হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১০৩৫

পরিচ্ছেদঃ

১০৩৫। আমার উম্মাত সত্তরাধিক দলে বিভক্ত হবে, একটি দল বাদে সে সবগুলোই জান্নাতী। সে দলটি হচ্ছে যিনদিকরা (অবিশ্বাসীরা)।

হাদীসটি এ বাক্যে জাল (বানোয়াট)।

এটি উকায়লী “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (৪/২০১) এবং ইবনুল জাওয়ী “আল-মাওযু’আত” গ্রন্থে (১/২৬৭) মুয়ায ইবনু ইয়াসীন আয-যাইয়াত সূত্রে আনাস (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি ও দায়লামী (২/১/৪১) নাঈম ইবনু হাম্মাদ সূত্রে তিনি ইয়াহইয়া ইবনুল ইয়ামান হতে, তিনি ইয়াসীন আয-যাইয়াত হতে ... বর্ণনা করেছেন।

আর ইবনুল জাওয়ী দারাকুতনী হতে, তিনি উসমান ইবনু আফফান কুরাশী হতে, তিনি আবু ইসমাঈল আল-উবুল্লী হাফস ইবনু উমার হতে বর্ণনা করেছেন।

অতঃপর ইবনুল জাওযী বলেনঃ আলেমগণ বলেছেনঃ আল-আবরাদ হাদীসটি জাল করেছেন। আর ইয়াসীন আয-যাইয়্যাত তা চুরি করেছেন। তিনি তার সনদগুলো উলট-পালট করে ফেলেছেন এবং একটিকে অন্যটির সাথে মিলিয়ে দিয়েছেন। উসমান ইবনু আফফানও হাদীসটি চুরি করেছেন। তিনি মাতরূক বর্ণনাকারী। আর হাফস মিথ্যুক। প্রসিদ্ধ হাদীসে এসেছে একটি দল জান্নাতে যাবে, সেটি হচ্ছে জামা’আত।

হাদীসটি ইমাম সুয়ূতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে (১/১৩৮) উল্লেখ করে তা সমর্থন করেছেন। অনুরূপভাবে ইবনু ইরাক "তানযীহুশ শারীয়াহ" গ্রন্থে (১/৩১০), শাওকানী "আল-ফাওয়াইদুল মাজমূয়াহ" গ্রন্থে (৫০২) ও অন্যরাও তা স্বীকার করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ প্রথম সূত্রে মুয়ায ইবনু ইয়াসীন রয়েছেন। তার সম্পর্কে উকায়লী বলেনঃ তিনি মাজহুল, তার হাদীস নিরাপদ নয়। অর্থাৎ এ হাদীসটি।

অতঃপর বলেছেনঃ ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ এবং সা’য়াদের হাদীস হতে এ হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তার শাইখ আবরাদ ইবনুল আশরাস তার চেয়েও নিকৃষ্ট। তার সম্পর্কে হাফিয যাহাবী বলেনঃ ইবনু খুযায়মাহ বলেছেনঃ তিনি মিথ্যুক ও জালকারী।

দ্বিতীয় সূত্রে ধারাবাহিকভাবে তিনজন দুর্বল বর্ণনাকারী রয়েছেন। নাঈম, ইয়াহইয়া ও ইয়াসীন। শেষের জন সর্বাপেক্ষা বেশী নিকৃষ্ট। তার সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস। ইমাম নাসাঈ ও ইবনুল জুনায়েদ বলেনঃ তিনি মাতরূক। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি বানোয়াট হাদীস বর্ণনাকারী।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনিই এ হাদীসটির ব্যাপারে মিথ্যার দোষে দোষী। সম্ভবত তিনি আবরাদ হতে চুরি করেছেন।

হাফিয ইবনু হাজার “আল-লিসান” গ্রন্থে হাদীসটির তার থেকে আরেকটি সূত্র রয়েছে। তাতে ইযতিরাব সংঘটিত হয়েছে। হাফিয বলেনঃ তিনি একবার ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ হতে, আরেকবার সায়াদ ইবনু সাঈদ হতে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটির সনদ ও মতন উভয়ের মধ্যে প্রচণ্ডরূপে ইযতিরাব সংঘটিত হয়েছে। ভাষায় যেটি সঠিক তা হচ্ছে এই যে, আমার উম্মাত তেহাওর দলে বিভক্ত হবে যার একটি বাদে সবগুলোই জাহান্নামে যাবে। তারা জিজ্ঞাসা করলেনঃ সে দলটি কোনটি? রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ (সে দলটি হচ্ছে) আমি ও আমার সাথীগণ বর্তমানে যার উপর প্রতিষ্ঠিত এ দলটি।

এ সহীহ হাদীসটি একদল সাহাবা হতে বর্ণিত হয়েছে। যাদের মধ্যে একমাত্র আনাস ইবনু মালেক হতেই সাতটি সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। ইয়াসীন আয-যাইয়াত তার চেয়ে উত্তম (আব্দুল্লাহ্ ইবনু সুফিয়ান) ব্যক্তির বিরোধিতা করে আলোচ্য হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

তৃতীয় সূত্রে উসমান ইবনু আফফান আল-কুরাশী সিজিস্তানী রয়েছেন। তার সম্পর্কে ইবনু খুযাইমাহ বলেনঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর হাদীস জাল করতেন।

তার ন্যায় তার শাইখ হাফস ইবনু উমার আল-উবুল্লী। উকায়লী "আয-যুয়াফা" গ্রন্থে (১/২৭৫) বলেনঃ তিনি শু’বাহ, মিসায়ার, মালেক ইবনু মিগওয়াল ও ইমামদের থেকে বাতিলগুলো বর্ণনাকারী।

আবু হাতিম বলেনঃ তিনি মিথ্যুক শাইখ ছিলেন।

تفترق أمتى على بضع وسبعين فرقة، كلها في الجنة، إلا فرقة واحدة وهي الزنادقة موضوع بهذا اللفظ - أخرجه العقيلي في " الضعفاء " (4/201 - بيروت) ومن طريقه ابن الجوزي في " الموضوعات " (1/267) من طريق معاذ بن ياسين الزيات: حدثنا الأبرد بن الأشرس عن يحيى بن سعيد عن أنس مرفوعا ثم رواه هو والديلمي (2/1/41) من طريق نعيم بن حماد: حدثنا يحيى بن اليمان عن ياسين الزيات عن سعد بن سعيد الأنصاري عن أنس به ورواه ابن الجوزي عن الدارقطني من طريق عثمان بن عفان القرشي: حدثنا أبو إسماعيل الأبلي حفص بن عمر عن مسعر عن سعد بن سعيد به ثم قال ابن الجوزي قال العلماء: وضعه الأبرد، وسرقه ياسين الزيات، فقلب إسناده وخلط، وسرقه عثمان بن عفان وهو متروك، وحفص كذاب، والحديث المعروف: " واحدة في الجنة، وهي الجماعة ونقله السيوطي في " اللآليء " (1/128) وأقره، وكذا أقره ابن عراق في " تنزيه الشريعة " (1/310) والشوكاني في " الفوائد المجموعة " (502) وغيرهم وأقول: في الطريق الأولى معاذ بن ياسين، قال العقيلي مجهول، وحديثه غير محفوظ قلت: يعني هذا الحديث ثم قال هذا حديث لا يرجع منه إلى صحة، وليس له أصل من حديث يحيى بن سعيد ولا من حديث سعد قلت: وشيخه الأبرد بن الأشرس شر منه، قال الذهبي قال ابن خزيمة: كذاب وضاع، قلت: حديثه: تفترق أمتي.... فذكره، وزاد الحافظ في " اللسان وهذا من الاختصار المجحف المفسد للمعنى، وذلك أن المشهور في الحديث: كلها في النار، فقال هذا قلت: وفي الطريق الثانية ثلاثة من الضعفاء على نسق واحد، نعيم ويحيى وياسين، وذا شرهم، فقد قال البخاري فيه: منكر الحديث وقال النسائي وابن الجنيد: متروك وقال ابن حبان: يروي الموضوعات قلت: فهو المتهم بهذا، ولعله سرقه من الأبرد كما سبق في كلام ابن الجوزي، فقد ذكر الحافظ في ترجمته من " اللسان " أن له طريقا أخرى عنه، رواه الحسن بن عرفة عنه عن يحيى بن سعيد، فقد اضطرب فيه، قال الحافظ فقال تارة عن يحيى بن سعيد، وتارة عن سعد بن سعيد، وهذا اضطراب شديد سندا ومتنا، والمحفوظ في المتن: " تفترق أمتي على ثلاث وسبعين فرقة كلها في النار إلا واحدة، قالوا: وما تلك الفرقة؟ قال: ما أنا عليه اليوم وأصحابي " وهذا من أمثلة مقلوب المتن قلت: وهذا المتن المحفوظ قد ورد عن جماعة من الصحابة منهم أنس بن مالك رضي الله عنه، وقد وجدت له عنه وحده سبع طرق، خرجتها في " سلسلة الأحاديث الصحيحة " بلفظ: " افترقت اليهود، وخرجته هناك من حديث أبي هريرة ومعاوية وأنس وعوف بن مالك رضي الله عنهم برقم (203 و204 و1492) ، وذلك مما يؤكد بطلان الحديث بهذا اللفظ الذي تفرد به أولئك الضعفاء، وخاصة ياسين الزيات هذا، فقد خالفه من هو خير منه: عبد الله بن سفيان، فرواه عن يحيى بن سعيد عن أنس باللفظ المحفوظ كما بينته هناك وفي الطريق الثالثة: عثمان بن عفان القرشي وهو السجستاني قال ابن خزيمة أشهد أنه كان يضع الحديث على رسول الله صلى الله عليه وسلم ومثله شيخه حفص بن عمر الأبلي، قال العقيلي في " الضعفاء " (1/275) يروي عن شعبة ومسعر ومالك بن مغول والأئمة؛ البواطيل وقال أبو حاتم: كان شيخا كذابا


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ