হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৯৬৩

পরিচ্ছেদঃ ১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - শুফ্‘আহ্

২৯৬৩-[৩] আবূ রাফি’ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শুফ্’আহ্’র সর্বাধিক হকদার হলো তার নিকটতম প্রতিবেশী। (বুখারী)[1]

بَابُ الشُّفْعَةِ

وَعَنْ أَبِي رَافِعٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْجَارُ أَحَقُّ بِسَقَبِهِ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যা: (الْجَارُ أَحَقُّ بِسَقَبِه) অর্থাৎ- প্রতিবেশী তার নৈকট্যের কারণে অন্য প্রতিবেশী অপেক্ষা শুফ্‘আর বেশি হকদার।

তিরমিযীতে জাবির (রাঃ)-এর হাদীসে এসেছে, (الْجَارُ أَحَقُّ بِسَقَبِه يُنْتَظَرُ بِه إِذَا كَانَ غَائِبًا إِذَا كَانَ طَرِيقُهُمَا وَاحِدًا) অর্থাৎ- প্রতিবেশী তার নৈকট্যের কারণে অন্য প্রতিবেশী অপেক্ষা শুফ্‘আর বেশী হকদার, প্রতিবেশী যখন অনুপস্থিত থাকবে তখন বিক্রেতা তার অপেক্ষা করবে যদি তাদের উভয়ের পথ একই হয়। ইবনু বাত্ত্বাল বলেন, আবূ হানীফাহ্ এবং তার সাথীবর্গ এ হাদীসের মাধ্যমে প্রতিবেশীর জন্য শুফ্‘আহ্ প্রমাণিত হওয়ার ব্যাপারে দলীল গ্রহণ করেছেন। অন্যান্যগণ এর ব্যাখ্যা করেছেন যে, প্রতিবেশী দ্বারা উদ্দেশ্য হলো অংশীদার ঐ কথার উপর ভিত্তি করে যে, আবূ রাফি‘ দু’টি বাড়ীতে সা‘দ-এর অংশীদার ছিল। আর এজন্যই তিনি তাকে তার থেকে তা ক্রয়ের জন্য আহবান করেছেন।

নিশ্চয় তিনি বলেন, আর তাদের উক্তি নিঃসন্দেহে আভিধানিক অর্থে এমন না যা শরীককে প্রতিবেশী নামকরণ করার দাবী করে, সুতরাং তা প্রত্যাখ্যাত। কেননা কোনো জিনিসের নিকট হওয়া প্রতিটি জিনিসকে তার প্রতিবেশী বলা হয়, ব্যক্তি এবং তার স্ত্রীর মাঝে যে মেলামেশা রয়েছে সে কারণে ‘আরবরা ব্যক্তির স্ত্রীকে তার প্রতিবেশী বলে।

ইবনুল মুনীর এর সমালোচনা করেছেন, যে হাদীসের বাহ্যিক দিক হলো আবূ রাফি‘ সা‘দ-এর বাড়ীর বিস্তৃত অংশের না। ‘উমার বিন শুববাহ উল্লেখ করেন, সা‘দ বিদেশে দু’টি বাড়ী ক্রয় করেছিলেন, বাড়ী দু’টি সামনাসামনি ছিল উভয়ের মাঝে দশ গজ ব্যবধান ছিল, আর যে বাড়ীটি মসজিদের ডান পাশে ছিল তা ছিল আবূ রাফি‘-এর। অতঃপর তিনি তার থেকে তা ক্রয় করেছেন। অতঃপর তিনি (ইবনু বাত্ত্বল) অধ্যায়ের হাদীসটি চালিয়ে দেন। সুতরাং তার কথা দাবী করছে, নিশ্চয় সা‘দ আবূ রাফি‘ থেকে বাড়ী ক্রয় করার পূর্বে আবূ রাফি‘-এর প্রতিবেশী ছিল, অংশীদার ছিল না। কতিপয় আহনাফ বলেন, যে সকল শাফি‘ঈ মতাবলম্বীরা শব্দটির প্রকৃত অর্থকে রূপকার্থের উপর চাপিয়ে দেয়ার কথা বলে, তাদের কর্তব্য প্রতিবেশীর শুফ্‘আহ্ সম্পর্কে কথা বলা। কেননা প্রতিবেশীর নিকটবর্তী অর্থে প্রকৃত, আর অংশীদার অর্থে রূপক।

যারা প্রতিবেশীর শুফ্‘আহ্ সাব্যস্ত করেনি তারা প্রমাণ পেশ করেছে যে, যে কারণে শারীকের জন্য শুফ্‘আহ্ সাব্যস্ত হয় তা প্রতিবেশীর মধ্যে অনুপস্থিত আর তা হলো- অংশীদারের কাছে কখনো অংশীদার পৌঁছে, তখন আগত অংশীদার কর্তৃক অপর অংশীদার কষ্ট পায়, ফলে প্রয়োজন ‘‘পরস্পর বণ্টনের’’ দিকে আহবান করে, এতে ব্যক্তির মালিকত্বের কর্তৃত্বে ঘাটতির মাধ্যমে ক্ষতি সাধন হয়, অথচ বণ্টনকৃত বস্তুতে এটা পাওয়া যায় না। আল্লাহ সর্বাধিক জ্ঞাত। (ফাতহুল বারী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ২২৫৮)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ রাফি‘ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ