হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৪২১

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৩৪২১-[১৬] উক্ত রাবী [বুরায়দাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বলল ’আমি ইসলাম হতে বিচ্ছিন্ন’ যদিও সে মিথ্যাবাদী হয়, তাহলেও সে যা বলছে তা-ই। আর যদি সে সত্যবাদী হয়, তবুও সে নিশ্চিন্ত-নিরাপদে কক্ষনো ইসলামে ফিরে আসতে পারবে না। (আবূ দাঊদ, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ قَالَ: إِنِّي بَرِيءٌ مِنَ الْإِسْلَامِ فَإِنْ كَانَ كَاذِبًا فَهُوَ كَمَا قَالَ وَإِنْ كَانَ صَادِقًا فَلَنْ يَرْجِعَ إِلَى الْإِسْلَامِ سَالِمًا . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ

ব্যাখ্যা: (فَإِنْ كَانَ كَاذِبًا) সে যদি কসমে মিথ্যাবাদী হয়। (فَهُوَ كَمَا قَالَ) যেরূপ বলেছে ‘তা-ই হবে’ বাক্যটি অধিকভাবে ধমকানো উদ্দেশ্য। ইবনু ‘আব্বাস, আবূ হুরায়রাহ্, ‘আত্বা, কাতাদাহ ও বিভিন্ন অঞ্চলের জুমহূর ফুকাহার মতে, এ ধরনের কসমে যদি অন্তর হতে বলে, তাহলে কাফির হবে।

আর আওযা‘ঈ, সাওরী, আবূ হানীফাহ্, আহমাদ ও ইসহক-এর মতে তা কসম এবং কাফফারা অবশ্যই লাগবে। ইবনু মুনযির বলেনঃ প্রথম অভিমতই অধিক সহীহ। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী : (مَنْ حَلَف بِاَللَّاتِي وَالْعُزّٰى فَلْيَقُلْ لَا إِلٰه إِلَّا اللّٰه) যে ব্যক্তি লাত ও ‘উয্যার কসম খায় সে যেন لَا إِلٰه إِلَّا اللّٰه বলে। আর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাফ্ফারার কথা বলেননি। অন্য কেউ বদ্ধি করে বলেছেন এজন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (مَنْ حَلَف بِاَللَّاتِي وَالْعُزّٰى فَلْيَقُلْ لَا إِلٰه إِلَّا اللّٰه) যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্মের কসম করে সে যেরূপ বলেছেন তাই হবে। মূলত এর দ্বারা উদ্দেশ্য কঠোরতা আরোপ করা কসমের ব্যাপারে যাতে অন্য কেউ এ ধরনের পদক্ষেপ না নেয়। খত্ত্বাবী বলেনঃ হাদীসে দলীল সাব্যস্ত হয় যে, যে ব্যক্তি ইসলাম হতে বিচ্ছিন্ন কসম খায় সে গুনাহগার হবে আর এর জন্য তার ওপর কাফফারা লাগবে না। কেননা শাস্তি তার দীনদারীতে করা হয়েছে মালের উপর কোনো কিছু আরোপ করা হয়নি। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩২৫৫)