হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৬৫১

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - মাথার চুল মুণ্ডন করার প্রসঙ্গে

২৬৫১-[৬] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ইহরাম বাঁধার আগে এবং কুরবানীর দিন বায়তুল্লাহ তাওয়াফের আগে এমন সুগন্ধি লাগিয়েছি যাতে মিশক (কস্ত্তরী) ছিল। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الْحَلْقِ

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كُنْتُ أُطَيِّبُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِبَلَ أَنْ يُحْرِمَ وَيَوْمَ النَّحْرِ قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ بِطِيبٍ فِيهِ مِسْكٌ

ব্যাখ্যা: (كُنْتُ أُطَيِّبُ رَسُولِ اللّٰهِ ﷺ قِبَلَ أَنْ يُحْرِمَ) হাদীসের এ অংশটি থেকে বুঝা যায় যে, ইহরামের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার শুধু বৈধই নয় বরং মুস্তাহাব। ইহরামের পরে সুগন্ধির রং, আলামাত (চিহ্ন) অবশিষ্ট থাকুক বা না থাকুক। এ মতই পেশ করেছেন ইমাম শাফি‘ঈ, আহমাদ, আবূ হানীফা, সাওরী (রহঃ) আর এটাই জমহূর ‘উলামায়ে কিরামের অভিমত। কিন্তু ইমাম মালিক (রহঃ) বলেছেন, ইহরামের সময় ইচ্ছা করলে সুগন্ধি ব্যবহার করা মাকরূহ যদি ইহরামের পরে তার চিহ্ন, দাগ ইত্যাদি বাকি থাকো। এ মতকে পছন্দ করেছেন মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান ও ইমাম ত্বহাবী (রহঃ)।

(وَيَوْمَ النَّحْرِ قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ) এখানে তাওয়াফ বলতে প্রথম হালাল যেটা মাথা হলকের মাধ্যমে হতে হয় সেই তাওয়াফে ইফাযাহ্ উদ্দেশ্য।

(مِسْكٌ) অত্র হাদীস থেকে বুঝা যায় তাওয়াফে ইফাযাহ্-এর পূর্বে এবং কংকর নিক্ষেপ, মাথা মুন্ডনের পরে সুগন্ধি ব্যবহার বৈধ। আর এ কথাই বলেছেন, ইমাম শাফি‘ঈ, আহমাদ ও আবূ হানীফা (রহঃ)। তবে ইমা মালিক এটাকে মাকরূহ বলেছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ