঃ

১১০৬। আল্লাহ তা’আলা জিবরীলকে আদম ও হাওয়ার নিকট প্রেরণ করে তাদের দু’জনকে নির্দেশ দিলেনঃ আমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করো। জিবরীল তাদের দু’জনের জন্য একটি রেখা টেনে দিলেন। আদম গর্ত করা শুরু করলেন আর হাওয়া (মাটি) উঠাতে শুরু করলেন এমনকি পানি এসে গেল। অতঃপর নীচু হতে ডাক দিয়ে বলা হলোঃ যথেষ্ট হয়েছে হে আদম! যখন তারা দু’জন ঘর নির্মাণ করে শেষ করলেন তখন আল্লাহ তাকে সেই ঘর তাওয়াফ করার জন্য অহী করলেন। তাকে বলা হলোঃ আপনি প্রথম মানব আর এটিই প্রথম ঘর। অতঃপর বহু যুগ কেটে গেল আর নুহ তাকে যিয়ারাত করলেন। অতঃপর বহু যুগ কেটে গেল আর ইবরাহীম তার ভিতকে উঠালেন।

হাদীসটি মুনকার।

এটিকে বাইহাকী "দালায়েলুন নাবুওয়াহ" গ্রন্থে (১/৩২০) আর তার থেকে ইবনু আসাকির “তারীখু দেমাস্ক” গ্রন্থে (২/৩২১) ইয়াহইয়া ইবনু উসমান সূত্রে আবূ সালেহ আল-জুহানী হতে, তিনি ইবনু লাহিয়াহ হতে বর্ণনা করেছেন।

বাইহাকী বলেনঃ ইবনু লহিয়াহ হাদীসটিকে এককভাবে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

হাফিয ইবনু কাসীর “আস-সীরাহ” গ্রন্থে (১/২৭২) বলেনঃ তিনি (ইবনু লাহিয়াহ) দুর্বল। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর পর্যন্ত মওকুফ হওয়াটাই বেশী সঠিক ও নির্ভরযোগ্য।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তার এ কথা সন্দেহ জাগাতে পারে যে, হাদীসটি মওকুফ হিসেবে শক্তিশালী সনদে বর্ণিত হয়েছে। অথচ ইবনু কাসীর ও বাইহাকী উভয়ে মওকুফ হিসেবেও বর্ণনা করেননি। অতএব তিনি (ইবনু কাসীর) তার উক্ত কথার দ্বারা বুঝিয়েছেন যে, এটি মওকুফের সাথে বেশী সাদৃশ্যপূর্ণ।

এছাড়াও হাদীসটির সনদে আরো দু’টি সমস্যা রয়েছেঃ

১। লাইসের লেখক আবু সালেহ আল জুহানী (আব্দুল্লাহ ইবনু সালেহ আল-মিসরী) সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি সত্যবাদী বহু ভুল করতেন। তার মধ্যে অমনোযোগিতা ছিলো।

আমি (আলবানী) বলছিঃ ভুলটি তার থেকেই সংঘটিত হয়েছে।

২। আরেক বর্ণনাকারী ইয়াহইয়া ইবনু উসমান সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, তবে শিয়া মতাবলম্বী হওয়ার দোষে দোষী। তাকে কেউ কেউ দুর্বলও আখ্যা দিয়েছেন।

بعث الله جبريل إلى آدم وحواء فقال لهما: ابنيا لي بيتا، خط لهما جبريل، فجعل آدم يحفر وحواء تنقل حتى أجابه الماء، ثم نودي من تحته: حسبك يا آدم! فلما بنياه أوحى الله إليه أن يطوف به، وقيل له: أنت أول الناس، وهذا أول بيت، ثم تناسخت القرون حتى حجه نوح، ثم تناسخت القرون حتى رفع إبراهيم القواعد منه منكر - أخرجه البيهقي في " دلائل النبوة " (1/320) وعنه ابن عساكر في " تاريخ دمشق " (2/321) من طريق يحيى بن عثمان بن صالح قال: حدثنا أبو صالح الجهني قال: حدثنا ابن لهيعة عن يزيد عن أبي الخير عن عبد الله بن عمرو بن العاص قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: فذكره. وقال البيهقي: تفرد به ابن لهيعة مرفوعا قال الحافظ ابن كثير في " السيرة " (1/272) " قلت: وهو ضعيف، ووقفه على عبد الله بن عمرو أقوى وأثبت قلت: هذا يوهم أنه روي عنه موقوفا بإسناد أقوى، مع أنه لم يخرجه هو ولا البيهقي موقوفا، فالظاهر أنه يعني أن الوقف به أشبه، والله أعلم ثم إن فيه علتين أخريين الأولى: أبو صالح الجهني هو عبد الله بن صالح المصري كاتب الليث، قال الحافظ " صدوق كثير الغلط، ثبت في كتابه، وكانت فيه غفلة قلت: فيحتمل أن الغلط منه، فتعصيبه بابن لهيعة ليس بلازم الأخرى: يحيى بن عثمان، قال الحافظ " صدوق رمي بالتشيع، ولينه بعضهم لكونه حدث من غير أصله


হাদিসের মানঃ মুনকার (সহীহ হাদীসের বিপরীত)
পুনঃনিরীক্ষণঃ