হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১০৫৪

পরিচ্ছেদঃ

১০৫৪। সাত স্থান ছাড়া অন্য কোন স্থানে হাত উঠানো যায় না; যখন সালাত শুরু করা হবে, যখন মসজিদুল হারামে প্রবেশ করে বাইতুল্লার দিকে দৃষ্টি দিবে, যখন সাফা পাহাড়ের উপর দাঁড়াবে, যখন মারওয়া পাহাড়ের উপর দাঁড়াবে, যখন আরাফার মাঠে লোকদের সাথে বিকালে দাঁড়াবে, মুযদালিফায় এবং কঙ্কর নিক্ষেপ করে দু’স্থানে দাঁড়ানোর সময়।

হাদীসটি এ বাক্যে বাতিল।

এটি ত্ববারানী "আল-মুজামুল কাবীর" গ্রন্থে (৩/১৪৬/২) মুহাম্মাদ ইবনু উসমান ইবনে আবী শাইবাহ হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু ইমরান ইবনে আবী লাইলা মেকসাম হতে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি ইবনু আবী লাইলার কারণে দুর্বল। তিনি হচ্ছেন মুহাম্মাদ ইবনু আবদির রহমান। কারণ তার হেফয শক্তি ক্ৰটিযুক্ত। হাদীসটি বাযযার তার “মুসনাদ’ (নং ৫১৯) গ্রন্থে তার সূত্রে "হাত উঠাতে হবে ..." এ শব্দে বর্ণনা করেছেন। না সূচক অক্ষর দিয়ে বর্ণনা করেননি। অতঃপর বলেছেনঃ একদল হাদীসটি মওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইবনু আবী লাইলা হাফিয ছিলেন না। তিনি বলেছেনঃ "হাত উঠাতে হবে", তিনি "এই সাত স্থান ছাড়া অন্য কোন স্থানে হাত উঠানো যাবে না" বলেননি।

আব্দুল হক ইশবীলী “আল্-আহকাম” গ্রন্থে (কাফ ১/১০২) তা স্বীকার করে বলেছেনঃ একাধিক ব্যক্তি মওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইবনু আবী লাইলা হাফিয ছিলেন না।

হাফিয ইবনু হাজার "আত-তাকরীব" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, হেফযের দিক দিয়ে খুবই মন্দ ছিলেন।

হাফিয যাহাবী "আয-যুয়াফা" গ্রন্থে অনুরূপ কথাই বলেছেন। তবে তিনি ’খুবই’ শব্দটি বলেননি। কিন্তু এ শব্দটি না বলা হাদীসটিকে দুর্বল হওয়া হতে বের করতে পারে না ।

আর হায়সামী যে "আল-মাজমা" গ্রন্থে (৩/২৩৮) বলেছেনঃ তার সনদে মুহাম্মাদ ইবনু আবী লাইলা রয়েছেন। তিনি হেফয শক্তিতে ক্রটিযুক্ত। তার হাদীস হাসান পর্যায়ের ইনশাআল্লাহ।

তার এ বক্তব্যটি সঠিক নয়। কারণ হেফযের দিক দিয়ে মন্দ ব্যক্তির হাদীস অগ্রহণযোগ্য হাদীসগুলোর প্রকারের একটি। বিশেষ করে এ হাদীসটি কিভাবে হাসান হয়? যার কোন শাহেদ বর্ণিত হয়নি ও তাকে শক্তিশালীও করেনি। তার পরেও এ হাদীসটি হাসান পর্যায়ভুক্ত হওয়া অসম্ভব। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে রুকু’তে যাওয়ার সময়, রুকু হতে উঠার সময় তার দু’হাত উঠানো মর্মে মুতাওয়াতির বর্ণনায় হাদীস বর্ণিত হয়েছে এবং ইস্তিস্কার দু’আ ও অন্য ক্ষেত্রেও তিনি তার দু’হাত উঠাতেন। হাফিয যায়লাঈ হানাকী “নাসবুর রায়া” গ্রন্থে (১/৩৮৯-৩৯২) আলোচ্য হাদীসটি প্রত্যাখ্যান করতে গিয়ে যে আলোচনা করেছেন তাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। তিনি তাতে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন যে, হাদীসটি মারফু ও মওকুফ কোন ভাবেই সহীহ নয়।

এছাড়া ত্ববারানীর সনদে মুহাম্মাদ ইবনু আবী শাইবাহ রয়েছেন, তার ব্যাপারে বহু কথপোকথন হয়েছে। কমপক্ষে তার বিরোধী বর্ণনা আসলে তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। যেমনটি এখানে ঘটেছে। কারণ তিনি বাযযারের বর্ণনার বিরোধিতা করে লা (না সূচক) শব্দটি বর্ধিত করেছেন। ইমাম শাফেঈ সাঈদ ইবনু সালেম সূত্রে ইবনু জুরায়েজ হতে তিনি বলেন আমাকে মেকসাম হতে হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে নিম্নের বাক্যেঃ

"সালাতে হাত উঠাতে হবে ..." উল্লেখিত সাতটি উল্লেখ করার পর আরো একটি বর্ধিত করেছেনঃ সেটি হচ্ছে "মৃত ব্যক্তির জন্য"।

এ সনদটি মুনকাতি (বিচ্ছিন্ন)। কারণ ইবনু জুরায়েজ এবং মেকসামের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা ঘটেছে। সম্ভবত উভয়ের মধ্যের ব্যক্তি হচ্ছেন ইবনু আবী লাইলা। আর সাঈদ ইবনু সালেম তার হেফযের দিক দিয়ে দুর্বল। কিন্তু তার মুতাবা’য়াত করা হয়েছে।

لا ترفع الأيدي إلا في سبع مواطن: حين تفتتح الصلاة، وحين يدخل المسجد الحرام فينظر إلى البيت، وحين يقوم على المروة، وحين يقف مع الناس عشية عرفة، وبجمع، والمقامين حين يرمي الجمرة باطل بهذا اللفظ - رواه الطبراني في " المعجم الكبير " (3/146/2) : حدثنا محمد بن عثمان بن أبي شيبة: نا محمد بن عمران بن أبي ليلى: حدثني أبي: نا ابن أبي ليلى عن الحكم عن مقسم عن ابن عباس مرفوعا قلت: وهذا سند ضعيف من أجل ابن أبي ليلى وهو محمد بن عبد الرحمن، فإنه سيىء الحفظ، ورواه البزار في " مسنده " (رقم 519 - كشف الأستار) من طريقه بلفظ " ترفع الأيدي.. "، دون " لا " النافية وقال رواه جماعة فوقفوه، وابن أبي ليلى ليس بالحافظ، إنما قال: " ترفع الأيدي "، ولم يقل: لا ترفع إلا في هذه المواضع وأقره عبد الحق الإشبيلي في " الأحكام " (ق 102/1) وقال رواه غير واحد موقوفا، وابن أبي ليلى لم يكن حافظا وقال الحافظ في ترجمته من " التقريب صدوق سيىء الحفظ جدا وكذا قال الذهبي في " الضعفاء "، إلا أنه لم يقل: " جدا "، وذلك لا يخرج حديثه من رتبة الضعف المطلق، وإنما من رتبة الضعف الشديد كما هو ظاهر، وأما قول الهيثمي في " المجمع " (3/238) في إسناده محمد بن أبي ليلى وهو سيىء الحفظ، وحديثه حسن إن شاء الله تعالى فهو غير مستقيم، لأن السيئ الحفظ حديثه من قسم المردود كما هو مقرر في " المصطلح " وخصوصا في " شرح النخبة " للحافظ ابن حجر، وهذا إن كان يعني بقوله: حديثه جملة، كما هو الظاهر، وإن كان يعني هذا الحديث بخصوصه فما هو الذي جعله حسنا؟ وهو ليس له شاهد يقويه، ثم إنه يستحيل أن يكون هذا الحديث حسنا، وقد تواتر عن النبي صلى الله عليه وسلم رفعه يديه عند الركوع والرفع منه، ورفع يديه في الدعاء في الاستسقاء وغيره، وقد كفانا بسط الكلام في رد هذا الحديث الحافظ الزيلعي الحنفي في " نصب الراية " (1/389 - 392) ، وبين أنه لا يصح مرفوعا ولا موقوفا، فراجعه، ثم إن في إسناد الطبراني محمد بن عثمان بن أبي شيبة، وفيه كلام كثير، فلا يحتج به عند المخالفة على الأقل، كما هو الشأن هنا، إذ زاد (لا) في أوله خلافا لرواية البزار، وهي أصح، إذ ليس فيها إلا ابن أبي ليلى، ويؤيد ذلك أنه أخرجه الشافعي (2/38/1023) من طريق سعيد بن سالم عن ابن جريج قال: حدثت عن مقسم به بلفظ " ترفع الأيدي في الصلاة ... " فذكر هذه السبع وزاد: " وعلى الميت " بيد أنه سند ضعيف، لانقطاعه بين ابن جريج ومقسم، ولعل الواسطة بينهما هو ابن أبي ليلى نفسه وسعيد بن سالم فيه ضعف من قبل حفظه، لكنه قد توبع، فقد أخرجه البيهقي في " السنن " (5/72 ـ 73) من طريق الشافعي، ثم قال وبمعناه رواه شعيب بن إسحاق عن ابن جريج عن مقسم، وهو منقطع لم يسمع ابن جريج من مقسم، ورواه محمد بن عبد الرحمن بن أبي ليلى عن الحكم عن مقسم عن ابن عباس، وعن نافع عن ابن عمر، مرة موقوفا عليهما، ومرة مرفوعا إلى النبي صلى الله عليه وسلم دون ذكر الميت: وابن أبي ليلى هذا غير قوي في الحديث


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ