পরিচ্ছেদঃ
৮২৩। তুমি এক চেহারার (সত্তার) জন্য আমল করো, তাহলে তা তোমাকে সকল চেহারা (সত্তা) হতে রক্ষা করবে।
হাদীছটি নিতান্তই দুর্বল।
এটি সাহসী “তারীখু জুরজান” (১৭০,৩৫০) গ্রন্থে আবূ হুরমুয হতে তিনি আনাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। আবু হুরমুযের নাম নাফে ইবনু হুরমুয। তার সম্পর্কে আবু হাতিম বলেনঃ তিনি মাতরূক, যাহেবুল হাদীছ। নাসাঈ বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন।
ইবনু মাঈন তার ব্যাপারে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভূগেছেন। একবার তিনি তাকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। আরেকবার বলেছেনঃ তার হাদীছ লিখা যাবে না। আরেকবার বলেছেনঃ তাকে আমি চিনি না। আরেকবার বলেছেনঃ তিনি কিছুই না।
হাদীছটি সুয়ূতী “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে দাইলামী ও ইবনু আদীর বর্ণনা হতে উল্লেখ করেছেন। এ কারণে মানবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ তাতে আবূ আব্দির রহমান আস-সুলামী রয়েছেন। তিনি সূফীদের জন্য হাদীছ জালকারী। তাতে আরো রয়েছেন, মুহাম্মাদ ইবনু আহমাদ ইবনে হারূণ, তার সম্পর্কে যাহাবী "আয-যোয়াফা" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি জাল করার দোষে দোষী। ইবনু মাঈন তাকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। আবু হাতিম তাকে পরিত্যাগ করেছেন। ইমাম আহমাদ তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সুলামী ও ইবনু হারূণ সাহমীর সনদে নাই। ইবনু আদীরও সনদে নেই। অতএব সাহমীর বর্ণনার সমস্যা হচ্ছে আবু হুরমুয। তখন হাদীছটি জালের পর্যায়ে পৌঁছায় না।
اعمل لوجه واحد يكفك الوجوه كلها ضعيف جدا - رواه السهمي في " تاريخ جرجان " (170، 350) عن أبي هرمز: سمعت أنسا يقول فذكره مرفوعا قلت: وهذا سند ضعيف جدا، أبوهرمز هذا اسمه نافع بن هرمز قال أبو حاتم: " متروك ذاهب الحديث ". وقال النسائي: " ليس بثقة ". واختلف فيه قول ابن معين، فكذبه مرة، وقال مرة: لا يكتب حديثه. وقال مرة: لا أعرفه. وقال مرة: ليس بشيء والحديث أورده السيوطي في " الجامع الصغير " من رواية ابن عدي والديلمي عن أنس. وتعقبه المناوي بقوله: " وفيه أبو عبد الرحمن السلمي سبق أنه وضاع للصوفية، ومحمد بن أحمد بن هارون قال الذهبي في " الضعفاء ": متهم بالوضع، ونافع بن هرمز أبوهرمز قال في " الميزان ": كذبه ابن معين. وتركه أبو حاتم وضعفه أحمد انتهى. وبه يعرف أن سنده مهلهل بالمرة فكان ينبغي للمصنف حذفه قلت: السلمي وابن هارون ليس بشيء في سند السهمي، وكذا ابن عدي، فإن الجرجاني رواه عنه في أحد الموضعين المشار إليهما، فآفة الحديث أبوهرمز هذا فقط، وحينئذ فلا يصل الأمر إلى الحكم على الحديث بالوضع، والله أعلم