পরিচ্ছেদঃ
৫৭২। তিনটি অভ্যাস যার মধ্যে থাকবে তাকে আল্লাহ তা’আলা সেই দিন আরশের ছায়াতলে ছায়া দান করবেন যেদিন তার (আরশের) ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না। কষ্টের সময় উযু করা, অন্ধকারে মসজিদে যাওয়া এবং ক্ষুধার্তকে আহার করালো।
হাদীছটি জাল।
এটি ইমাম সুয়ূতী “আল-জামেউস সাগীর” গ্রন্থে আবুশ শাইখ কর্তৃক “আস-সাওয়াব" এবং আসবাহানী কর্তৃক "আত-তারগীব" গ্রন্থের বর্ণনা থেকে জাবের (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। মানবী তার কোন সমালোচনা করেননি। সম্ভবত তিনি তার সনদটি সম্পর্কে অবহিত হননি। হাদীছটির প্রথম অংশটি ইমাম তিরমিযী বর্ণনা করেছেন যার বিবরণ ৯২ নং হাদীছে গেছে।
মানবী ইমাম তিরমিয়ীর হাদীছটি বর্ণনা করার সময় সুয়ুতীর সমালোচনা করে তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি জাল করার দোষে দোষী ।
অবস্থাদৃষ্টে দেখা যাচ্ছে যে, দুটি হাদীছ আসলে একটিই হাদীছ। অতএব দুটির হুকুম একই হওয়া বাঞ্ছনীয়। আর তা হচ্ছে হাদীছটি জাল। যদি আলোচ্য হাদীছটির সূত্র ভিন্ন হত তাহলে অবশ্যই তিনি (মানবী) তা বর্ণনা করতেন। কারণ এরূপ বর্ণনা করাই হচ্ছে মুহাদিছগণের নীতি।
ثلاث من كن فيه أظله الله تحت ظل عرشه يوم لا ظل إلا ظله، الوضوء على المكاره، والمشي إلى المساجد في الظلم، وإطعام الجائع موضوع - أورده السيوطي في " الجامع الصغير " من رواية أبي الشيخ في " الثواب " والأصبهاني في " الترغيب " عن جابر. وبجانبه الإشارة إلى ضعفه. ولم يتعقبه المناوي هنا بشيء مطلقا، فكأنه لم يستحضر إسناده، مع أن الحديث عند مخرجيه تمام حديث أوله عند الترمذي بلفظ (ثلاث من كن فيه نشر الله عليه كنفه....) كما تقدم بيانه عن المنذري تحت الحديث (رقم 92) وحديث الترجمة أورده السيوطي مفصولا مستقلا عن تمامه هذا، وتعقبه المناوي تحت حديث الترمذي: بأن فيه: " عبد الله بن إبراهيم الغفاري قال المزي: متهم. أي بالوضع فإذا كان الأمر كذلك وكان الحديثان في الأصل حديثا واحدا، فذلك يقتضي أن يعطى لهما حكم واحد، وهو الوضع، ولوكان طريق حديث الترجمة غير طريق الحديث المتقدم لنبه عليه المنذري، كما هو شأن المحدثين في مثل هذا الأمر، فلم يتنبه المناوي لهذا التحقيق، ولذلك لم يتعقبه بشيء. والله الموفق