হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৯৯৪

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা

২৯৯৪-[৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অতিরিক্ত ঘাসে বাধা দেয়ার উদ্দেশে তোমরা কাউকেও অতিরিক্ত পানিতে বাধা দিয়ো না। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ إِحْيَاءِ الْمَوَاتِ وَالشِّرِبِ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تمنعوا فضل المَاء لتمنعوا بِهِ فضل الْكلأ»

ব্যাখ্যা: মিরকাতুল মাফাতীহ-এর ২৮৫৮ নং হাদীস এ শ্রেণীর হাদীস, তাতে বলা হয়েছে, (قَالَ نَهٰى رَسُولُ اللّٰهِ - ﷺ - عَنْ بَيْعِ فَضْلِ الْمَاءِ) অর্থাৎ- ‘‘জাবির বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানির অতিরিক্তাংশ বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।’’ তথা যে ব্যক্তি পানির অতিরিক্তাংশ তার প্রাণীকে পান করাতে চায় তার কাছে তা বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন, পক্ষান্তরে কেউ যদি সে পানি শস্য ক্ষেত অথবা খেজুর বাগানে দিতে চায় তাহলে মূল্য ছাড়া তা তাকে দান না করা পানির মালিকের জন্য বৈধ হবে।
আর ২৮৫৯ নং হাদীসে এসেছে, (وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللّٰهِ - ﷺ - لَا يُبَاعُ فَضْلُ الْمَاءِ لِيُبَاعَ بِه الْكَلَأُ) অর্থাৎ- আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অতিরিক্ত পানি বিক্রয় করা যাবে না যাতে এর মাধ্যমে ঘাস বিক্রি করা হয়। অর্থাৎ- কূপের মালিক তার প্রয়োজনাতিরিক্ত পানি বিক্রয় করবে না, কেননা ক্রেতা তখন ঐ ভূমিতে চড়তে মুখাপেক্ষী প্রাণীসমূহের মালিকের ওপর কঠোরতা আরোপ করবে, অতঃপর এ বিষয়টি তাদেরকে পানিওয়ালার নির্যাতন সীমাতিক্রম করার কারণে শুধু পানি অথবা পানি এবং ঘাস উভয়টি ক্রয় করতে বাধ্য করবে। পরিশেষে পানি এবং ঘাস ক্রয় না করা পর্যন্ত তাদের তা সম্ভব হবে না।

এটা পূর্ণাঙ্গ অবিচার ও সীমালঙ্ঘন। চতুস্পদ জন্তুর মালিকেরা তাদের চতুস্পদ জন্তুদেরকে পানি পান করানো এবং মাঠে চড়ানো সম্ভবপর হওয়ার নিমিত্তে পানির বিনিময়ে যে সম্পদ তারা ব্যয় করেছে সেদিকে দৃষ্টি দিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানি ক্রয় করাকে ঘাস ক্রয় করার স্থলাভিষিক্ত করেছেন। খত্ত্বাবী বলেনঃ এর ব্যাখ্যা হলো নিশ্চয় কোনো লোক যখন কোনো মৃত ভূখণ্ডে কূপ খনন করবে, অতঃপর তা আবাদের মাধ্যমে তার মালিকানা অর্জন করবে, অতঃপর কোনো সম্প্রদায় ঐ মৃত ভূখণ্ডে এসে তার ঘাসে প্রাণী চড়াবে, এমতাবস্থায় সেখানে ঐ কূপ ছাড়া পানি না থাকলে তখন কূপের মালিকের পক্ষে এ সম্প্রদায়কে ঐ পানি পান করানো হতে বাধা দেয়া বৈধ হবে না। কেননা সে যদি তাদেরকে পানি হতে বাধা দেয় তাহলে প্রাণীর মালিকদের পক্ষে ঐ মাঠে প্রাণী চড়ানো সম্ভব হবে না। তখন প্রাণীর মালিকদেরকে পানি হতে বাধা দেয়া শত্রুতা স্বরূপ গণ্য হবে। আর এটা বৈধ নয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)