হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১০৩৩

পরিচ্ছেদঃ

১০৩৩। সুলায়মান (আঃ) যখন তার মুসল্লাতে দাঁড়াতেন তখন দেখতেন তাঁর সামনে একটি বৃক্ষ দাঁড়িয়ে আছে। তিনি বলতেনঃ তোমার নাম কী? গাছটি বলতঃ এরূপ। তিনি বলতেনঃ কিসের জন্য তোমার জন্ম? এই এই কাজের জন্য। বৃক্ষটি কোন ঔষুধের জন্য যদি হতো তাহলে তিনি তা লিখে নিতেন। আর যদি বৃক্ষটি রোপনের জন্য হতো তাহলে তাকে রোপন করা হতো। তিনি একদিন সালাতরত ছিলেন এমতাবস্থায় তার সামনে একটি গাছ দেখে বললেনঃ তোমার নাম কী? গাছটি বললঃ খারনুব। তিনি বললেনঃ কী কাজের জন্য তোমার সৃষ্টি? গাছটি বললঃ এ ঘরটি নষ্ট করার জন্য। সুলায়মান (আঃ) বললেনঃ হে আল্লাহ! তুমি আমার মৃত্যুকে জিন জাতির নিকট লুকিয়ে রাখ। যাতে করে মানুষেরা জানতে পারে যে, জিন জাতি গায়েব জানে না। তিনি বললেনঃ তাকে একটি লাঠি হিসেবে রেখে দিলেন, তিনি তার উপর ঠেস লাগিয়ে [মৃত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকলেন আর জিনরা কাজ করতে থাকল]। তিনি বলেনঃ উই পোকা তাকে খেতে থাকল অতঃপর লাঠিটি ভেঙ্গে গেল আর তিনি সম্মুখের দিকে পড়ে গেলেন। তারা তাকে মৃত অবস্থায় পেল। ফলে লোকদের নিকট স্পষ্ট হলো যে, জিনরা যদি গায়েব সম্পর্কে জানতো তাহলে তারা কষ্টদায়ক শাস্তির মধ্যে থাকত না। ইবনু আব্বাস (রাঃ) এভাবেই পাঠ করতেন। জিনরা উই পোকার জন্য শুকরিয়া আদায় করলো। তারা সেখানে পানি নিয়ে আসতো যেখানেই তারা থাকত।

হাদীসটি মারফু হিসেবে দুর্বল।

এটি ত্ববারানী "আল-মুজামুল কাবীর" গ্রন্থে (১২২৮১), হাকিম (৪/১৯৭-১৯৮ ও ৪-২), যিয়া আল-মাকদেসী "আল-মুখতারাহ" গ্রন্থে (৬১/২৪৯/১), ইবনু জারীর ও ইবনু আবী হাতিম যেমনটি "ইবনু কাসীর" (৩/৫২৯)-এর মধ্যে এসেছে এবং ইবনু আসাকির “তারীখু দেমাস্ক" গ্রন্থে (৭/৩০০/১) ইবরাহীম ইবনু ত্বহমান সূত্রে আতা ইবনুস সায়েব হতে, তিনি সাঈদ ইবনু যুবায়ের হতে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।

হাকিম বলেনঃ সনদটি সহীহ। যাহাবী তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এর মধ্যে দু’দিক দিয়ে বিরূপ মন্তব্য রয়েছেঃ

১। আতা ইবনুস সায়েবের মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল। আর ইবনু ত্বহমান তার থেকে ইখতিলাতের (মস্তিষ্ক বিকৃতির) পূর্বের বর্ণনাকারীদের অন্তর্ভুক্ত নন। জারীর তার বিরোধিতা করে আতা ইবনুস সায়েব সূত্রে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এটিকে হাকিম (২/৪২৩) বর্ণনা করে সহীহ আখ্যা দিয়েছেন। যাহাবীও তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।

২। মারফূ’ হিসেবে আতার বিরোধিতা করা হয়েছে। সালামাহ ইবনু কুহায়েলও সাঈদ ইবনু জুবায়ের সূত্রে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে মওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এটি হাকিম (৪/১৯৮) ও ইবনু আসাকির আহওয়াস ইবনু জওয়াব আয-যাব্বী সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি সহীহ তাতে কোন সমস্যা নেই। এটিই সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, হাদীসটি আসলে মওকুফ যেমনটি আতা হতে জারীর বর্ণনা করেছেন। আর এটিই সঠিক। ইবনু কাসীর এটিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। অথচ তিনি জারীরের এই মওকুফটি সম্পর্কে অবহিত হননি। তিনি সালামাহ ইবনু কুহায়েলের বর্ণনা সম্পর্কে অবহিত হননি। তিনি বলেছেনঃ হাদীসটি মারফূ’ হিসেবে গরীব ও মুনকার। এটি মওকুফ হওয়ারই নিকটবর্তী।

অতঃপর তিনি অন্য সূত্রে ইবনু আব্বাস (রাঃ) এবং ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে মওকুফ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেনঃ আল্লাহই বেশী জানেন এ আসারটি আহলে কিতাবদের আলেমদের থেকে প্রাপ্ত। এটি মওকুফ। তার থেকে হকের সাথে যা মিলবে তাকে সত্য আখ্যা দিব আর যা হক বিরোধী হবে তাকে মিথ্যা আখ্যা দিব। এছাড়া অবশিষ্টগুলোকে সত্য বলা যাবে না আবার মিথ্যাও বলা যাবে না।

আমি (আলবানী) বলছি - আগত হাদীসটি হক বিরোধী প্রকারের একটি উদাহরণঃ (দেখুন পরেরটি)

كان سليمان نبي الله عليه السلام إذا قام في مصلاه رأى شجرة ثابتة بين يديه، فيقول: ما اسمك؟ فتقول: كذا، فيقول: لأي شيء أنت؟ فتقول: لكذا وكذا، فإن كانت لدواء كتب، وإن كان لغرس غرست، فبينما هو يصلي يوما إذ رأى شجرة ثابتة بين يديه، فقال؟ ما اسمك؟ قالت: الخرنوب، قال: لأي شيء أنت؟ قالت: لخراب هذا البيت، قال سليمان عليه السلام: اللهم عم على الجن موتي حتى يعلم الإنس أن الجن لا تعلم الغيب، قال: فتحتها عصا فتوكأ [حولا ميتا والجن تعمل] ، قال: فأكلها الأرضة فسقط، فخر، فوجوده ميتا حولا، فتبينت الإنس أن الجن لوكانوا يعلمون الغيب ما لبثوا حولا في العذاب المهين، وكان ابن عباس يقرؤها هكذا، فشكرت الجن الأرضة، فكانت تأتيها بالماء حيث كانت ضعيف مرفوعا - أخرجه الطبراني في " المعجم الكبير " (12281) والحاكم (4/197 ـ 198 و402) والضياء المقدسي في " المختارة " (61/249/1) وابن جرير وابن أبي حاتم كما في " ابن كثير " (3/529) وابن عساكر في " تاريخ دمشق " (7/300/1) من طريق إبراهيم بن طهمان عن عطاء بن السائب عن سعيد بن جبير عن ابن عباس رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم، وقال الحاكم صحيح الإسناد، ووافقه الذهبي قلت: وفيه نظر من وجهين الأول: أن عطاء بن السائب كان اختلط، وليس ابن طهمان ممن روى عنه قبل الاختلاط، وقد خالفه جرير فقال: عن عطاء بن السائب به موقوفا على ابن عباس أخرجه الحاكم (2/423) وصححه أيضا ووافقه الذهبي الثاني: أن عطاء قد خولف في رفعه، فقد رواه سلمة بن كهيل عن سعيد بن جبير به موقوفا على ابن عباس أيضا. أخرجه الحاكم (4/198) وابن عساكر من طريق الأحوص بن جواب الضبي: حدثنا عبد الجبار بن عباس الهمداني عن سلمة بن كهيل به قلت: وهذا سند صحيح لا علة فيه، وهو يشهد أن أصل الحديث موقوف كما رواه جرير عن عطاء، وهو الصواب، وهو الذي رجحه الحافظ ابن كثير مع أنه لم يقف على رواية جرير هذه الموقوفة، ولا على رواية سلمة بن كهيل المؤيدة لها، فكيف به لووقف عليهما؟ فقال رحمه الله وفي رفعه غرابة ونكارة، والأقرب أن يكون موقوفا، وعطاء بن أبي مسلم الخراساني (1) له غرابات، وفي بعض حديثه نكارة، ثم ذكره موقوفا من وجه آخر عن ابن عباس، وعن ابن مسعود أيضا ثم قال هذا الأثر والله أعلم إنما هو مما تلقي من علماء أهل الكتاب، وهي وقف، لا يصدق منه إلا ما وافق الحق، ولا يكذب منها إلا ما خالف الحق، والباقي لا يصدق ولا يكذب قلت: ومن النوع الذي خالف الحق الحديث الآتي


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ