হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৪৮২

পরিচ্ছেদঃ ৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - মৌলিক দু‘আসমূহ

২৪৮২-[১] আবূ মূসা আল আশ্’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোন কোন সময় এরূপ দু’আ করতেন,

’’আল্ল-হুম্মাগ্ ফিরলী খত্বীআতী ওয়া জাহলী ওয়া ইস্‌রা-ফী ফী আম্‌রী ওয়ামা- আন্‌তা আ’লামু বিহী মিন্নী, আল্ল-হুম্মাগ্ ফির্‌লী জিদ্দী ওয়া হাযলী ওয়া খত্বায়ি ওয়া ’আম্‌দী ওয়া কুল্লু যা-লিকা ’ইনদী, আল্ল-হুম্মাগ্ ফিরলী মা- কদ্দামতু ওয়ামা- আখখারতু ওয়ামা- আসরারতু ওয়ামা- আ’লানতু ওয়ামা- আনতা বিহী আ’লামু বিহী মিন্নী আনতাল মুকদ্দিমু ওয়া আনতাল মুআখখিরু ওয়া আনতা ’আলা- কুল্লি শাইয়িন কদীর’’

(অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমি আমার গুনাহসমূহ মাফ করো, আমার অজ্ঞতা ও আমার কাজে সীমালঙ্ঘন, আর যা তুমি আমার চেয়েও বেশি জানো। হে আল্লাহ! আমার গুনাহসমূহ মাফ করো যা আমার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, খামখেয়ালী করা, ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় করা আর যা সবগুলোই আমার মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। হে আল্লাহ! তুমি আমার পূর্বের ও পরের গুনাহ, প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য গুনাহ মাফ করে দাও, আর যা তুমি আমার চেয়েও বেশি জানো। তুমিই আগে বাড়াও, তুমিই পেছনে হটাও এবং প্রত্যেকটি ব্যাপারেই তুমি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।)। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ جَامِعِ الدُّعَاءِ

عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَّهُ كَانَ يَدْعُو بِهَذَا الدُّعَاءِ: «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي خَطِيئَتِي وَجَهْلِي وَإِسْرَافِي فِي أَمْرِي وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي جَدِّي وَهَزْلِي وَخَطَئِي وَعَمْدِي وكلُّ ذلكَ عِنْدِي اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أعلنت وَمَا أَنْت بِهِ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ وَأَنت على كل شَيْء قدير»

ব্যাখ্যা: হাদীসে উল্লিখিত দু‘আটি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখন পড়তেন তার নিশ্চিত কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে বিভিন্ন বর্ণনায় যা পাওয়া যায় তার সারমর্ম হলো, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ দু‘আটি সালাতের শেষ বৈঠকে পড়তেন। তবে সালামের পূর্বে না পরে পড়তেন তাও নিশ্চিতভাবে জানা যায় না। পূর্বে বা পরে যে কোন সময়ে পড়ার সম্ভাবনার কথাই হাদীসের বর্ণনায় পাওয়া যায়।

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পূর্ণ মা‘সূম তথা নিষ্পাপ এবং তার আগের এবং পরের সকল গুনাহ থেকে তাকে মুক্ত বা ক্ষমাপ্রাপ্ত ঘোষণার পরেও তিনি এরূপ দু‘আ কেন করতেন? এর উত্তরে বলা যায়, প্রথমত তিনি আল্লাহর প্রতি বিনয় ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করণার্থে এরূপ দু‘আ করতেন। দ্বিতীয়ত তিনি এর মাধ্যমে তার দ্বারা কৃত অনিচ্ছাকৃত ভুল বা অলসতা থেকে মাফ চাইতেন। তৃতীয়ত তিনি নবূওয়াত প্রাপ্তির পূর্বে কৃতকর্মের প্রতি ইশারা করেছেন। চতুর্থত তিনি শুধু তার উম্মাতকে শিক্ষা দেয়ার জন্য এ দু‘আ করেছিলেন। মূলকথা হলো তিনি এ দু‘আ আল্লাহর প্রতি বিনয় প্রকাশ করণার্থেই করেছিলেন। কারণ দু‘আও ‘ইবাদাত। ইমাম নাবাবী (রহঃ) এরূপ মত পোষণ করেছেন।

এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তা‘আলা সকল রকমের গুনাহ পূর্বের এবং পরের গোপন ও প্রকাশ্য জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে যেভাবেই সংঘটিত হোক না কেন তা ক্ষমা করার জন্য ক্ষমার ডালি নিয়ে সকল গুনাহকে ঘিরে রেখেছেন। অর্থাৎ- কোন গুনাহই আল্লাহর ক্ষমার আওতার বাইরে নয়।