পরিচ্ছেদঃ
৬৮৩। শিকারীর ঘর যমীনবাসীদের জন্য ডুবে যাওয়া হতে নিরাপদ স্থান। কুরায়েশদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন মতভেদ করা হতে যমীনবাসীদেরকে নিরাপদে রাখে। কুরায়েশরা হচ্ছে আল্লাহর পরিবার। আরবের কোন গোত্র যদি তাদের বিরোধিতা করে তাহলে তারা ইবলীসের দলভুক্ত হয়ে যায়।
হাদীছটি নিতান্তই দুর্বল।
এটিকে ইবনু হিব্বান "আয-যোয়াফা" (১/২৮০) গ্রন্থে, তাম্মাম (৩/২০/২), তার থেকে ইবনু আসাকির (৫/৩৭৯/১), হাকিম (৪/৭৫), অনুরূপভাবে তাবারানী (৩/১২৩/২) এবং তার সূত্র হতে আল-ইরাকী "মহাজ্জাতুল কুরব ইলা মুহাব্বাতিল আরাব" (২/১৯) গ্রন্থে ইসহাক ইবনু সাঈদ ইবনে আরকূন হতে তিনি খুলায়েদ ইবনু দা’লিজ হতে তিনি আতা ইবনু আবী রাবাহ হতে ... বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেনঃ সনদটি সহীহ! ইমাম যাহাবী তার প্রতিবাদ করে বলেছেনঃ বরং খুবই দুর্বল। তার সনদে দু’জন দুর্বল বর্ণনাকারী রয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ একজন হচ্ছেন ইবনু আরকূন। তার সম্পর্কে “আল-মীযান" গ্রন্থে যাহাবী বলেন, দারাকুতনী বলেছেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ। আবু হাতিম বলেছেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন।
দ্বিতীয়জন, খুলায়েদ ইবনু দা’লিজ। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি বহু ভুল করতেন। সাজী বলেনঃ সকলে তার দুর্বল হওয়ার ব্যাপারে ঐকমত্য। নাসাঈ বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন। দারাকুতনী তাকে মাতরূকীনদের (অগ্রহণযোগ্যদের) দলে গণ্য করেছেন। সনদটি খুবই দুর্বল।
হাদীছটিকে ইবনুল জাওয়ী “আল-মাওযুআত” গ্রন্থে অন্য সূত্রে খুলায়েদ হতে উল্লেখ করে বলেছেনঃ হাদীছটি বানোয়াট। তাকে মুহাদ্দিছগণ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। তার থেকে বর্ণনাকারী মুনকারুল হাদীছ। আরেক বর্ণনাকারী ওয়াহাব মিথ্যুক, জালকারী। তাকেই হাদীছটির ব্যাপারে মিথ্যার দোষে দোষী করা হয়েছে। হাদীছটির প্রথম অংশটুকু ইমাম বুখারী "আল-আদাবুল মুফরাদ" (পৃঃ ১১৩) গ্রন্থে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তা শাহেদ হওয়ার যোগ্য নয়। কারণ সেটি মওকুফ। সম্ভবত ইবনু আব্বাস (রাঃ) আহলে কিতাবদের থেকে বর্ণনা করেছেন।
أمان لأهل الأرض من الغرق القوس، وأمان لأهل الأرض من الاختلاف الموالاة لقريش، قريش أهل الله، فإذا خالفتها قبيلة من العرب صاروا حزب إبليس ضعيف جدا - رواه ابن حبان في " الضعفاء " (1 / 280) وتمام (3 / 20 / 2) وعنه ابن عساكر (5 / 379 / 1) والحاكم (4 / 75) وكذا الطبراني (3 / 123 / 2) ومن طريقه العراقي في " محجة القرب إلى محبة العرب " (19 / 2) عن إسحاق بن سعيد بن الأركون: حدثنا خليد بن دعلج عن عطاء بن أبي رباح عن ابن عباس مرفوعا. وقال الحاكم: " صحيح الإسناد "! ورده الذهبي بقوله: " قلت: واه، وفي إسناده ضعيفان قلت: الأول منهما ابن الأركون هذا. وقال الذهبي في " الميزان ": " قال الدارقطني: منكر الحديث، وقال أبو حاتم: ليس بثقة ". والثاني خليد بن دعلج قال ابن حبان: كان كثير الخطأ ". وقال الساجي: " مجمع على تضعيفه ". وقال النسائي: " ليس بثقة وعده الدارقطني في جماعة المتروكين. فالإسناد ضعيف جدا، وقد اقتصر العراقي على إعلاله بخليد فقط وهو قصور. والحديث أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " من طريق أخرى عن خليد وقال (1 / 143) : موضوع، خليد ضعفوه، والراوي عنه منكر الحديث، ووهب كذاب يضع، وهو المتهم به ". وتعقبه السيوطي في " اللآلئ " (1 / 86) بهذه الطريق الخالية من وهب الكذاب فأصاب ثم ذكر للشطر الأول منه شاهدا من رواية سعيد بن منصور عن سعيد أن هرقل كتب إلى معاوية يسأله عن القوس؟ فكتب إلى ابن عباس يسأله؟ فكتب إليه ابن عباس: " إن القوس أمان لأهل الأرض من الغرق وسكت السيوطي عن إسناده، وهو صحيح، وقد رواه البخاري أيضا في " الأدب المفرد " (ص 113) ولكن لا يصح عندي شاهدا، لأنه موقوف، فيحتمل أن يكون مما تلقاه ابن عباس عن أهل الكتاب. والله أعلم