হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১০৫৩

পরিচ্ছেদঃ

১০৫৩৷ সিজদা করতে হবে সাতটি অঙ্গের উপরঃ দু’হাত, দু’পা, দু’ হাঁটু ও কপালের উপর। আর হাত উঠাতে হবে যখন বাইতুল্লাহকে দেখবে, সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের উপরে, আরাফায়, মুযদালফায়, কঙ্কর নিক্ষেপের সময় এবং যখন সালাতের জন্য একমাত দেয়া হয় তখন।

হাদীসটি হাত উঠানোর দ্বারা মুনকার।

এটি ত্ববারানী “আল-মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (৩/১৫৫/১) আহমাদ ইবনু শু’আয়েব আবূ আব্দির রহমান নাসাঈ হতে, তিনি আমর ইবনু ইয়াযীদ আবূ বুরায়েদ আল-জারমী হতে, তিনি সাইফ ইবনু ওবাইদিল্লাহ হতে, তিনি আরাকা হতে তিনি আতা ইবনুস সায়েব হতে বর্ণনা করেছেন।

ত্ববারানী হতে যিয়া "আল-মুখতারাহ" গ্রন্থে (৬১/২৪৯/২) বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। তার সমস্যা হচ্ছে আতা ইবনুস সায়েব, তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল। তার থেকে তার মস্তিষ্ক বিকৃতির পূর্বে নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীদের বর্ণনা ছাড়া তার হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। তারা হচ্ছেনঃ সুফিয়ান সাওরী, শু’বাহ, যুহায়ের ইবনু মুয়াবিয়াহ, যায়েদাহ ইবনু কুদামাহ, হাম্মাদ ইবনু যায়েদ, আইউব আস-সিখতিইয়ানী ও ওয়াহেব যেমনটি ইমামদের ঐকমত্যের কথা হতে উপকৃত হওয়া যায়। ইবনু হাজার আসকালানী “আত-তাহযীব” গ্রন্থে যার সার সংক্ষেপ উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি ওয়াহেবকে ছেড়ে দিয়েছেন, তাকে তিনি সেই সব নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করেননি। যে কোন অবস্থায় আতা ইবনুস সায়েব হতে এ হাদীসটি বর্ণনাকারী হিসেবে অরাকা ইবনু উমার সেই সব নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীদের অন্তর্ভুক্ত নন। অতএব হাদীস শাস্ত্রের থিওরী অনুযায়ী তার হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করা রহিত হয়ে যায়।

তবে হাদীসটির প্রথম অংশটি তাউসের সূত্রে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। সেটি বুখারী ও মুসলিম প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ বর্ণনা করেছেন। "ইরওয়াউল গালীল" গ্রন্থে (৩১০) আমি এটির তাখরীজ করেছি।

আর দ্বিতীয় অংশটি আমার নিকট মুনকার আতা এককভাবে বর্ণনা করার কারণে। হায়সামী "আল-মাজমা" (৩/২৩৮) হাদীসটির সমস্যা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেনঃ তাতে আতা ইবনুস সায়েব রয়েছেন তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল।

"নাসবুর রায়া" গ্রন্থের (১/৩৯০) উপর টীকা লেখক তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ অরাকা শু’বার সমসাময়িক। যেহেতু আতা হতে শু’বার শ্রবণ সাব্যস্ত হয়েছে, সেহেতু আরাকারও শ্রবণ সাব্যস্ত হয়। এটিই হচ্ছে ইনসাফ ভিত্তিক কাজ।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সমালোচনার কোন যৌক্তিকতা নেই। কারণ আরাকা শু’বার সমসাময়িক হওয়ার কারণে আতা হতে তার শ্রবণ পুরাতন এমনটি অপরিহার্য নয়। কেননা আপনি কি দেখছেন না যে, ইসমাঈল ইবনু আবী খালেদ আতার সমসাময়িক, এমনকি ইবনু হাজার তাকে তাবেঈনদের চতুর্থ স্তরে উল্লেখ করেছেন আর আতা ইবনুস সায়েবকে পঞ্চম স্তরে উল্লেখ করেছেন। তিনি আতার সমসাময়িক, শু’বার সমসাময়িক নন। তা সত্ত্বেও তারা তাকে আতা হতে তার মস্তিষ্ক বিকৃতির পূর্বে বর্ণনাকারী হিসেবে উল্লেখ করেননি। তার ন্যায় সুলায়মান আত-তাইমীও। এটিই প্রমাণ করছে যে, ইখতিলাতের পূর্বে শ্রবণ সাব্যস্ত করার জন্য প্রত্যেককেই উচু স্তরের হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। বরং এর উল্টাও হতে পারে। ব্যাপারটি বর্ণনাকারীর বাস্তবতার নিরিখে হতে হবে পূর্বে শ্রবণ করেছে না করেনি সে দিকে লক্ষ্য করে।

এমনও আছে যে, কোন কোন বর্ণনাকারী তার থেকে ইখতিলাতের (মস্তিষ্ক বিকৃতির) পূর্বে ও পরেও বর্ণনা করেছেন। যেমন হাম্মাদ ইবনু সালামাহ। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাহযীব” গ্রন্থে তা প্রকাশ করেছেন। এ কারণে এর হাদীস দ্বারাও দলীল গ্রহণ করা জায়েয হবে না। তবে আমাদের সমসাময়িক কোন কোন আলেম এরূপ ব্যক্তির বর্ণনা গ্রহণযোগ্য বলেছেন। আল্লাহ আমাদেরকে ও তাকে ক্ষমা করুন।

অতএব উল্লেখিত নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীদের মধ্য হতে যিনি তার থেকে ইখতিলাতের পূর্বে বর্ণনা করেছেন তার বর্ণনা গ্রহণযোগ্য। আর যিনি পরে শ্রবণ করেছেন কিংবা যার শ্রবণের ক্ষেত্রে সন্দেহ করা হয়েছে তার বর্ণনা গ্রহণযোগ্য নয়।

আমর ইবনু ইয়াযীদ সত্যবাদী। সাইফ ইবনু ওবাইদুল্লাহও তার ন্যায় তবে তিনি কখনও কখনও অন্যের বিরোধিতা করে বর্ণনা করেছেন। যেমনটি “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে।

السجود على سبعة أعضاء: اليدين، والقدمين، والركبتين والجبهة، ورفع الأيدي إذا رأيت البيت، وعلى الصفا والمروة، وبعرفة، وبجمع، وعند رمي الجمار، وإذا أقيمت الصلاة منكر بذكر رفع الأيدي - أخرجه الطبراني في " المعجم الكبير " (3/155/1) : حدثنا أحمد بن شعيب أبو عبد الرحمن النسائي: حدثنا عمرو بن يزيد أبو بريد الجرمي: أخبرنا سيف بن عبيد الله: أخبرنا ورقاء عن عطاء بن السائب عن سعيد بن جبير عن ابن عباس أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: فذكره وعن الطبراني رواه الضياء في " المختارة " (61/249/2) قلت: وهذا سند ضعيف، وعلته عطاء بن السائب وكان اختلط، فلا يحتج بحديثه إلا ما رواه الثقات عنه قبل اختلاطه وهم: سفيان الثوري، وشعبة، وزهير بن معاوية، وزائدة بن قدامة، وحماد بن زيد، وأيوب السختياني، ووهيب، كما يستفاد من مجموع كلام الأئمة فيه على ما لخصه ابن حجر في " التهذيب " وفاته وهيب فلم يذكره في جملة هؤلاء الثقات! وعلى كل حال فليس منهم ورقاء وهو ابن عمر راوي هذا الحديث عنه، فيتوقف عن الاحتجاج بحديثه كما هو مقرر في " المصطلح " ويعامل معاملة الحديث الضعيف حتى يثبت، وهيهات، فقد جاء الحديث من طريق طاووس عن ابن عباس مرفوعا بالشطر الأول منه، رواه الشيخان وغيرهما، وهو مخرج في " الإرواء " (310) فالشطر الثاني منكر عندي لتفرد عطاء به، وقد أعله الهيثمي في " المجمع " فقال (3/238) وفيه عطاء بن السائب وقد اختلط وتعقبه المعلق على " نصب الراية " فقال (1/390) قلت: ورقاء من أقران شعبة، وسماع شعبة عن عطاء بن السائب قديم صحيح على أنه قال ابن حبان: اختلط بآخره، ولم يفحش حتى يستحق أن يعدل به عن مسلك العدول قلت: وهذا التعقب لا غناء فيه، لأنه لا يلزم من كون ورقاء من أقران شعبة أن يكون سمع من عطاء قديما كما سمع منه شعبة، ألا ترى أن في جملة من روى عن عطاء إسماعيل بن أبي خالد وهو من طبقة عطاء نفسه، بل أورده الحافظ ابن حجر في الطبقة الرابعة من التابعين، بينما ذكر ابن السائب في الطبقة الخامسة، فهو إذن من أقران عطاء وليس من أقران شعبة، ومع ذلك لم يذكروه فيمن روى عن عطاء قبل الاختلاط، ومثله سليمان التيمي، فهذا يبين أن السماع من المختلط قبل اختلاطه ليس لازما لكل من كان علاي الطبقة، كما أن العكس؛ وهو عدم السماع؛ ليس لازما لمن كان نازل الطبقة، وإنما الأمر يعود إلى معرفة واقع الراوي هل سمع منه قديما أم لا، خلافا لما توهمه المعلق المشار إليه ومما يؤيد ذلك أن بعض الرواة يسمع من المختلط قبل الاختلاط وبعده ومن هؤلاء حماد بن سلمة، فإنه سمع من عطاء في الحالتين كما استظهره الحافظ في " التهذيب "، ولذلك فلا يجوز الاحتجاج أيضا بحديثه عنه خلافا لبعض العلماء المحدثين المعاصرين، والله يغفر لنا وله وأما ما نقله ذلك المعلق عن ابن حبان، فهو رأي لابن حبان خاصة دون سائر الأئمة الذين حرصوا أشد الحرص على معرفة الرواة الذين سمعوا منه قبل الاختلاط، والذين سمعوا منه بعده، ليميزوا صحيح حديثه من سقيمه، وإلا كان ذلك حرصا لا طائل تحته، إذا كان حديثه كله صحيحا، أضف إلى ذلك أن في " المصطلح " نوعا خاصا من علوم الحديث وهو " معرفة من اختلط في آخر عمره " وقد ذكروا منهم جماعة أحدهم عطاء وقالوا فيهم فمن سمع من هؤلاء قبل اختلاطهم قبلت روايتهم، ومن سمع بعد ذلك أوشك في ذلك لم تقبل (1) والحديث رواه الطبراني أيضا في " الأوسط " (1678، 1679) وكذا في " حديثه عن النسائي " (ق 314/2) بسنده هذا، ولكنه فصل بين الشطر الأول منه والآخر، جعلهما حديثين ثم قال لم يروهذين الحديثين عن عطاء بن السائب إلا ورقاء، ولا ورقاء إلا سيف تفرد به أبو بريد وعمرو بن يزيد أبو بريد: صدوق، ومثله سيف بن عبيد الله إلا إنه ربما خالف، كما في التقريب وقد خالفه ابن فضيل فقال: عن عطاء به موقوفا على ابن عباس وهذا أصح أخرجه ابن أبي شيبة في " المصنف " (1/77/2) والحديث بظاهره يدل على أن الأيدي لا ترفع في غير هذه المواطن، وهذه الدلالة غير معتبرة عند الحنفية لأنها بطريق المفهوم، لكن قد روي الحديث بلفظ آخر يدل بمنطوقه على ما دل عليه هذا بمفهومه، فوجب علينا بيان حاله، فأقول لا ترفع الأيدي إلا في سبع مواطن: حين تفتتح الصلاة، وحين يدخل المسجد الحرام فينظر إلى البيت، وحين يقوم على المروة، وحين يقف مع الناس عشية عرفة، وبجمع، والمقامين حين يرمي الجمرة


হাদিসের মানঃ মুনকার (সহীহ হাদীসের বিপরীত)
পুনঃনিরীক্ষণঃ