হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৫৭৭

পরিচ্ছেদঃ

৫৭৭। যখন তোমরা আমার উম্মাতকে দেখবে তারা অত্যাচারীকে এ কথা বলতে ভয় করছে যে, অবশ্যই তুমি অত্যাচারী। তখন সে (অত্যাচারী) তাদের থেকে বিরত থাকবে।

হাদীছটি দুর্বল।

এটি ইমাম আহমাদ (নং ৬৫২০) এবং হাকিম (৪/৪৪৫) আবুয যুবায়ের সূত্রে আব্দুল্লাহ ইবনু আমর হতে মারফু হিসাবে বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেছেনঃ সনদটি সহীহ। আর ইমাম যাহাবী তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ কখনও নয়। সনদটি সহীহ নয়। কারণ আবুয যুবায়ের ইবনু আমর হতে শুনেননি। যেমনটি ইবনু মাঈন এবং আবু হাতিম বলেছেন। সম্ভবত এ জন্যে হাকিম পরবর্তীতে সতর্ক হয়েছেন। কারণ তিনি এ সনদেই অন্য একটি হাদীছ (৪/৪৪৫) বর্ণনা করার পর বলেছেনঃ যদি আবুয যুবায়ের আব্দুল্লাহ ইবনু আমর হতে শুনে থাকেন তাহলে হাদীছটি সহীহ। ইমাম যাহাবীও তার এ কথার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।

আমাদের বন্ধু আহমদ মুহাম্মাদ শাকের (রহঃ) বলেছেনঃ আবুয যুবায়ের তার থেকে শুনেছেন। কথাটি শক্তিশালী নয়, কারণ এটির ভিত্তি হচ্ছে ইবনু লাহীয়ার বর্ণনার উপর। তিনি মুখস্থ বিদ্যায় দুর্বল। তাকে জামহুরে ওলামা দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। তার বর্ণনা দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। বিশেষ করে শ্রবণ সাব্যস্ত করা দুই ইমাম ইবনু মাঈন এবং আবু হাতিমের বিপরীতে হওয়ার কারণে। যদি ধরে নেই যে আবুয যুবায়ের-এর শ্রবণ ইবনু আমর হতে সাব্যস্ত হয়েছে। তার পরেও এ হাদীছটির সনদ মুত্তাসিল তা বলা যায় না। কারণ আবুয যুবায়ের মুদাল্লিস, তিনি যার সাথে মিলিত হয়েছেন না শুনেও তার থেকে বর্ণনা করেছেন। অতএব দৃঢ়তার সাথে বলছি যে, হাদীছটির সনদটি দুর্বল।

হাদীছটির শাহেদ এসেছে কিন্তু তা নিতান্তই দুর্বল। তা না হলে হাসান বলে হুকুম লাগাতাম। সুয়ূতী "আল-জামে" গ্রন্থে ইমাম তাবারানীর "আল-আওসাত" গ্রন্থের বরাতে জাবের (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। মানবী বলেছেনঃ সনদের বর্ণনাকারী সাইফ ইবনু হারুণকে নাসাঈ এবং দারাকুতনী দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। দারাকুতনী "সুওয়ালাতুল বারকানী আনহু" (নং ১৯৬) গ্রন্থে বলেছেনঃ তিনি দুর্বল, কুফী মাতরূক।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি অত্যন্ত দুর্বল।

إذا رأيتم أمتي تهاب الظالم أن تقول له: إنك أنت ظالم، فقد تودع منهم ضعيف - أخرجه أحمد (رقم 6520) والحاكم (4 / 96) من طريق أبي الزبير عن عبد الله بن عمرو مرفوعا. قال الحاكم: " صحيح الإسناد " ووافقه الذهبي وأقول كلا ليس بصحيح، فإن أبا الزبير لم يسمع من ابن عمرو كما قال ابن معين وأبو حاتم، وكأن الحاكم تنبه لهذا فيما بعد فإنه روى (4 / 445) بهذا الإسناد حديثا آخر ثم قال إن كان أبو الزبير سمع من عبد الله بن عمر [و] ، فإنه صحيح " ووافقه الذهبي. وأما ترجيح صديقنا الشيخ أحمد محمد شاكر رحمه الله في " التعليق على المسند " أن أبا الزبير سمع منه، فليس بقوي عندي. ذلك لأنه بناه على رواية ابن لهيعة عن أبي الزبير قال: " رأيت العبادلة يرجعون على صدورهم أقدامهم في الصلاة: عبد الله بن عمر، وعبد الله بن عمرو، وعبد الله بن الزبير، وعبد الله بن عباس وابن لهيعة عندنا ضعيف لسوء حفظه، ولذلك ضعفه الجمهور، فلا حجة في روايته لهذه الرؤية، سيما وهي مخالفة لما سبق عن الإمامين ابن معين وأبي حاتم. ثم لوسلمنا بثبوت سماع أبي الزبير من ابن عمرو في الجملة، لما لزم منه اتصال إسناد هذا الحديث وثبوته، لأن أبا الزبير مدلس يروي عمن لقيه ما لم يسمع منه وقصته في ذلك مع الليث ابن سعد مشهورة ولذلك فإني أقطع بضعف هذا الإسناد. والله أعلم وبعد كتابة ما تقدم رأيت أبا الشيخ روى الحديث في جزء " أحاديث أبي الزبير عن غير جابر " (11 / 1) من هذا الوجه، ثم رواه (15 / 2) من طريق أبي الزبير عن عمرو بن شعيب عن عبد الله بن عمر (كذا بدون واوبعد الراء) مرفوعا، فثبت أن أبا الزبير لم يسمعه من عبد الله بن عمرو وأن بينهما عمرو بن شعيب، ثم هو على هذا الوجه الآخر منقطع أيضا لأن عمرو بن شعيب لم يسمع من جد أبيه عبد الله بن عمرو. نعم للحديث شاهد لولا شدة ضعفه لحكمت على الحديث بالحسن، عزاه السيوطي في " الجامع " للطبراني في " الأوسط " عن جابر، قال المناوي: " وفيه سيف بن هارون ضعفه النسائي والدارقطني ". قلت: قال الدارقطني في " سؤالات البرقاني عنه " (رقم 196 بترقيمي) : " ضعيف، كوفي متروك قلت: فهو شديد الضعف. والله أعلم


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ