হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৭১১

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৩৭১১-]৫১] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কি জানো! কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তা’আলার (’আরশের) ছায়ায় সর্বপ্রথম কোন্ শ্রেণীর মানুষ স্থান পাবে? সাহাবীগণ বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই ভালো জানেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ যে সকল (আমীর ও শাসকের) মানুষেরা যখন তাদের (জনসাধারণের) নিকট হক কথা বলে, তখন তারা তা গ্রহণ করে। আর যখন তাদের নিকট কোনো ন্যায্য অধিকার চাওয়া হয়, তখন তারা তা আদায় করে। আর মানুষের ওপর এমনভাবে শাসন করে, যেরূপ নিজের জন্য করে। (আহমাদ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ

عَنْ عَائِشَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَتَدْرُونَ مَنِ السَّابِقُونَ إِلَى ظِلِّ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟» قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ: «الَّذِينَ إِذَا أُعْطُوا الْحَقَّ قَبِلُوهُ وَإِذَا سُئِلُوهُ بَذَلُوهُ وَحَكَمُوا لِلنَّاسِ كحكمِهم لأنفُسِهم»

ব্যাখ্যা: হাদীস বর্ণিত (ظِلِّ اللّٰهِ) ‘‘আল্লাহর ছায়া’’ দ্বারা উদ্দেশ্য আল্লাহর ‘আরশের ছায়া। কেউ কেউ বিনা প্রশ্নে বা বিনা সাদৃশ্যে ‘আল্লাহর ছায়াকে’ (ব্যাখ্যাবিহীন) শাব্দিক অর্থেই গ্রহণ করেছেন। কিয়ামতের দিন ঐ ছায়ায় সর্বাগ্রে ঐ শাসক ও আমীরগণ স্থান পাবে যারা হক কথা বা বিষয় নিজের বিরুদ্ধে হলেও তা কবুল করে এবং মাথা পেতে নেয়। আর তার কাছে কোনো ন্যায্য অধিকার দাবী করলে সে তা গোপন করে না বা তা আটকিয়ে রাখে না, বরং হকদার চাওয়া মাত্রই তাকে তা দিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে কোনো নিন্দুকের নিন্দার পরোয়াও সে করে না।

আর কোনো ক্ষুদ্র বিষয়েও বিচার-ফায়সালায় পক্ষপাতিত্ব করে না, বরং নিজের জন্য বা নিকটতম ব্যক্তির জন্য যা ফায়সালা করে অন্যের জন্যও তাই করে। ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নীচু কোনো ভেদাভেদ করে না, সবার জন্য সে ইনসাফপূর্ণ ফায়সালা প্রদান করে। সে আল্লাহর এই আদেশ বাণীর অনুসরণ করে, আল্লাহর বাণী : ‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকো আল্লাহর ওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্য দান করো; তাতে তোমাদের নিজের বা পিতা-মাতার অথবা নিকটবর্তী কোনো আত্মীয়-স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও।’’ (সূরা আন্ নিসা ৪ : ১৩৫)

ইতিপূর্বে হাদীস অতিবাহিত হয়েছে, ‘‘তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল, আর প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।’’ (মিরকাতুল মাফাতীহ)