পরিচ্ছেদঃ
৫০৪। সর্বোত্তম খাদ্য হচ্ছে কিশমিশ, সে মাংসপেশীকে শক্তিশালী করে, অলসতাকে দূর করে, ক্রোধকে মিটিয়ে ফেলে, মুখের গন্ধকে সুগন্ধিযুক্ত করে, কফকে বিতাড়িত করে, রঙকে উজ্জ্বল করে। তিনি দশটির মত গুণাবলী উল্লেখ করেছেন কিন্তু বর্ণনাকারী সেগুলো মুখস্থ করতে পারেনি।
হাদীছটি জাল।
হাদীছটিকে ইবনু হিব্বান “কিতাবুল মাজরুহীন" যা “আয-যোয়াফা” নামে প্রসিদ্ধ (১/৩২৪ হিন্দী ছাপা), আবু নোয়াইম “আত-তিব্ব” (৯/১) গ্রন্থে, আল-খাতীব “আত-তালখীস" (২/৩৬) গ্রন্থে এবং ইবনু আসাকির (৭/১১৫/১) সাঈদ ইবনু যাইয়্যাদ ইবনে ফায়েদ সূত্রে ... বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ হাদীছটি বানোয়াট। এ সাঈদ সম্পর্কে আল-আযদী বলেনঃ তিনি মাতরুক।
ইবনু ছিব্বান পরক্ষণেই বলেনঃ জানিনা সমস্যা কার নিকট হতে? সাঈদ হতে নাকি তার পিতা অথবা তার দাদা হতে? কারণ আবু সাঈদের বর্ণনা ছাড়া তাদের দু’জনের কোন বর্ণনা আছে বলে জানা যায় না। আর শাইখ হতে যদি কোন নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী বর্ণনা না করে, তাহলে সেই শাইখ মাজহুল, তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা যায় না। কারণ দুর্বল বর্ণনাকারীর বর্ণনা যে ব্যক্তি ন্যায়পরায়ণ নয় তাকে মাজহুলদের দল হতে বের করে ন্যায়পরায়ণদের দলভুক্ত করতে পারে না। কারণ দুর্বল ব্যক্তি কর্তৃক বর্ণনা করা আর না করা হুকুম-এর দিক দিয়ে উভয়ই সমান।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তার এ বক্তব্য শক্তিশালী ইঙ্গিত যোগাচ্ছে একথার যে, তার মাযহাব ছিল দুর্বল হাদীছের উপর আমল করাই জায়েয না। কারণ হুকুমের দিক দিয়ে দুর্বল বর্ণনাকারী, বর্ণনা না কারীর ন্যায়।
نعم الطعام الزبيب يشد العصب ويذهب بالوصب ويطفئ الغضب ويطيب النكهة ويذهب بالبلغم ويصفي اللون. وذكر خصالا تمام العشرة لم يحفظها الراوي موضوع - رواه ابن حبان في " كتاب المجروحين " المعروف بـ " الضعفاء " (1 / 324 - طبع الهند) وأبو نعيم في " الطب " (9 / 1 نسخة الشيخ السفرجلاني) والخطيب في " التلخيص " (36 / 2) وابن عساكر (7 / 115 / 1) من طريق سعيد بن زياد بن فائد بن زياد بن أبي هند قال: حدثني أبي زياد بن فائد عن أبيه فائد بن زياد عن أبيه عن أبي هند الداري قال: " أهدي إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم طبق من زبيب مغطى فكشف عنه رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم قال: " كلوا بسم الله، نعم.... " قلت: وهذا موضوع، سعيد هذا قال الأزدي: " متروك " وقال ابن حبان عقبه: " لا أدري البلية ممن هي؟ أمنه أو من أبيه أو جده؟ لأن أباه وجده لا يعرف لهما رواية إلا من حديث سعيد، والشيخ إذا لم يرو عنه ثقة فهو مجهول لا يجوز الاحتجاج به، لأن رواية الضعيف لا يخرج من ليس بعدل عن حد المجهولين إلى جملة أهل العدالة، لأن ما روى الضعيف وما لم يرو في الحكم سيان " قلت: وفي تعليله الأخير، إشارة قوية إلى أن مذهبه أنه لا يجوز العمل بالحديث الضعيف، لأنه في حكم ما لم يرو من الحديث، وهو تعليل قوي جدا فتأمل