হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৬৪

পরিচ্ছেদঃ

৩৬৪। যে ব্যক্তি আমার মসজিদে চল্লিশ (ওয়াক্ত) সালাত আদায় করল এমনভাবে যে, তার নিকট হতে এক (ওয়াক্ত) সালাতও ছুটল না, তার জন্য জাহান্নাম হতে মুক্তি ও শাস্তি হতে নাজাত লিপিবদ্ধ করা হবে এবং সে মুনাফিকী হতে মুক্ত।

হাদীসটি মুনকার।

এটি ইমাম আহমাদ (৩/১৫৫) এবং তাবারানী “মুজামুল আওসাত” গ্রন্থে (২/৩২/২/৫৫৭৬) আব্দুর রহমান ইবনু আবির রিজাল সূত্রে নুবাইত ইবনু উমার হতে ... বর্ণনা করেছেন।

তাবারানী বলেনঃ আনাস (রাঃ) হতে শুধুমাত্র নুবাইত বর্ণনা করেছেন। ইবনু আবির রেজালও এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির সনদ দুর্বল। নুবাইতকে শুধুমাত্র এ হাদীসেই চেনা যায়। তাকে ইবনু হিব্বান “আস-সিকাত” গ্রন্থে (৫/৪৮৩) উল্লেখ করেছেন। কারণ মাজহুল বর্ণনাকারীকে তার থিওরীতে নির্ভরশীল হিসাবে চিহ্নিত করা যাবে।

এ কারণেই হায়সামী "আল-মাজমা" গ্রন্থে (৪/৮) বলেছেনঃ ইমাম আহমাদ ও তাবারানী “মুজামুল আওসাত” গ্রন্থে এটিকে বর্ণনা করেছেন। এটির বর্ণনাকারীগণ নির্ভরশীল।

এছাড়া “আত-তারগীব” গ্রন্থে (২/১৩৬) মুনযেরী বলেনঃ এটি ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেছেন। তার বর্ণনাকারীগণ সহীহ্ বর্ণনাকারী।

এটি ধারণা মাত্র, কারণ নুবাইত সহীহ্ বর্ণনাকারীদের অন্তর্ভুক্ত নয় বরং ছয়টি হাদীস গ্রন্থের কোন লেখক তার থেকে বর্ণনা করেননি।

এটি দুর্বল হওয়ার কারণ এটিও যে, হাদীসটি দুটি সূত্রে আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। যার একটি অন্যটিকে শক্তি যোগাচ্ছে। কিন্তু নিম্নের ভাষায় মারফু এবং মওকুফ হিসাবে।

“যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন প্রথম তাকবীর সহকারে জামা’আতের সাথে সালাত আদায় করবে, তার জন্য দুটি মুক্তি লিখা হয়। জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তি এবং মুনাফেকী হতে মুক্তি”। এ হাদীসটি তিরমিয়ী (১/৭) বর্ণনা করেছেন।

ইবনু মাজাহ্ (১/২৬৬) একটি শাহেদ উল্লেখ করেছেন, যার সনদটি দুর্বল এবং মুনকাতি ।

এ বাক্যের হাদীসটির সূত্রগুলো সহীহার মধ্যে (২৬৫২) বিস্তারিত আলোচনা করেছি, যা প্রমাণ করে যে, আলোচ্য হাদীসটি দুর্বল এবং মুনকার।

من صلى فى مسجدي أربعين صلاة لا يفوته صلاة كتبت له براءة من النار، ونجاة من العذاب، وبرئ من النفاق منكر - أخرجه أحمد (3 / 155) والطبراني في " المعجم الأوسط " (2 / 32 / 2 / 5576) من طريق عبد الرحمن بن أبي الرجال عن نبيط بن عمر عن أنس بن مالك مرفوعا وقال الطبراني: لم يروه عن أنس إلا نبيط تفرد به ابن أبي الرجال قلت: وهذا سند ضعيف، نبيط هذا لا يعرف في هذا الحديث، وقد ذكره ابن حبان في " الثقات " (5 / 483) على قاعدته في توثيق المجهولين، وهو عمدة الهيثمي في قوله في " المجمع " (4 / 8) رواه أحمد والطبراني في " الأوسط " ورجاله ثقات وأما قول المنذري في " الترغيب " (2 / 136) رواه أحمد ورواته رواة الصحيح، والطبراني في " الأوسط فوهم واضح لأن نبيطا هذا ليس من رواة الصحيح، بل ولا روى له أحد من بقية الستة! ومما يضعف هذا الحديث أنه ورد من طريقين يقوى أحدهما الآخر عن أنس مرفوعا وموقوفا بلفظ " من صلى لله أربعين يوما في جماعة يدرك التكبير الأولى كتبت له براءتان، براءة من النار، وبراءة من النفاق أخرجه الترمذي (1 / 7 - طبع أحمد شاكر) ثم وجدت له طريقا ثالثا عنه مرفوعا أخرجه بحشل في " تاريخ واسط " (ص 36) وله شاهد من حديث عمر بن الخطاب مرفوعا أخرجه ابن ماجه (1 / 266) بسند ضعيف ومنقطع، ثم استوعبت طرقه وبينت ما لها وما عليها في الصحيحة برقم (2 / 652) وهذا اللفظ يغاير لفظ حديث الترجمة كل المغايرة، وهو أقوى منه فتأكد ضعفه ونكارته فمن قواه من المعاصرين فقد جانبه الصواب ولربما الإنصاف أيضا


হাদিসের মানঃ মুনকার (সহীহ হাদীসের বিপরীত)
পুনঃনিরীক্ষণঃ