হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৬৪৬

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - মাথার চুল মুণ্ডন করার প্রসঙ্গে

এ অধ্যায়ে ছয়টি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে ইমাম বাজী মুয়াত্ত্বার ব্যাখ্যায় যার বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

প্রথমত حَلْقُ (হলক) বা মাথা মুন্ডানোর হুকুম। দ্বিতীয়ত এর নিয়মাবলী। তৃতীয়ত এর স্থান। চতুর্থত এর সময়। পঞ্চমত এর সাথে সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী। ষষ্ঠত এটি কি নুসুক্ব (বিধানাবলী) না ইহরাম থেকে মুক্ত হওয়া।

’আয়নী (রহঃ) বলেন, আমাদের শায়খ যায়নুদ্দীন আল ’ইরাকী তিরমিযীর ব্যাখ্যায় বলেছেন, হলক বা মাথা মুন্ডানো হলো হজের একটি অন্যতম কাজ। ইমাম নাবাবী (রহঃ) এটিই বলেছেন। এটিই অধিকাংশ আহলে ’ইলমের মত এবং ইমাম শাফি’ঈর সঠিক অভিমত। তবে এ বিষয়ে পাঁচ ধরনের বক্তব্য রয়েছে যার মধ্যে সবচেয়ে সঠিক বক্তব্য হলো এটি হজ্জ/হজ এবং ’উমরার একটি রুকন যা ব্যতীত হজ্জ/হজ এবং ’উমরা বিশুদ্ধ হবে না।

সহীহ মুসলিমের ভাষ্যকার ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, আমাদের প্রসিদ্ধ অভিমত হলো হলক (মাথা মুন্ডানো) বা ক্বসর (চুল খাটো করা) হজের এবং ’উমরার কাজ এবং উভয়ের রুকনসমূহের মাঝে একটি অন্যতম রুকন যা ব্যতীত হজ্জ/হজ এবং ’উমরা সম্পূর্ণ হবে না। সকল ’উলামা এ অভিমতই ব্যক্ত করেছেন।

ইমাম বুখারী (রহঃ) সহীহুল বুখারীতে অধ্যায় রচনা করেছেন,(بَابُ الْحَلْقِ وَالتَّقْصِيْرِ عِنْدَ الْإِحْلَالِ) (ইহরাম থেকে মুক্ত হওয়ার সময় মাথা মুন্ডানো এবং মাথার চুল খাটো করা) ইবনু মুনযীর তার হাশিয়াতে বলেছেন, ইমাম বুখারী এ অধ্যায় রচনার দ্বারা বুঝিয়েছেন যে, মাথা মুন্ডানো নুসুক্ব বা হজের এবং ’উমরার কাজ। যেমন ইমাম বুখারী (রহঃ) এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা মুণ্ডনকারীর জন্য যে দু’আ করেছেন তার দ্বারা দলীল পেশ করেছেন। দু’আ তো সাওয়াবের ইঙ্গিতবাহী। আর ’ইবাদাতের জন্য সাওয়াব পাওয়া যায় মুবাহ কাজের জন্য নয়। অনুরূপ তার হলককে তাক্বসীরের উপর প্রাধান্য দানটি এ বিষয়ের ইঙ্গিতবাহী। কেননা মুবাহ কর্মের একটির উপর অপরটিকে প্রাধান্য দেয়া হয় না।

হলক তথা মাথা মুন্ডানো যে নুসুক্ব তথা হজ্জ/হজ এবং ’উমরার একটি অত্যাবশ্যকীয় কর্ম এটি জমহূরের বক্তব্য। এ বিষয়ে তারা কুরআন এবং সুন্নাহ থেকে বেশ কিছু দলীল প্রদান করে এর প্রমাণ করেছেন যে, তা নুসুক্ব।


২৬৪৬-[১] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর কিছু সাহাবী বিদায় হজে মাথা মুণ্ডন করেছিলেন। আবার (সাহাবীগণের) কেউ কেউ মাথার চুল ছেটে (ছোট করে) ছিলেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الْحَلْقِ

عَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَلَقَ رَأْسَهُ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَأُنَاسٌ مِنْ أَصْحَابِهِ وَقَصَّرَ بَعْضُهُمْ

ব্যাখ্যা: হাদীসের ভাষ্য হলো বিদায় হজ্জে তার মাথা মুন্ডিয়েছেন এবং তার কিছু সাহাবীও প্রথমত তার অনুসরণ করণার্থে, দ্বিতীয়ত তিনি মাথা মুণ্ডনকারীদের জন্য দুইবার বা তিনবার যে দু‘আ করেছেন সে দু‘আর বারাকাত লাভের উদ্দেশে মাথা মুণ্ডন করেছেন। আর কতিপয় সাহাবী তিনি মাথার চুল খাটো করার যে ছাড় দিয়েছেন তা গ্রহণার্থে মাথার চুল ছোট করেছেন। যেহেতু তিনি শেষের বার যারা মাথার চুল ছোট করে তাদের জন্যও দু‘আ করেছেন। যে সাহাবী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাথা মুন্ডিয়ে দিয়েছিলেন সঠিক মতানুসারে তিনি হলেন মা‘মার বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন নাযলাহ্। আর যিনি হুদায়বিয়ার সময় তার মাথা মুন্ডিয়ে ছিলেন তিনি হলেন খারাশ বিন উমাইয়্যাহ্ আল খুযা‘ঈ।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ