পরিচ্ছেদঃ
৫৬৯। যে ব্যক্তি ইমামের পিছনে কিছু (সূরা ফাতিহা) পাঠ করবে তার মুখকে আগুন দিয়ে ভরে দেয়া হবে।
হাদীছটি জাল।
এটি ইবনু তাহের "তাযকিরাতুল মাওযুআত" (পৃঃ ৯৩) গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ এটির সনদে মামূন ইবনু আহমাদ আল-হারাবী রয়েছেন। তিনি দাজ্জাল, জাল হাদীছ বর্ণনাকারী।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তার সম্পর্কে পূর্বের হাদীছে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচ্য হাদীছটি ইবনু হিব্বান "আয-যোয়াফা" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। যাহাবী এটিকে তার বিপদগুলোর একটি হিসাবে গণ্য করেছেন। কোন কোন হানাফী ব্যক্তি অতর্কিতে আক্রমণ করে উক্ত জাল হাদীছ দলীল হিসাবে গ্রহণ পূর্বক ইমামের পিছনে কিরাআত পাঠ করা হারাম হওয়ার দলীল দিয়ে থাকেন। আবুল হাসানাত লাখনুভী "আত-তালীকিল মুমযিদ আল মুওয়াত্তা মুহাম্মাদ" (পৃঃ ৯৯) গ্রন্থে বলেনঃ “আন-নেহায়া” গ্রন্থের লেখকসহ অন্যরা হাদীছটি উল্লেখ করেছেন মারফূ হিসাবে নিম্নের ভাষায়ঃففي فيه جمرة "তার মুখে প্রজ্জ্বলিত আগুনের টুকরা দিয়ে দেয়া হবে।" এটির কোন ভিত্তি নেই।
তার কিছু পূর্বে বলেছেনঃ ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পাঠ করা নিষেধ মৰ্মে কোন সহীহ হাদীছ মারফু’ হিসাবে বর্ণিত হয়নি। এ বিষয়ে যা কিছু মারফূ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে তা হয় ভিত্তিহীন, অথবা সহীহ নয়। ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পাঠ সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ববতী এবং পরবর্তী আলেমগণ তিনভাগে বিভক্ত হয়েছেন।
১। যেহরী এবং সিররী উভয় ক্ষেত্রে সূরা ফাতিহা পাঠ করা ওয়াজিব।
২। উভয়টিতে চুপ থাকতে হবে।
৩। যেহরী রাকাআতগুলো বাদ দিয়ে শুধুমাত্র সিররগুলোতে সূরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে।
আমি (আলবানীর নিকট) শেষোক্তটি সঠিকের বেশী নিকটবর্তী। এটিই ইমাম মালেক ও আহমাদের মাযহাব। এ মতকেই কোন কোন হানাফী মাযহাবের আলেম প্রাধান্য দিয়েছেন। যেমন আবুল হাসানাত লাখনুভী তার আলোচিত গ্রন্থটিতে।
উক্ত দাজ্জাল হারাবীর ইমাম শাফেঈ (রহঃ) সম্পর্কে আরো একটি হাদীছঃ (দেখুন পরেরটি)
من قرأ خلف الإمام ملئ فوه نارا موضوع - أورده ابن طاهر في " التذكرة " (ص 93) وقال: " فيه مأمون بن أحمد الهروي دجال يروي الموضوعات قلت: وقد سبقت ترجمته في الحديث الذي قبله. والحديث رواه ابن حبان في ترجمته من " الضعفاء "، وعده الذهبي من طاماته! وقد اغتر بالحديث بعض الحنفية فاحتج به على تحريم القراءة وراء الإمام مطلقا! قال أبو الحسنات اللكنوي في " التعليق الممجد على موطأ محمد " (ص 99) : " ذكره صاحب " النهاية " وغيره مرفوعا بلفظ " ففي فيه جمرة " ولا أصل له ". وقال قبيل ذلك: " لم يرد في حديث مرفوع صحيح النهي عن قراءة الفاتحة خلف الإمام وكل ما ذكروه مرفوعا فيه، إما لا أصل له وإما لا يصح ". ثم ذكر الحديث بلفظيه مثالا على ذلك. هذا وقد اختلف العلماء قديما وحديثا في القراءة وراء الإمام على أقوال ثلاثة: 1 - وجوب القراءة في الجهرية والسرية. 2 - وجوب السكوت فيهما. 3 - القراءة في السرية دون الجهرية. وهذا الأخير أعدل الأقوال وأقربها إلى الصواب وبه تجتمع جميع الأدلة بحيث لا يرد شيء منها وهو مذهب مالك وأحمد، وهو الذي رجحه بعض الحنفية، منهم أبو الحسنات اللكنوي في كتابه المذكور آنفا، فليرجع إليه من شاء التحقيق. هذا ومن موضوعات هذا الدجال في الطعن على الإمام الشافعي في شخصه