হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৮৫৪

পরিচ্ছেদঃ

৮৫৪। হে আল্লাহ আমার খালীফাদের তুমি দয়া করো। যারা আমার পরে এসে আমার হাদীছ ও আমার সুন্নাত বর্ণনা করবে এবং তারা লোকদেরকে তা শিক্ষা দিবে।

হাদীছটি বাতিল।

এটি রামহুরমুখী "আল-ফাসেল" (পৃঃ ৫) গ্রন্থে, আবু নোয়াইম “আখবারু আসবাহান” (১/৮১) গ্রন্থে, আল-খাতীব "শারাফু আসহাবিল হাদীছ" (১/৩৬/১) গ্রন্থে, আল-হারাবী “যাম্মুল কালাম" (৪/৮২/২) গ্রন্থে, অনুরূপভাবে কাযী আয়ায "আল-ইলমা" (৩/৪) গ্রন্থে, আব্দুল গানী আল-মাকদেসী “কিতাবুল ইলম” (২/৫০) গ্রন্থে, যিয়া "আল-মুনতাকা মিন মাসমূ’আতিহি বেমারু" (১/৭৪) গ্রন্থে এবং মুহাম্মাদ ইবনু তূলূন "আল-আরবাউন" (১/৫) গ্রন্থে (তারা সকলে) আহমাদ ইবনু ঈসা সূত্রে ইবনু আবী ফুদায়েক হতে তিনি হিশাম ইবনু সা’আদ হতে তিনি যায়েদ ইবনু আসলাম হতে তিনি আতা ইবনু ইয়াসার হতে ... বর্ণনা করেছেন।

এ সূত্রেই তাবারানী “আল-আওসাত” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন, যেমনটি "আল-মাজমা" (১/১২৬) গ্রন্থে এসেছে। আবু নোয়াইম আহমাদ ইবনু ঈসা সম্পর্কে বলেনঃ তিনি আসবাহানে খালীফা রাশীদের আমলে মারা যান। তিনি তার সম্পর্কে মন্দ কিছুই বর্ণনা করেননি। এটি আশ্চর্যের ব্যাপার। কারণ দারাকুতনী তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি মিথ্যুক। যেমনটি হাফিয যাহাবীর “আল-মীযান” গ্রন্থে এসেছে। তিনি তার এ হাদীছটি উল্লেখ করে বলেছেনঃ হাদীছটি বাতিল। তার এ বক্তব্য ইবনু হাজার “আল-লিসান” গ্রন্থে সমর্থন করেছেন। তা সত্ত্বেও সুয়ূতী হাদীছটি “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। এ কারণে মানবী দারাকুতনী এবং যাহাবীর বক্তব্য উল্লেখ করে তার সমালোচনা করেছেন।

মানবী উল্লেখ করেছেন, তাবারানী বলেনঃ আহমাদ ইবনু ঈসা হাদীছটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তাতে বিরূপ মন্তব্য রয়েছে। কারণ আল-খাতীব বলেনঃ আমাকে আলী ইবনু আবী আলী বাসরী হাদীছটি শুনিয়েছেন...। আল-খাতীবের সূত্রে "আল-মুসালসালাত" (২/৯৯) গ্রন্থে আল-কাযরাওনী বর্ণনা করেছেন। কিন্তু সনদের এক বর্ণনাকারী আব্দুস সালাম সম্পর্কে দারাকুতনী বলেনঃ তিনি কিছুই না। আযদী বলেনঃ তার হাদীছ লিখা যায় না। ইবনু হিব্বান (২/১৪৪) বলেনঃ তিনি হাদীছ চুরি করতেন এবং জাল হাদীছ বর্ণনা করতেন।

বাহ্যিকতা প্রমাণ করছে যে, হাদীছটি তিনি আহমাদ ইবনু ঈসা হতে চুরি করেছেন।

হাদিসটির আরো সূত্র রয়েছেঃ

১। যার একটিতে আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ ইবনে আমের আত-তাঈ রয়েছেন। তিনি জাল করার দোষে দোষী। এ সনদে তার একটি জাল বাতিল পাণ্ডলিপি রয়েছে। তা তিনি নিজেই জাল করেছেন বা তা তার পিতার জালকৃত, যেমনটি যাহাবী বলেছেন। এটি যিয়া "আল-মুনতাকা মিন মাসমূআতিহি বেমারু" (১/৭৪) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।

২। আরেকটি সূত্র সিলাফী “আত-তায়ূরিয়াত” (১/৩৪) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। যার সনদে ঈসা ইবনু আবদিল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ রয়েছেন। তার সম্পর্কে ইবনু হিব্বান (২/১১৯) বলেনঃ তিনি তার পিতা হতে তিনি তার দাদা হতে বানোয়াট বহু কিছু বর্ণনা করেছেন।

৩। আরেকটি সূত্র ইবনু বাত্তাহ "আল-ইবানাহ" (১/১২৯/২) গ্রন্থে এবং ইবনু আসাকির (১৪/৩৪৭/২) ওবায়েদ ইবনু হিশাম হালাবী হতে ... বর্ণনা করেছেন।

এটি মুরাসাল হওয়া সত্ত্বেও খুবই দুর্বল। ওবায়েদ ইবনু হিশাম সম্পর্কে আবূ দাউদ বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য কিন্তু তার শেষ জীবনে মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল। তাকে সেই হাদীছের ব্যাপারে সতর্ক করা হতো যেগুলোর কোন ভিত্তি নেই। সম্ভবত এটি সেগুলোর অন্তর্ভুক্ত।

৪। আবু নোয়াইম একটি বানোয়াট সনদেও হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। সেটি আগত হাদীছের সনদটিঃ (দেখুন পরের হাদিস)

اللهم ارحم خلفائي الذين يأتون بعدي، يرو ون أحاديثي وسنتي، ويعلمونها الناس باطل - رواه الرامهرمزي في " الفاصل " (ص 5) وأبو نعيم في " أخبار أصبهان " (1 / 81) والخطيب في " شرف أصحاب الحديث " (1 / 36 / 1) والهروي في " ذم الكلام " (4 / 82 / 2) وكذا القاضي عياض في " الإلماع " (3 / 4) وعبد الغني المقدسي في " كتاب العلم " (50 / 2) والضياء في " المنتقى من مسموعاته بمرو" (74 / 1) ومحمد بن طولون في الأربعين " (5 / 1) كلهم من طريق أحمد بن عيسى بن عبد الله الحواني: حدثنا ابن أبي فديك عن هشام بن سعد عن زيد بن أسلم عن عطاء بن يسار: سمعت علي بن أبي طالب يقول: خرج علينا رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال: فذكره. ومن هذا الوجه رواه الطبراني في " الأوسط " كما في " المجمع " (1 / 126) ، وأورده أبو نعيم في ترجمة أحمد بن عيسى هذا وقال: " توفي بأصبهان في خلافة الرشيد "، ولم يذكر فيه جرحا، وهذا عجب فقد قال الدارقطني فيه " كذاب ". كما في " الميزان " للذهبي. وساق له هذا الحديث، وقال: " وهذا باطل ". وأقره الحافظ ابن حجر في " اللسان "، ومع ذلك فقد أورده السيوطي في " الجامع الصغير وتعقبه المناوي بما نقلناه عن الدارقطني والذهبي وأتبع ذلك بقوله: " فكان ينبغي حذفه من الكتاب ". وذكر المناوي أن مخرجه الطبراني قال: " تفرد به أحمد بن عيسى هذا قلت: وفيه نظر، فقد قال الخطيب: وأخبرني علي بن أبي علي البصري قال: حدثنا أبو العباس عبيد الله بن الحسن بن جعفر بن أبي موسى القاضي الموصلي، قال: حدثنا سعيد بن علي بن الخليل قال: حدثنا عبد السلام بن عبيد: قال ابن أبي فديك به. ومن طريق الخطيب رواه الكازروني في " المسلسلات " (99 / 2) . لكن عبد السلام هذا قال الدارقطني: " ليس بشيء " وقال الأزدي: " لا يكتب حديثه " وقال ابن حبان (2 / 144) : " كان يسرق الحديث ويروي الموضوعات قلت: فالظاهر أن هذا الحديث مما سرقه من أحمد بن عيسى! وللحديث طرق أخرى: أخرجه الضياء في " المنتقى من مسموعاته بمرو" (49 / 2) وعفيف الدين في " فضل العلم " (124 / 2) عن عبد الله بن أحمد بن عامر الطائي: حدثني أبي: حدثني أبو الحسن علي بن موسى الرضا ... قلت: فساق إسناده عن آبائه من أهل البيت إلى علي بن أبي طالب رضي الله تعالى عنهم. وعبد الله هذا متهم بالوضع، له بهذا السند نسخة موضوعة باطلة ما تنفك عن وضعه أو وضع أبيه، كما قال الذهبي أخرجه السلفي في " الطيوريات " (34 / 1) عن إبراهيم بن ميمون: أخبرنا عيسى بن عبد الله عن أبيه عن جده عن علي مرفوعا. وآفة هذه الطريق عيسى بن عبد الله وهو ابن محمد بن عمر بن علي بن أبي طالب، قال ابن حبان (2 / 119) : " يروي عن أبيه عن آبائه أشياء موضوعة أخرجه ابن بطة في " الإبانة " (1 / 129 / 2) وابن عساكر (14 / 347 / 2) عن عبيد بن هشام الحلبي قال: حدثنا ابن أبي فديك عن عمر بن كثير عن الحسن رفعه نحوه. وهذا مع إرساله واه، عبيد بن هشام هذا قال أبو داود: " ثقة إلا أنه تغير في آخر أمره، لقن أحاديث ليس لها أصل ". قلت: فالظاهر أن هذا الحديث من جملة ما لقنوه فتلقنه! أخرجه أبو نعيم وغيره بسند موضوع عن علي بلفظ آخر وهو: " ألا أدلكم على الخلفاء مني ومن أصحابي ومن الأنبياء قبلي؟ هم حفظة القرآن والأحاديث عني وعنهم، في الله ولله


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ