পরিচ্ছেদঃ
৯৩৫। প্রতিটি যুগে আমার উম্মাতের উত্তম ব্যক্তিরা হচ্ছেন পাঁচশজন। আর আদালরা হচ্ছেন চল্লিশজন। পাচশজন ও চল্লিশজন কখনই কমে যায় না। যখন চল্লিশজন হতে কোন ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করে তখন আল্লাহ পাঁচশজন হতে একজনকে বদল হিসাবে তার স্থলাভিষিক্ত করে দেন। আর পাঁচশজন হতে কেউ মারা গেলে চল্লিশজন হতে একজনকে তার স্থলে ঢুকিয়ে দেন। তারা বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমাদেরকে তাদের আমলগুলো জানিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ তারা তাদের উপর অত্যাচারকারীদেরকে ক্ষমা করে দেয়। যারা তাদের সাথে খারাপ আচরণ করে তাদের সাথে তারা ভাল আচরণ করে। আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে যা কিছু দান করেন তাতে তারা অন্যদেরকে অংশীদার করে।
হাদীছটি জাল।
এটি আবু নোয়াইম "আল-হিলইয়াহ" (১/৮) গ্রন্থে তাবারানীর সূত্রে এবং তার থেকে ইবনুল জাওযী "আল-মাওযূ’আত" (৩/১৫১) গ্রন্থে সাঈদ ইবনু আবী যায়দূন হতে তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু হারূণ হতে তিনি আওযাঈ হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি অন্ধকারাচ্ছন্ন। সাঈদ ও আব্দুল্লাহকে আমি চিনি না। হাফিয যাহাবী আব্দুল্লাহকে "আল-মীযান" গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ আওযাঈ হতে তাকে চেনা যায় না। আবদালদের আখলাক সম্পর্কে বর্ণিত হাদীছ মিথ্যা।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সেটিই এটি। হাফিয ইবনু হাজার "আল-লিসান" গ্রন্থে তা স্বীকার করেছেন। হাদীছটি সুয়ূতী “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে উল্লেখ করে হাসান হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে ক্রটি করেছেন। এতে করে পরবর্তী যুগের কেউ কেউ ধোকায় পড়ে হাদীছটি হাসান বলেছেন।
মানবী হাদীছটির সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হয়ে যাহাবীর ভাষ্য উল্লেখ করে বলেছেনঃ হাদীছটিকে ইবনুল জাওযী বানোয়াট হিসাবে হুকুম লাগিয়েছেন। আর লেখক “মুখতাসারুল মাওযু’আত” গ্রন্থে তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
আব্দাল সম্পর্কে যত হাদীছ বর্ণিত হয়েছে সেগুলোর কোনটিই সহীহ নয়। সবগুলোতেই সমস্যা রয়েছে। একটি অপরটি চেয়ে বেশী দুর্বল।
خيار أمتي في كل قرن خمسمائة، والأبدال أربعون، فلا الخمسمائة ينقصون، ولا الأربعون، كلما مات رجل أبدل الله عز وجل من الخمسمائة مكانه، وأدخل من الأربعين مكانه، قالوا: يا رسول الله! دلنا على أعمالهم، قال: يعفون عمن ظلمهم، ويحسنون إلى من أساء إليهم، ويتواسون فيما آتاهم الله عز وجل ". موضوع - أخرجه أبو نعيم في " الحلية " (1 / 8) من طريق الطبراني، وعنه ابن الجوزي في " الموضوعات " (3 / 151) : عن سعيد بن زيدون: حدثنا عبد الله بن هارون الصوري: حدثنا الأوزاعي عن الزهري عن نافع عن ابن عمر مرفوعا قلت: وهذا سند مظلم، سعيد بن أبي (زيدون) وعبد الله بن هارون لم أعرفهم، إلا أن الثاني منهما أورده الذهبي في " الميزان " وقال: " عن الأوزاعي لا يعرف، والخبر كذب في أخلاق الأبدال ". قلت: وهو هذا، وأقره الحافظ ابن حجر في " اللسان ". والحديث أورده السيوطي في الجامع الصغير " فأساء، لاسيما وقد وقع في بعض النسخ مرموزا له بالحسن! واغتر بذلك بعض المتأخرين (1) فقال: " حديث حسن "! وأما المناوي فقد تنبه لعلته، فقال بعد نقل كلام الذهبي السابق: " ومن ثم حكم ابن الجوزي بوضعه، ووافقه عليها المؤلف في " مختصر الموضوعات " فأقره ولم يتعقبه واعلم أن أحاديث الأبدال لا يصح منها شيء، وكلها معلولة، وبعضها أشد ضعفا من بعض، وأنا ذاكر لك بعضها، وكاشف عن عللها، إن شاء الله تبارك وتعالى