১০৫৯। তিনি যখন সালাত পূর্ণ করতেন তখন তার ডান হাত দ্বারা তার কপাল স্পর্শ করতেন। অতঃপর তা তাঁর চেহারার উপর দিয়ে বুলিয়ে দিতেন। এমনকি তাঁর দাড়ি পর্যন্ত নিয়ে আসতেন। আর নিম্নের দু’আ বলতেনঃ আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করছি যিনি ছাড়া সত্যিকার কোন উপাস্য নেই, তিনিই গোচর ও অগোচরের সব কিছু জানেন। তিনি রহমানুর রহীম। হে আল্লাহ! তুমি আমার অস্থিরতা, চিন্তা ও বিষন্নতাকে দূর করে দাও। হে আল্লাহ! তোমার প্রশংসার জন্যই তোমার নিকট প্রত্যাবর্তন করে এসেছি, আমি আমার গুনাহর কথা স্বীকার করছি। আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি সেই সব কর্মের অনিষ্টতা হতে যা আমি করেছি। আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুনিয়ার বিপদাপদ হতে এবং আখেরাতের শাস্তি হতে।

হাদীসটি জাল (বানোয়াট)।

এটিকে আবু নুয়াইম “আখবারু আসবাহান” গ্রন্থে (২/১০৪) দাউদ ইবনুল মুহাব্বার হতে, তিনি আল-আব্বাস ইবনু রাযীন আসসুলামী হতে, তিনি খেলাস ইবনু আমর হতে, তিনি সাবেত আল-বুনানী হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি বানোয়াট। জাল করার দোষে দোষী হচ্ছেন এই দাউদ। তিনি “আল-আকল” গ্রন্থের রচনাকারী। তিনি একজন মিথ্যুক। তার সম্পর্কে একাধিকবার আলোচনা করা হয়েছে। দেখুন (১ ও ২২৪ নং হাদীস)।

আর আল-আব্বাস ইবনু রাযীনকে আমি চিনি না।