হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৫৫১

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মুরতাদ এবং গোলযোগ সৃষ্টিকারীকে হত্যা করা প্রসঙ্গে

৩৫৫১-[১৯] জুনদুব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাদুকরের শার্’ঈ শাস্তি হলো তাকে তরবারি দিয়ে হত্যা করা। (তিরমিযী)[1]

وَعَنْ جُنْدُبٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «حَدُّ السَّاحِرِ ضَرْبُهُ بِالسَّيْفِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

ব্যাখ্যা: যারা বলে যাদুকরের দণ্ড হলো, হত্যা তারা এ হাদীসকে দলীল হিসেবে পেশ করে।

‘আল্লামা নববী শারহে মুসলিমে বলেনঃ যাদু করা হারাম এটা সর্বসম্মতিক্রমে কবীরা গুনাহ। তিনি বলেন, যাদু কখনো কুফরী পর্যায়ে পৌঁছে আবার আবার কখনো কুফরী হয় না বরং তা বড় গুনাহ। যদি তাতে কুফরী কালাম বা কুফরী কাজ থাকে তাহলে কাফির হবে অন্যথায় কাফির হবে না। আর যাদু শিক্ষা গ্রহণ এবং শিক্ষাদান উভয়ই হারাম। আমাদের মতে যাদুকারীকে হত্যা করা যাবে না। যদি সে তাওবাহ্ করে তবে তার তাওবাহ্ কবুলযোগ্য।

ইমাম মালিক বলেনঃ যাদুর কারণে যাদুকর কাফির। তাকে তাওবাহ্ করতে বলা যাবে না ও তার তাওবাহ্ কবুলযোগ্য নয়। বরং তাকে হত্যা করা ওয়াজিব।

যিনদীক-এর তাওবাহ্ কবুলকে কেন্দ্র করে এই মাসআলাটি মতভেদপূর্ণ হয়েছে। ইমাম মালিক-এর মতে যাদুকর কাফির। অথচ আমাদের নিকটে কাফির নয়। আমাদের মতে মুনাফিক ও যিনদীক-এর তাওবাহ্ গ্রহণ করা হয়।

কাযী ‘ইয়ায ইমাম মালিক ও আহমাদ বিন হাম্বল-এর নিকট থেকে বর্ণনা করেন যে, সাহাবী ও তাবি‘ঈদের একটি জামা‘আত থেকে বর্ণিত আছে, আমাদের সাথীগণ বলেনঃ যখন যাদুকর তার যাদু দ্বারা কোনো মানুষকে হত্যা করে অথবা সে স্বীকার করে যে, সে তার যাদুতে মারা গেছে অথবা সে অধিকাংশ সময় যাদু দ্বারা হত্যা করে থাকে তখন তার ওপর ক্বিসাসের বিধান প্রযোজ্য। আর যদি যাদুকর মারা যায় কিন্তু সে কখনো হত্যা করে আবার কখনো হত্যা করে না তখন তার ওপর কিসাস প্রযোজ্য নয়। এক্ষেত্রে দিয়াত ও কাফফারা ওয়াজিব। এই দিয়াত বা রক্তমূল্য বর্তাবে তার সম্পদের উপর। নিহতের রক্তমূল্য দানকারীর ওপর নয়। কেননা রক্তমূল্য দানকারী অপরাধীর স্বীকৃত প্রমাণিত কর্মের ক্ষেত্রে উদ্ধুদ্ধ করেনি।

আমাদের সাথীগণ বলেন- প্রমাণের ভিত্তিতে যাদুর দ্বারা হত্যা কল্পনা বা ধারণা করা যাবে না। মূলত যাদুকরের স্বীকৃতির মাধ্যমে এটা ধারণা করা যাবে। আল্লাহ তা‘আলা ভালো জানেন। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৪৬০)