হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৪৫৩

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দু‘আ

২৪৫৩-[৩৮] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যখন উপরের দিকে উঠতাম, ’আল্ল-হু আকবার’ ও যখন নীচের দিকে নামতাম ’সুবহা-নাল্ল-হ’ বলতাম। (বুখারী)[1]

وَعَن جابرٍ قَالَ: كُنَّا إِذَا صَعِدْنَا كَبَّرْنَا وَإِذَا نَزَلْنَا سبحنا. رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যা: উঁচু স্থানে আরোহণের সময় ‘আল্ল-হু আকবার’ বলার সম্পর্ক হলো, উঁচু স্থান অন্তরের জন্য অতি প্রিয়, যাতে অহংকার দানা বাধে। সুতরাং তিনি নির্দেশ দিলেন, যে ব্যক্তি উঁচু ভূমি অতিক্রম করবে সে আল্লাহ তা‘আলার বড়ত্বকে স্মরণ করবে। তিনি সবকিছু থেকে বড়। যাতে সে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। অতঃপর তিনি তাকে তার অনুগ্রহ বৃদ্ধি করে দিবেন। আর নিচে নামার সাথে সুব্হা-নাল্ল-হ বলার সম্পর্ক হলোঃ নিম্ন জায়গাটা সংকীর্ণ স্থান।

কাজেই তার জন্য তিনি তাসবীহ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন, কেননা তা (তাসবীহ) প্রশস্ততার কারণ। যেমন- ইউনুস (আঃ)-এর ঘটনা বর্ণিত রয়েছে, যখন তিনি অন্ধকারে তাসবীহ পড়তেন, অতঃপর তিনি দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেলেন। আল্লাহ তা‘আলার কথাঃ ‘‘যদি তিনি আল্লাহর তাসবীহ পাঠ না করতেন তবে তাকে কিয়ামাত পর্যন্ত মাছের পেটেই থাকতে হত।’’ (সূরা আস্ স-ফফা-ত ৩৭ : ১৪৩-১৪৪)

অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাকে মাছের পেটের অন্ধকার থেকে পরিত্রাণ দিলেন। আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তাসবীহের বাস্তবায়ন করতেন, যাতে তিনি তাঁর অনিষ্টতা থেকে মুক্তি পান এবং তাকে শত্রু পেয়ে বসা থেকে মুক্তি পান।