হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩২৯৪

পরিচ্ছেদঃ ১১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে

৩২৯৪-[২১] মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, হে মু’আয! আল্লাহ তা’আলা জমিনের উপর ক্রীতদাস মুক্ত করা হতে সর্বোৎকৃষ্ট কোনো কাজ সৃষ্টি করেননি। অনুরূপভাবে আল্লাহ তা’আলা তালাক অপেক্ষা তার নিকট নিকৃষ্ট কাজও জমিনের উপর ব্যবস্থা করেননি। (দারাকুত্বনী)[1]

وَعَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا مُعَاذُ مَا خَلَقَ اللَّهُ شَيْئًا عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنَ الْعَتَاقِ وَلَا خَلَقَ اللَّهُ شَيْئًا عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ أَبْغَضَ إِلَيْهِ مِنَ الطَّلاقِ» . رَوَاهُ الدَّارَقُطْنِيّ

ব্যাখ্যা: হাদীসের প্রথমাংশে ইতিপূর্বে বলা হয়েছে দাস-দাসীর প্রচলন বর্তমানে নেই তাই এর ব্যাখ্যা পরিহার করা হলো।

হাদীদের দ্বিতীয় অংশ হলো জমিনের উপর আল্লাহর নিকট ত্বলাকের চেয়ে অধিক অপ্রিয় এবং অধিক অপছন্দনীয় কোনো বস্তু করেননি। এ হাদীস এবং এই অর্থের আরো দুই একটি হাদীসের উপর গবেষণা করে দেখা গেছে এগুলো য‘ঈফ বা দুর্বল, য‘ঈফ হাদীস ‘আমলযোগ্য নয়। কেননা এর বিপরীত কুরআন ও সহীহ হাদীস বিদ্যমান রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা তার নাবীকে বলেন, ‘‘হে নাবী! আপনারা যখন স্ত্রীদের তালাক দিতে যাবেন, তখন তাদের ‘ইদ্দত পালনের জন্য তালাক দিবেন।’’ (সূরা আত্ব তালাক ৬৫ : ০১)

প্রশ্ন হলো আল্লাহ তা‘আলা কি তার নাবীকে অপছন্দনীয় কাজটি করার কথা বলেছেন? সহীহ হাদীসে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কোনো এক স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন, পরে তাকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবদ্দশায় সাহাবীগণ অনেকেই তাদের স্ত্রীদের তালাক দিয়েছেন, হাদীসের এর বহু প্রমাণ বিদ্যমান রয়েছে। তবে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণ সকলেই কি আল্লাহর কাছে অপ্রিয় কাজটিই করেছেন? না‘ঊযুবিল্লাহ। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ