হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৩৪

পরিচ্ছেদঃ উপবাস, রুক্ষ ও নীরস জীবন যাপন করা, পানাহার ও পোশাক ইত্যাদি মনোরঞ্জনমূলক বস্ত্ততে অল্পে তুষ্ট হওয়া এবং প্রবৃত্তির দাসত্ব বর্জন করার মাহাত্ম্য

(৩৩৪) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন একদিন অথবা কোন এক রাতে (ঘর থেকে) বের হলেন, অতঃপর অকস্মাৎ আবূ বকর ও উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) এর সঙ্গে তাঁর দেখা হল। তিনি বললেন, এ সময় তোমরা বাড়ী থেকে কেন বের হয়েছ? তাঁরা বললেন, ক্ষুধার তাড়নায় হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে। আমিও সেই কারণে বাড়ি থেকে বের হয়েছি, যে কারণে তোমরা বের হয়েছ। তোমরা ওঠো (এবং আমার সঙ্গে চল)। অতঃপর তাঁরা দু’জনে তাঁর সঙ্গে চলতে লাগলেন। তারপর তিনি এক আনসারীর বাড়ী এলেন। আনসারী সে সময় বাড়ীতে ছিলেন না। যখন তাঁর স্ত্রী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখলেন তখন অভ্যর্থনা ও স্বাগত জানালেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, অমুক (আনসারী) কোথায়? তিনি বললেন, আমাদের জন্য মিঠা পানি আনতে গেছেন। এর মধ্যে আনসারী এসে গেলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সঙ্গীদ্বয়কে দেখে বললেন, ’আলহামদু লিল্লাহ, আজ আমার (বাড়ীর) চেয়ে সম্মানিত মেহমান কারো (বাড়ীতে) নেই।

অতঃপর তিনি চলে গেলেন এবং খেজুরের একটা কাঁদি আনলেন, যাতে কাঁচা, শুকনো এবং পাকা (টাটকা) খেজুর ছিল। অতঃপর আনসারী বললেন, ’আপনারা খান এবং তিনি নিজে ছুরি ধরলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, দুধালো ছাগল জবাই করো না। অতঃপর তিনি (ছাগল) জবাই করলেন। তাঁরা ছাগলের (মাংস) খেলেন, ঐ খেজুর কাঁদি থেকে খেজুর খেলেন এবং পানি পান করলেন। তারপর তাঁরা যখন (পানাহার করে) পরিতৃপ্ত হলেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর ও উমার (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা)-কে বললেন, সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে! নিশ্চয় তোমাদেরকে কিয়ামতের দিন নিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ক্ষুধা তোমাদেরকে বাড়ী থেকে বের করেছিল, কিন্তু এখন এ নিয়ামত উপভোগ করে নিজেদের (বাড়ী) ফিরে যাচ্ছ।

[উক্ত আনসারীর নাম ছিলঃ আবুল হাইসাম তাইয়িহান; যেমন তিরমিযীতে আছে। আর উক্ত জিজ্ঞাসাবাদ গণনার উদ্দেশ্যে করা হবে, ধমকি বা শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে নয়।]

وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : خَرَجَ رَسُول اللهِ ﷺ ذَاتَ يَوْمٍ أَوْ لَيْلَةٍ فَإذَا هُوَ بأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا فَقَالَ مَا أَخْرَجَكُمَا مِنْ بُيُوتِكُما هَذِهِ السَّاعَةَ ؟ قَالاَ : الجُوعُ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ وَأَنَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لأَخْرَجَنِي الَّذِي أَخْرَجَكُما قُومَا فقَامَا مَعَهُ فَأتَى رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ فَإِذَا هُوَ لَيْسَ في بيْتِهِ فَلَمَّا رَأَتْهُ المَرْأَةُ قَالَت : مَرْحَبَاً وَأهلاً فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللهِ ﷺ : أيْنَ فُلاَنُ ؟ قَالَت : ذَهَبَ يَسْتَعْذِبُ لنَا المَاءَ إِذْ جَاءَ الأَنْصَارِيُّ فَنَظَرَ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ وَصَاحِبَيْهِ ثُمَّ قَالَ : الحَمْدُ للهِ مَا أَحَدٌ الْيَوْمَ أكْرَمَ أضْيَافاً مِنِّي فَانْطَلَقَ فَجَاءَهُمْ بِعِذْقٍ فِيهِ بُسْرٌ وَتَمْرٌ وَرُطَبٌ فَقَالَ : كُلُوا وَأَخَذَ الْمُدْيَةَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ ﷺ إيْاكَ وَالْحَلُوبَ فَذَبَحَ لَهُمْ فَأكَلُوا مِنَ الشَّاةِ وَمِنْ ذَلِكَ العِذْقِ وَشَرِبُوا فَلَمَّا أنْ شَبِعُوا وَرَوُوا قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لأَبي بَكْر وَعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَتُسْأَلُنَّ عَن هَذَا النَّعِيمِ يَوْمَ القِيَامَةِ أَخْرَجَكُمْ مِنْ بُيُوتِكُمُ الْجُوعُ ثُمَّ لَمْ تَرْجِعُوا حَتَّى أصَابَكُمْ هَذَا النَّعِيمُ رواه مسلم


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ