পরিচ্ছেদঃ
৮৮৭। তোমাদের পূর্বে নিজের উপর অপচয়কারী এক মুসলিম ব্যক্তি ছিল। যখন সে তার খাদ্য খেত তখন তার খাদ্যের অবশিষ্ট অংশ আবর্জনা নিক্ষেপের স্থানে ফেলে দিতো। এক আবেদ সেই স্থানে আসত, অতঃপর যদি কোন মাংসের টুকরা পেত তাহলে তা খেয়ে নিত। আর যদি কোন তরকারী পেত তাও খেয়ে নিত। যদি কোন শিরার অংশ পেত তাহলে তাই খেয়ে নিত। (আল-হাদীছ, তাতে আরো রয়েছে)- আল্লাহ তা’আলা তার ব্যাপারে এক ফেরেশতাকে নির্দেশ দিলেন, জাহান্নামের আগুনের এক টুকরা বের করে এনে তাকে উত্তমরূপে পরিস্কার করলো। অতঃপর তাকে পূনরায় পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হলে, ঐ ব্যক্তি বললোঃ হে প্রভু এই সে ব্যক্তি যার ময়লা নিক্ষেপের স্থান হতে আমি ভক্ষণ করতাম। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ তুমি তাকে ধর জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দাও। সেই উত্তম কর্মের জন্য যা তোমার উপরে সে করেছে অথচ সে তা জানে না। যদি সে তা জানতো তাহলে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করতাম না।
হাদীছটি বাতিল।
এটি তাম্মাম "আল-ফাওয়ায়েদ" (২৩২৯) গ্রন্থে মানসূর ইবনু আবদিল্লাহ আল-ওয়াররাক সূত্রে তিনি আলী ইবনু জাবের আল-আওদী হতে তিনি হুসাইন ইবনু হাসান ইবনে আতিয়াহ হতে তিনি তার পিতা হতে তিনি মিস’আর ইবনু কিদাম হতে তিনি আতিয়াহ হতে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। তাতে তিনটি সমস্যা রয়েছেঃ
১। আতিয়াহ ইবনু সা’আদ আল-আওফী দুর্বল। তিনি মন্দ তাদলীস করতেন। তিনি বলতেনঃ আবু সাঈদ হতে। ফলে ধারণা করা হতো আল-খুদরী (রাঃ)-কে। অথচ তিনি তার দ্বারা বুঝাতেন মিথ্যুক আল-কালবীকে। (তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ১ম খণ্ডের ২৪ নম্বর হাদীছে)
২। হাসান ইবনু আতিয়াহ, তিনি উল্লেখিত ইবনুল আওফী। ইমাম বুখারী তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি সেরূপ নন। ইবনু হিব্বান (১/১/২২) বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ। জানি না তার হাদীছগুলোতে সমস্যা তার থেকে, না তার পিতা থেকে, না তাদের দু’জন থেকেই।
৩। তার ছেলে হুসাইন ইবনুল হাসান ইবনে আতিয়াহ সম্পর্কে আবু হাতিম বলেনঃ তিনি হাদীছের ক্ষেত্রে দুর্বল। যেমনটি "আল-জারহু ওয়াত তা’দীল" (১/২/৪৮) গ্রন্থে এসেছে। ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি ফয়সালার ক্ষেত্রে দুর্বল আর হাদীছের ব্যাপারেও দুর্বল ছিলেন।
৪। আলী ইবনু জাবের ও মানসূর আল-ওয়াররাকের জীবনী পাচ্ছি না। হাদীছটি মুনকার বরং সুস্পষ্ট বাতিল। হৃদয় বানোয়াট হওয়ারই সাক্ষ্য দিচ্ছে। হাদীছটি সম্ভবত ইসরাঈলী বর্ণনা হতে এসেছে। কালবী আহলে কিতাবদের থেকে বর্ণনা করেছেন। অতঃপর আতিয়াহ আল-আওফী তাদলীস করেছেন।
كان فيمن كان قبلكم رجل مسرف على نفسه، وكان مسلما، كان إذا أكل طعاما طرح تفالة طعامه على مزبلة، فكان يأو ي إليها عابد، فإن وجد كسرة أكلها وإن وجد بقلة أكلها، وإن وجد عرقا تعرقه.... (الحديث وفيه) : فأمر الله عز وجل بذلك الملك فأخرج من النار جمرة ينفض فأعيد كما كان، فقال: يا رب هذا الذي كنت آكل من مزبلته قال: فقال الله عز وجل: خذ بيده فأدخله الجنة من معروف كان منه إليك لم يعلم به، أما لوعلم به ما أدخلته النار باطل - رواه تمام في " الفوائد " (2329) من طريق منصور بن عبد الله الوراق: حدثني علي بن جابر بن بسر الأو دي: حدثنا حسين بن حسن بن عطية: حدثنا أبي عن مسعر بن كدام عن عطية عن أبي سعيد مرفوعا. قلت: وهذا إسناد واه جدا، وفيه علل الأولى: عطية وهو ابن سعد العوفي ضعيف، وكان يدلس تدليسا خبيثا، فكان يقول: عن أبي سعيد يوهم أنه الخدري وهو يعني الكلبي الكذاب، وقد سبق تفصيل ذلك في الحديث (24 ص 32 ج 1) الثانية: حسن بن عطية وهو ابن العوفي المذكور آنفا، قال البخاري: " ليس بذاك ". وقال ابن حبان (1 / 1 / 22) : " منكر الحديث، فلا أدري البلية في أحاديثه منه أو من ابنه أو منهما معا الثالثة: ابنه الحسين بن الحسن بن عطية، قال أبو حاتم: " ضعيف الحديث " كما في " الجرح والتعديل " (1 / 2 / 48) . وقال ابن معين: كان ضعيفا في القضاء، ضعيفا في الحديث ". وله ترجمة واسعة في " تاريخ بغداد " (8 / 29 - 32) وذكر له أخبارا طريفة في لحيته التي كانت تبلغ إلى ركبته الرابعة: علي بن جابر ومنصور الوراق لم أجد من ترجمهما. والحديث مع ضعف إسناده الشديد، فهو منكر بل باطل ظاهر البطلان، يشهد القلب بوضعه، ولعله من الإسرائيليات التي تلقها الكلبي من أهل الكتاب ثم دلسه عنه عطية العوفي، فإن من غير المعقول أن يثاب ذلك الرجل المجرم بعمل عمله لا يقصد به نفع الناس ولو قصده لم ينفعه حتى يبتغي به وجه الله، كما هو معلوم، مع أن العمل نفسه قد يمكن إدخاله في باب الإسراف وتضييع المال، فتأمل وإن مثل هذا الحديث ليفتح بابا كبيرا على الناس من التواكل والتكاسل عن القيام بما أمر الله به، والانتهاء عما نهى عنه، والاعتماد على الأعمال العادية التي لا يقصد بها التقرب إلى الله، متعللين بأنه عسى أن ينتفع بها بعض الناس فيغفر الله لنا