হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩২২৭

পরিচ্ছেদঃ ৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ওয়ালীমাহ্ (বৌভাত)

৩২২৭-[১৮] ’ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাসিকগণের দা’ওয়াত গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। (বায়হাক্বী)[1]

وَعَن عمرَان ين حُصَيْنٍ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِجَابَة طَعَام الْفَاسِقين

ব্যাখ্যা: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাসিক বা পাপাচারী লম্পটের খানার দা‘ওয়াত গ্রহণ করতে নিষেধ করেছন। এটা মুতালাক বা সাধারণ নিষেধ, দা‘ওয়াত গ্রহণ করলে গুনাহগার হবে এমনটিও নয়। নিষেধ এজন্য যে, ফাসিক ফাজিরের সাধারণ দা‘ওয়াতে একজন পরহেজগার ব্যক্তি অবাধে যাতায়াত করলে তার পাপাচারের স্পর্ধা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। অথবা ফাসিক বা পাপাচারীর সাথে একজন পরহেজগার ব্যক্তির অবাধে ওঠা বসা দেখে অন্যদের মধ্যে পাপাচারের প্রতি ঘৃণা ও ভয় দূর হয়ে যাবে, ফলে সমাজে পাপাচারিতার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পাপাচারী ব্যক্তির পাপ স্পষ্ট ও প্রকাশ্য হওয়ার পরে মুত্তাক্বী ব্যক্তি তার সাথে নির্বিঘ্ন সম্পর্ক স্থাপন আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যক্ষ্য কারো সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ‘আমল করা হয় না, পাপাচার ব্যক্তিকে মুত্তাক্বী ব্যক্তি কর্তৃক উদারভাবে সম্পর্ক রক্ষা একদিকে পাপের প্রতি উল্লাসিকতা প্রদর্শিত হয়, অন্যদিকে পাপাচারী ব্যক্তি পাপকে বর্জন করতে কোনো রূপ গরজ অনুভব করে না। আর এটি যেন পাপের প্রতি এক নীরব সমর্থন।

একই সাথে পাপের প্রতি মুত্তাক্বী ব্যক্তির এক প্রকার সহনীয় মানসিকতা তৈরি হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে পাপের প্রতি ঘৃণাবোধ সমাজ থেকে উঠে যায়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ