হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৮৮২

পরিচ্ছেদঃ

৮৮২। তোমরা বিপদ নাযিল হওয়ার পূর্বেই তার (সমাধানের) জন্য তাড়াহুড়া করো না। কারণ তোমরা যদি তা নাযিল হওয়ার পূর্বেই তার (সমাধানের) জন্য তাড়াহুড়া না করো, তাহলে মুসলিমরা পৃথক পৃথক হয়ে যাবে না। যদি তা নাযিল হয়েই যায় তাহলে তাদের মধ্যে এমন ব্যক্তি রয়েছে যে বলবে তিনিই তাওফীক দিবেন তিনিই সৎ পথ প্রদর্শন করবেন। তোমরা যদি (অনাগত) বিপদের (সমাধানের) জন্য তাড়াছড়া করো, তাহলে তোমাদের মতামতগুলো ভিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবে। ফলে তোমরা এটা গ্রহণ করবে আবার এটা গ্রহণ করবে। তিনি তার সামনের দিকে তার ডানে ও বামের দিকে ইঙ্গিত করলেন।

হাদীছটি দুর্বল।

এটি দারেমী তার “সুনান” (১/৪৯) গ্রন্থে আবু সালামা আল-হিমসী হতে বর্ণনা করেছেন, তাকে ওয়াহাব ইবনু আমর আল-জামহী হাদীছটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।

তিনি আবু সালামা হতেও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি মু’যাল। কারণ আবু সালামার নাম হচ্ছে সুলায়মান ইবনু সুলায়েম আল-কালবী শামী, তিনি তাবে তাবেঈনদের একজন।

আর প্রথমটি মুরসাল, দুর্বল। কারণ ওয়াহাব ইবনু আমর আল-জামহীকে আমি চিনি না। হতে পারে তিনি হচ্ছেন ওয়াহাব ইবনু উমায়ের। ইবনু আবী হাতিম (৪/২/২৪) বলেনঃ তিনি উছমান ইবনু আফফান (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। আর তার থেকে আতা ইবনু আবী মায়মূনাহ বর্ণনা করেছেন। তিনি তার সম্পর্কে এর চেয়ে বেশী কিছু বর্ণনা করেননি। অতএব তিনি মাজহুল।

আমি (আলবানী) বলছিঃ সনদটি যদিও দুর্বল, তবুও সালাফদের হাদীছটির উপর আমল আছে। সহীহ সূত্রে মাসরূক হতে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেনঃ “আমি উবায় ইবনু কা’আবকে কোন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেনঃ এটি কি ঘটেছে? আমি বললামঃ না। তিনি বললেনঃ না ঘটা পর্যন্ত আমাদেরকে আরাম দাও। যখন ঘটবে তখন আমরা তোমার জন্য আমাদের মত নিয়ে ইজতিহাদ করবো।” এটিকে ইবনু আব্দিল বার "আল-জামে" (২/৫৮) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সনদ সহীহ।

দারেমী যায়েদ আল-মুনকেরী হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেনঃ

“একদিন এক ব্যক্তি ইবনু উমারের নিকট এসে কোন বিষয় সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করলো। জানি না বিষয়টি কী ছিল? তাকে ইবনু উমার বললেনঃ যেটি ঘটেনি সে বিষয়ে প্রশ্ন করো না। কারণ আমি উমার ইবনুল খাত্তাবকে সেই ব্যক্তিকে অভিশাপ দিতে শুনেছি যে তাকে এমন বিষয়ে প্রশ্ন করেছে যা ঘটেনি।

এটি দারেমী (১/৫০) সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন। যায়েদ হাফিয হাম্মাদ ইবনু যায়েদ আল-আযদীর পিতা। তাকে ইবনু হিব্বান নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন। আর তার থেকে তার দুই ছেলে হাম্মাদ ও সাঈদ বর্ণনা করেছেন। দারেমী সহীহ সনদে তাউস হতে আরো বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ উমার (রাঃ) মিম্বারে চড়ে বলেনঃ আমি আল্লাহর নাম নিয়ে যা ঘটেনি সে সম্পর্কে কোন ব্যক্তি কর্তৃক প্রশ্ন করাকে নিষিদ্ধ করছি। কারণ যা কিছু ঘটবে তার সব কিছুরই বিবরণ আল্লাহ দিয়ে দিয়েছেন।

দারেমী যুহরী হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ আমার নিকট পৌঁছেছে যে, যায়েদ ইবনু ছাবেত আল-আনসারীকে যখন কোন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হতো তখন তিনি বলতেনঃ এটি কি ঘটেছে? তারা যদি বলতো জি হ্যাঁ ঘটেছে। তাহলে তিনি সে বিষয়ে যা জানতেন ও যা মনে করতেন তা বলতেন। আর যদি তারা বলতো ঘটেনি, তাহলে তিনি বলতেন, না ঘটা পর্যন্ত আমাকে ছেড়ে দাও। যুহরী পর্যন্ত এ সনদ সহীহ।

শা’বী হতে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আম্মার ইবনু ইয়াসিরকে কোন এক মাসআলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বললেনঃ এটি কি ঘটেছে? তারা বললঃ ঘটেনি। তিনি উত্তরে বললেনঃ তোমরা আমাদেরকে না ঘটা পর্যন্ত ছেড়ে দাও...। এ সনদটি সহীহ।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ কারণেই ইমামগণ আবু হানীফাহ (রহঃ)-কে আক্রমণ করেছেন। কারণ ঘটেনি এমন মাসলাহ-মাসায়েল অনুমানের উপর ধরে নিয়ে (যদি ঘটে) তিনি সেগুলোর উত্তর দিয়েছেন। আর তার অনুসারীরা তার তাকলীদ করে তাদের গ্রন্থগুলো সে সব যদির মাসলাগুলো দ্বারা পরিপূর্ণ করে ফেলেছেন।

এ কারণেই ইবনু আব্দিল বার "কিতাবুল জামে" (২/১৪৫) গ্রন্থে উক্ত বিষয়ের দোষ বর্ণনা করে একটি অধ্যায় রচনা করে বলেছেনঃ রুকবাহ ইবনু মুসকালাহকে ইমাম আবু হানীফাহ (রহঃ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তিনি উত্তরে বলেনঃ যা ঘটেনি সে সম্পর্কে লোকেদের মধ্যে তিনি (আবূ হানীফাহ) সর্বাপেক্ষা বেশী জ্ঞানী ছিলেন। আর যা ঘটে গেছে সে সম্পর্কে তিনি সর্বাপেক্ষা বেশী অজ্ঞ ছিলেন। এ কথাটি আবু হানীফাহ সম্পর্কে হাফস ইবনু গিয়াছ হতে বর্ণনা করা হয়ে থাকে। এর দ্বারা তিনি বুঝিয়েছেন হাদীছের ক্ষেত্রে তার জ্ঞান ছিল না। আল্লাহই বেশী জানেন।

لا تعجلوا بالبلية قبل نزولها، فإنكم إن لا تعجلوها قبل نزولها، لا ينفك المسلمون، وفيهم إذا هي نزلت من إذا قال وفق وسدد، وإنكم إن تعجلوها تختلف بكم الأهواء، فتأخذوا هكذا وهكذا، وأشار بين يديه وعلى يمينه وعن شماله ضعيف - أخرجه الدارمي في " سننه " (1 / 49) عن أبي سلمة الحمصي أن وهب بن عمرو الجمحي حدثه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: فذكره. ثم روى عن أبي سلمة أيضا أن النبي صلى الله عليه وسلم سئل عن الأمر يحدث ليس في كتاب ولا سنة؟ فقال: " ينظر فيه العابدون من المؤمنين قلت: وهذا معضل لأن أبا سلمة واسمه سليمان بن سليم الكلبي الشامي من أتباع التابعين. والأول مرسل ضعيف، لأن وهب بن عمرو الجمحي لم أعرفه، ويحتمل أنه وهب بن عمير قال ابن أبي حاتم (4 / 2 / 24) : " روى عن عثمان بن عفان رضي الله عنه، روى عنه عطاء بن أبي ميمونة ". ولم يذكر فيه غير ذلك فهو مجهول وقد روى نحوه من حديث علي وسيأتي برقم (4854) . قلت: وهذا الحديث وإن كان ضعيف الإسناد، فالعمل عليه عند السلف، فقد صح عن مسروق أنه قال: " سألت أبي بن كعب عن شيء؟ فقال: أكان هذا؟ قلت: لا، قال: فأجمنا حتى يكون، فإذا كان، اجتهدنا لك رأينا ". أخرجه ابن عبد البر في " الجامع " (2 / 58) . وإسناده صحيح. وروى الدارمي عن زيد المنقري قال: " جاء رجل يوما إلى ابن عمر فسأله عن شيء لا أدري ما هو؟ فقال له ابن عمر: لا تسأل عما لم يكن فإني سمعت عمر بن الخطاب يلعن من سأل عما لم يكن أخرجه الدارمي (1 / 50) بإسناد صحيح عنه، وهو والد حماد بن زيد بن درهم الأزدي الحافظ، وقد وثقه ابن حبان، وروى عنه ابناه حماد هذا وسعيد. ثم روى الدارمي بإسناده الصحيح عن طاووس، قال: قال عمر: على المنبر: " أحرج بالله على رجل سأل عما لم يكن، فإنه الله قد بين ما هو كائن ". وعن الزهري قال: بلغنا أن زيد بن ثابت الأنصاري كان يقول: إذا سئل عن الأمر: أكان هذا؟ فإن قالوا: نعم قد كان، حدث فيه بالذي يعلم والذي يرى، وإن قالوا: لم يكن، قال: فذرون حتى يكون. وإسناده إلى الزهري صحيح وعن عامر (وهو الشعبي) قال: سئل عمار بن ياسر عن مسئلة؟ فقال: هل كان هذا بعد؟ قالوا: لا، قال: دعونا حتى تكون، فإذا كانت تجشمناها لكم. وإسناده صحيح، وعن ابن عون قال: قال القاسم: إنكم تسألون عن أشياء ما كنا نسأل عنها، وتنقرون عن أشياء ما كن ننقر عنها، وتسألون عن أشياء ما أدري ما هي؟ ولوعلمناها ما حل لنا أن نكتمكموها. وإسناده صحيح قلت: ولذلك كان مما أخذه الأئمة على أبي حنيفة رحمه الله فرضه المسائل التي لا تقع أولما تقع، وجوابه عليها، ثم قلده أتباعه على ذلك، فشحنوا كتبهم العديدة بها، ولذلك قال الحافظ ابن عبد البر في باب ما جاء في ذم القول في دين الله بالرأي والظن والقياس على غير أصله، وعيب الإكثار من المسائل دون اعتبار ". من كتابه " الجامع " (2 / 145) : " وسئل رقبة بن مصقلة عن أبي حنيفة؟ فقال: " هو أعلم الناس بما لم يكن وأجهلهم بما قد كان ". وقد روي هذا القول عن حفص بن غياث في أبي حنيفة، يريد أنه لم يكن له علم بآثار من مضى. والله أعلم وانظر ما يشبه هذا الكلام في أبي حنيفة وأصحابه في (ص 148 منه)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ