হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৪৫২

পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দু‘আ

২৪৫২-[৩৭] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে বেশি চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে সে যেন বলে, ’’আল্ল-হুম্মা ইন্নী ’আবদুকা, ওয়াবনু ’আবদিকা ওয়াবনু আমাতিকা, ওয়াফী কবযাতিকা, না-সিয়াতী বিয়াদিকা মা-যিন ফী হুকমুকা ’আদলুন ফি কযা-উকা আস্আলুকা বিকুল্লি ইসমিন, হুওয়া লাকা সাম্‌মায়তা বিহী নাফসাকা, আও আনযালতাহূ ফী কিতা-বিকা, আও ’আল্লামতাহূ আহাদাম্ মিন্ খলকিকা, আও আলহামতা ’ইবা-দাকা, আউইস্‌তা’সারতা বিহী ফী মাকনূনিল গয়বি ’ইনদাক আন্ তাজ্’আলাল কুরআ-না রবী’আ কলবী ওয়াজালা-আ হাম্মী ওয়া গম্মী’’

(অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার বান্দা, তোমার বান্দার পুত্র, তোমার দাসীর পুত্র। আমি তোমার হাতের মুঠে, আমার অদৃষ্ট তোমার হাতে। তোমার হুকুম আমার ওপর কার্যকর, তোমার আদেশ আমার পক্ষে ন্যায়। আমি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি তোমার সেসব নামের ওয়াসীলায় যাতে তুমি নিজেকে অভিহিত করেছো, অথবা তুমি তোমার কিতাবে নাযিল করেছো অথবা তুমি তোমার সৃষ্টির কাউকেও তা শিক্ষা দিয়েছো, অথবা তুমি তোমার বান্দাদের ওপর ইলহাম করেছো (অদৃশ্য অবস্থায় থেকে অন্তরে কথা বসিয়ে দেয়া) অথবা তুমি গায়বের পর্দায় তা তোমার কাছে অদৃশ্য রেখেছো- তুমি কুরআনকে আমার অন্তরের বসন্তকাল স্বরূপ চিন্তা-ফিকির দূর করার উপায় স্বরূপ গঠন করো।)। যে বান্দা যখনই তা পড়বে আল্লাহ তার চিন্তা-ভাবনা দূর করে দেবেন এবং তার পরিবর্তে মনে নিশ্চিন্ততা (প্রশান্তি) দান করবেন। (রযীন)[1]

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ كَثُرَ هَمُّهُ فَلْيَقُلْ: اللَّهُمَّ إِنِّي عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَابْنُ أَمَتِكَ وَفِي قَبْضَتِكَ نَاصِيَتِي بِيَدِكَ مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ أَوْ أَلْهَمْتَ عِبَادَكَ أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي مَكْنُونِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيعَ قلبِي وجِلاء هَمِّي وغَمِّي مَا قَالَهَا عَبْدٌ قَطُّ إِلَّا أَذْهَبَ اللَّهُ غمه وأبدله فرجا . رَوَاهُ رزين

ব্যাখ্যা: এখানে দলীল রয়েছে যে, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলার ৯৯টি নাম ছাড়াও আরো অনেক নাম রয়েছে। আর এ নামগুলোর মাঝে কতকগুলো বান্দার জানা এবং কতকগুলোর ব্যাপারে বান্দা অজানা। আর আল্লাহর নামগুলোর মাধ্যমে ওয়াসীলাহ্ নেয়া বৈধ।