হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১০২১

পরিচ্ছেদঃ

১০২১। যে ব্যক্তি আমার মৃত্যুর পর আমাকে যিয়ারাত করবে, সে যেন আমাকে আমার জীবদ্দশায় যিয়ারাত করল।

হাদীসটি বাতিল।

এটি দারাকুতনী তার "সুনান" (পৃঃ ২৭৯-২৮০) গ্রন্থে হারূণ আবু কাযায়াহ হতে, তিনি আলে হাতেবের এক ব্যক্তি হতে, তিনি হাতেব হতে তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।

আল-মাহামেলী এবং সাজী এরূপই বর্ণনা করেছেন যেমনটি “আল-মীযান” গ্রন্থে এসেছে।

আমি (আলবানী) বলছিঃ দুটি কারণে এ সনদটি দুর্বলঃ

১। যে ব্যক্তির নাম নেয়া হয়নি তিনি মাজহুল (অপরিচিত)।

২। হারূণ আবু কাযায়াহ দুর্বল। তাকে ইয়াকুব ইবনু শাইবাহ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। উকায়লী, সাজী ও ইবনুল জারূদ তাকে দুর্বলদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ইমাম বুখারী বলেনঃ তার অনুসরণ করা যায় না।

অতঃপর তিনি তার এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তাতে হাতেবকে উল্লেখ করেননি। অতএব হাদীসটি মুরসাল। আযদী তার নিম্নলিখিত ভাষ্যে সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেনঃ

হারূণ আবু কায’যাহ আলে হাতেবের এক ব্যক্তি হতে মুরসালগুলো বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ সনদের মধ্যে হারূণের ব্যাপারে মতভেদ ও ইযতিরাব হওয়া হাদীসটির তৃতীয় সমস্যা। কেউ কেউ মওসূল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আবার কেউ মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার মতনেও ইযতিরাব সংঘটিত হয়েছে।

[কোন কোন বর্ণনাকারী বলেছেনঃ হারূণ আবু কাযায়াহ, কেউ বলেছেনঃ হারূণ ইবনু কায’য়াহ, আবার কেউ বলেছেনঃ হারূণ ইবনু আবী কাযায়াহ। সম্ভবত প্রথমটিই সঠিক। ইবনু আদী “আল-কামেল” (৭/২৫৮৮) গ্রন্থে বলেনঃ হারূণ আবু কায"য়াহ]।

মোটকথা হাদীসটির সনদ খুবই দুর্বল। হাদীসটিকে অনুরূপ দুর্বল বা তার চেয়েও বেশী দুর্বল সনদে ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করা হয়েছে।

তবে এ সনদটিই ইবনু উমার (রাঃ)-এর হাদীসের সনদের তুলনায় ভাল। কারণ তাতে মিথ্যা ও হাদীস জাল করার দোষে দোষী বর্ণনাকারী রয়েছেন।

এটি অবহিত হওয়ার পরে নিম্নোক্ত কারণ বর্ণনা করা বাতিলঃ সাখাবী “আল-মাকাসেদ” গ্রন্থে বলেছেনঃ ইবনু উমার (রাঃ)-এর হাদীসটিকে ইবনু খুযায়মাহ ও বাইহাকী দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন এবং অনুরূপ কথা যাহাবীও বলেছেনঃ তার সূত্রগুলো দুর্বল, তবে একটি অপরটিকে শক্তিশালী করে। কারণ সেগুলোর সনদে মিথ্যার দোষে দোষী বর্ণনাকারী নেই।

কারণ ইবনু উমার (রাঃ)-এর সূত্রে মিথ্যা ও জাল করার দোষে দোষী বর্ণনাকারী রয়েছেন। অতএব একটি অন্যটিকে শক্তিশালী করছে কথাটি বাতিল।

এতো গেল সনদ নিয়ে আলোচনা। আর হাদীসটির ভাষা সেটিতো সুস্পষ্ট মিথ্যা। যেমনটি শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ বর্ণনা করেছেন।

পাঠকবৃন্দ! লক্ষ্য করুন যে ব্যক্তি তাঁর কবর যিয়ারাত করবে তার স্তরটি সেই ব্যক্তির ন্যায় যে তাকে তাঁর জীবদ্দশায় যিয়ারাত করেছে এবং তার সাথে থেকে তাঁর সংস্পৰ্শতার সম্মান অর্জন করেছে। যাদের ফযীলত সম্পর্কে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আমার সাথীদেরকে গালি দিও না। কারণ আমি মুহাম্মাদের আত্মা যার হাতে তাঁর কসম, যদি তোমাদের কেউ উহুদ পাহাড়ের সমান স্বর্ণ খরচ (সাদাকাহ) করে তবুও তা তাদের এক মুদ কিংবা অর্ধ মুদের সমতুল্য হবে না।’

কিভাবে বোধগম্য হয় যে, শুধুমাত্র তার (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কবর যিয়ারাত করার দ্বারা তিনি [নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তাকে তাদের (সাহাবাদের) একজনের ন্যায় বানিয়ে দিবেন?

من زارني بعد موتي، فكأنما زارني في حياتي باطل - رواه الدارقطني في " سننه " (ص 279 - 280) عن هارون أبي قزعة عن رجل من آل حاطب قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره وهكذا رواه المحاملي والساجي كما في " اللسان قلت: وهذا سند ضعيف، وله علتان الأولى: الرجل الذي لم يسم، فهو مجهول والثانية: ضعف هارون أبي قزعة، ضعفه يعقوب بن شيبة، وذكره العقيلي والساجي وابن الجارود في " الضعفاء "، وقال البخاري: لا يتابع عليه ثم ساق له هذا الحديث، لكنه لم يذكر فيه حاطبا، فهو مرسل، وقد أشار إلى ذلك الأزدي بقوله هارون أبو قزعة يروي عن رجل من آل حاطب المراسيل قلت: فهذه علة ثالثة، وهي الاختلاف والاضطراب على هارون في إسناده (1) ، فبعضهم يوصله، وبعضهم يرسله، وقد اضطرب في متنه أيضا، وبين ذلك كله الحافظ بن عبد الهادي في " الصارم المنكي " (ص 100) ، فليرجع إليه من شاء التفصيل، وبالجملة فالحديث واهي الإسناد، وقد روي بإسناد آخر مثله في الضعف أوأشد من حديث ابن عمر، وسبق الكلام عليه مفصلا برقم (47) ، واختلف حافظان جليلان في أيهما أجود إسنادا، على عجرهما وبجرهما! فقال شيخ الإسلام أجودهما حديث ابن عمر، وقال الذهبي: أجودهما حديث حاطب هذا، وعزاه لابن عساكر كما في " المقاصد " (413) ، وإذا قابلت إسناد أحدهما بالآخر، وتأملت ما فيهما من العلل، تبين لك أن الصواب قول الذهبي، لأن هذا الحديث ليس فيه متهم بالكذب بخلاف حديث ابن عمر؛ فإن فيه من اتهم بالكذب ووضع الحديث، كما بينته هناك، وإذا عرفت هذا، فقول السخاوي في " المقاصد بعد حديث ابن عمر المشار إليه، ونقله عن ابن خزيمة والبيهقي أنهما ضعفاه: وكذا قال الذهبي: طرقه كلها لينة، لكن يتقوى بعضها ببعض، لأن ما في رواتها متهم بالكذب قلت: فهذا التعليل باطل، لما ذكرنا من وجود المتهم في طريق ابن عمر، وعليه فالتقوية المشار إليها باطلة أيضا، فتنبه وأما متن الحديث فهو كذب ظاهر، كما بينه شيخ الإسلام ابن تيمية رحمه الله تعالى، ونقلنا كلامه في ذلك عند حديث ابن عمر المشار إليه، فلا نعيده ومما سبق تعلم أن ما جاء في بعض كتب التربية الدينية التي تدرس في سورية تحت عنوان: زيارة قبر النبي صلى الله عليه وسلم: أن هذا الحديث رواه الدارقطني وابن السكن والطبراني وغيرهم بروايات مختلفة تبلغ درجة القبول، لم يصدر عن بحث علمي في إسناده، ولا نظر دقيق في متنه، الذي جعل من زار قبره صلى الله عليه وسلم، بمنزلة من زاره في حياته، ونال شرف صحبته، التي من فضائلها ما تحدث عنه صلى الله عليه وسلم بقوله " لا تسبوا أصحابي فوالذي نفس محمد بيده، لوأنفق أحدكم مثل جبل أحد ذهبا ما بلغ مد أحدهم ولا نصيفه فمن كان بينه وبين هؤلاء الصحابة رضي الله عنهم هذا البون الشاسع في الفضل والتفاوت، كيف يعقل أن يجعله صلى الله عليه وسلم مثل واحد منهم، بمجرد زيارة قبره صلى الله عليه وسلم، وهي لا تعدوأن تكون من المستحبات؟


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ